মেঘেদের কথা//cloud definition and its type
ঘনীভবনের অন্যতম একটি রূপ হল মেঘ। সাগর, নদীনালা, খাল-বিল, পুকুর সূর্যের তাপে জল জলীয় বাষ্প তৈরী করে, উত্তপ্ত জলীয় বাষ্প হাল্কা বলে উপরে ওঠে। ক্রমশ
যত উপরে উঠে ততই শীতল হয় এবং একটি স্তরে গিয়ে জলীয় বাষ্প ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জল
কণার আকারে পরিণত হয়ে বায়ুতে উর্ধ্বাকাশে ভেসে বেড়ায়। এসব জল কণার সমষ্টিকেই
মেঘ বলে।
সুর্যের উষ্ণ কিরণে ভূপৃষ্ঠ থেকে জল বাষ্পে পরিণত হয়ে
উপরে উঠে। কারণ, জলীয় বাষ্প বায়ুর
তুলনায় বেশ হাল্কা। এইভাবে হালকা বাষ্প ওপরে উঠতে উঠতে ক্রমে শীতল হতে থাকে। তারপর
একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছে গেলেই তা ঠান্ডা হয়ে জলকণায় পরিণত হয়, বিজ্ঞানীরা সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রাকে শিশিরাঙ্ক (Dew point) নাম দিয়েছেন। সাধারণভাবে দেখা যায় বায়ুতে ভেসে থাকা অসংখ্য
ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়। অর্থাৎ জলকণায় পরিণত হয়। এজন্য বায়ুর
ভাসমান ধূলিকণাকে ঘনীভবনের ভরকেন্দ্র (Condensatn Nuclei) বলে।
১৮০৩ সালে ইংরেজ রসায়নবিদ লিউক
হাওয়ার্ড (Luke Howard) বিশেষ তৎপর হন। তিনি আকৃতি ও চেহরা অনুসারে মেঘকে চারভাগে ভাগ করলেন। যার নাম
করণ হল ল্যাটিন ভাষাতে।
(১) সিরাস (Cirrus) বা অলক মেঘ। এ মেঘ দেখতে পালক বা আঁশের
মত।
(২) স্ট্রাটাস (Stratus) বা স্তর মেঘ। স্তরে স্তরে সাজান থাকে।
(৩) কিউমুলাস (Cumulus) বা স্তূপ মেঘ।
(৪) নিম্বাস (Nimbus) বা ঝঞ্ঝা মেঘ খুব বৃষ্টি-ঝড়-ঝঞ্ঝার জন্য
এ মেঘ দায়ী।
এবং উচ্চতা অনুসারে অনুয়ায়ী মেঘকে
তিনভাগে ভাগ করা হয়েছিল। যেমন উঁচু মেঘ বা
High
Cloud, মাঝারি মেঘ বা Medium Cloud, নিচু মেঘ বা Low Cloud.
উঁচু আকাশের মেঘ : যারা সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৬০০০ মিটার
থেকে ২০০০ মিটারের মধ্যে থাকে । যেমন-সিরাস (Cirrus), সিরোকিউমুলাস
(Cirro-Cumulus) সিরোস্ট্রাটাস
(Cirro-Stratus).
মাঝারি মেঘ বা Medium Cloudঃ ভূপৃষ্ঠের উপর থেকে 2135
মিটার থেকে 6097 মিটার এর মধ্যবর্তী মেঘকে মাঝারি মেঘ বলে। দুই প্রকারের মাঝারি
মেঘ দেখা যায় যথাক্রমে:অল্টো কিউমুলাস ও অল্টো স্ট্রাটাস।
নিচু মেঘ বা Low
Cloudঃ যারা ২১০০ মিটারের
নিচে অবস্থান করে। যেমন স্ট্রাটো-কিউমুলাস (Strato-cumulus), স্ট্রাটাস (Stratus),
নিম্বাস (Nimbus)
ও নিম্বো স্ট্রাটাস (Nimbo-
status)।
১৮৯৪ সালে আন্তর্জাতিক
আবহাওয়া সমিতি (International Meteorological Committee) আকার উচ্চতা অনুসারে মেঘকে দশটি ভাগে ভাগ
করেন।
পরবর্তীকালে
আন্তর্জাতিক মেঘ সংহিতায় (International Cloud Code)
২৮ রকম মেঘের কথা বলা
হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ উচ্চতা বোঝানোর জন্য অল্টো (Alto)
খুব বেশি উচ্চতার জন্য
সিরো (Siro) আর যে মেঘ বৃষ্টি আনে তার নামের আগে নিম্বো (Nimbo)
শব্দ যোগ করা হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের মেঘেদের
বর্ননা
১) সিরাস
বা অলক মেঘ: সিরাস শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ থেকে যার অর্থ হল চুলের কুচি। এই ধরণের মেঘ
গুলি সাধারনত ৬ থেকে ১০ কিমি উচ্চতায় দেখা যায়।নীল আকাশে হালকা পেঁজা তুলো বা
পালকের মত ভেসে বেড়ায়। এর রং সাধারণভাবে সাদা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বরফ বা তুষার কণা
দিয়ে এই মেঘ তৈরি হয়। আবহাওয়া যখন ভাল থাকে অর্থাৎ আলো ঝলমল দিনে এগুলিকে
দেখা যায়। এই মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়ার
সম্ভবনা নেই।
সিরোকিউমুলাস বা অলক স্তূপ মেঘ: কিছুটা গোলাকার হালকা সাদা ঢেউয়ের মতন দূর আকাশে
ভেসে থাকে।সিরো কিউমুলাস মেঘ আকাশে ম্যাকারেল মাছের কাঁটার মতো সারি বদ্ধ ভাবে
ছড়িয়ে থাকে বলে, একে ম্যাকারেল মেঘ বলা হয়।
সিরো-স্ট্রাটাস বা অলক স্তর মেঘ : একেবারে দুধের মত সাদা।আকাশে রামধনু দেখা
যায়।এই মেঘের মধ্যে দিয়ে সূর্য ও চাঁদ কে উজ্জল মন্ডল এর মত দেখায়।এই মেঘ ঝড়ের
সংকেত বহন করে।আকাশে সিরো স্ট্রাটাস মেঘ থাকলে আকাশ পরিষ্কার থাকে কিন্তু কখনো কখনো বৃষ্টি হয়।
২) অল্টো কিউমুলাস
মেঘ :- সাদা ও ধূসর রঙের এই মেঘ
হোলো বা আলোক প্রভার সৃষ্টি করে না।
অল্টো কিউমুলাস মেঘের গোলাকার গুচ্ছ কে পশম মেঘ বলা হয়। এই মেঘ গুলি আকাশে
তরঙ্গের আকারে বা সমান্তরাল সারির মতো অবস্থান করে। এই মেঘে সাধারণত বৃষ্টি হয় না।
তবে বেশি মাত্রায় জমলে হালকা ধরণের বৃষ্টি হতে পারে।
অল্টো স্ট্র্যাটাস মেঘ :- ধূসর বা নীলচে
রঙের স্তূরীভূত এই মেঘ চাদরের মতো বিস্তৃত থাকে। আকাশের এক বিশাল অঞ্চল জুড়ে এই
মেঘ ছড়িয়ে থাকে। এই ধরণের মেঘ থেকে এক নাগাড়ে অনেক সময় ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বা
তুষার পাত হয়ে থাকে। এ মেঘ থেকে বিরাট অঞ্চল জুড়ে অনেকক্ষণ বৃষ্টি হয়।
৩) নিম্বো
স্ট্র্যাটাস মেঘ :- ধূসর বা কালো রঙের
মেঘ । নিম্ন স্তরের এই নিম্বো স্ট্র্যাটাস মেঘ প্রচুর বৃষ্টিপাত বা তুষারপাত হয়ে
থাকে। কিন্তু এই ধরণের মেঘ থেকে কখনো বিদ্যুৎ, বর্জ্রপাত ও শিলা বৃষ্টি হয় না। নিম্বো স্ট্যাটাস মেঘকে rain cloud বলা হয়।
স্ট্র্যাটো কিউমুলাস মেঘ :- ২.৫ কিমি থেকে ৩ কিমি উচ্চতায় যে সাদা রঙের মেঘ দেখা যায়।
এই ধরণের মেঘের উপস্থিতি পরিষ্কার আবহাওয়াকে নির্দেশ করে কিন্তু মাঝে মধ্যে এই
ধরণের মেঘ থেকে বৃষ্টি বা তুষারপাত হয়ে থাকে।মাঝ আকাশে অল্ট্রো কিউমুলাস মেঘ আরোও
ভারি ও গাঢ় রঙরূপ নিয়ে নিচে নেমে এসে এই নামের মেঘে পরিণত হয়। এর রং গাঢ় ধূসর থেকে
কালো পর্যন্ত হতে পারে।
স্ট্র্যাটাস মেঘ :- ঘন কুয়াশার মতো এই মেঘ গভীর ধূসর রঙের মেঘ,
যা ভূপৃষ্ঠ থেকে খুব
স্বল্প উচ্চতায় অবস্থান করে।
কিউমুলাস মেঘ :- টাওয়ার বা চূড়ার মতো উল্লম্ব বিস্তৃত ঘন মেঘ কে কিউমুলাস মেঘ বলে। এই মেঘ
গুলির ওপরের অংশ ফুলকপির মতো বিস্তৃত হয়। এই মেঘে পরিচলন স্রোতের উপস্থিতি লক্ষ্য
করা যায়। এই মেঘ স্থলভাগের ওপর দিনের বেলা দেখা যায়।
কিউমুলোনিম্বাস :- পাহাড় বা বড়ো টাওয়ারের মতো উল্লম্ব বিস্তৃত এই ঘন কালো
জলীয় বাষ্প পূর্ন এই মেঘ থেকে ক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এই
মেঘের ফলে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বর্জ্রপাত,
বিদ্যুৎ চমক ও শিলা
বৃষ্টি হয়ে থাকে। এই কিউমুলোনিম্বাস মেঘ
কে thunder cloud বলা হয়ে থাকে।
READ MORE
one day one concept CLICK HERE
GENERAL KNOWLEDGE PART 1 CLICK HERE
GEOLOGICAL TIME SCALE IN ENGLISH CLICK HERE
GEOLOGICAL TIME SCALE IN BENGALI CLICK HERE .
পৃথিবীর অন্দরমহলের বর্ননা click here
interior structure of the earth click here
KANT GASEOUS HYPOTHESIS CLICK HERE
কান্টের গ্যাসীয় মতবাদ CLICK HERE
Free note for REMOTE SENSING AND GIS CLICK HERE
Regional planning in india click here
NCERT CLASS_6 SHORT NOTE CLICK HERE
NCERT CLASS _6 SOLUTION CLICK HERE
ICSE class -ix click here
ICSE class -x click here
CLASS 6 WBBSE GEOGRAPHY CLICK HERE
জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগপ্রশ্ন-উত্তর click here
REGIONAL THEORIES CLICK HERE
দ্বাদশ শ্রেণী ভূগোল CLICK HERE
CURRENT AFFAIRS CLICK HERE
NOTES OF HUMAN GEOGRAPHY AND AND POPULATION GEOGRAPHY click here
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY FB TAYLOR CLICK HERE
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY TAYLOR IN BENGALI CLICK HERE
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY WEGNER CLICK HERE
CLIMATE OF INDIA CLICK HERE
ভূমিরূপ গঠন কারী প্রক্রিয়া ; উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল click here
বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ click here
মহিসঞ্চারন তত্ত্ব click here
Ugc net 2007 june paper 2 geography click here
Ugc net 2006 december paper 2 geography click here
UGC NET GEOGRAPHY 2007 DECEMBER CLICK HERE
UGC NET GEOGRAPHY 2008 JUNE CLICK HERE
WB CLASS 6 GEOGRAPHY CHAPTER 4 CLICK HERE
UGC NET GEOGRAPHY 2009 JUNE CLICK HERE
PLATE TECTONIC THEORY CLICK HERE
NCERT CLASS 7 GEOGRAPHY CLICK HERE
CORAL REEF IN BENGALI NOTE CLICK HERE
CORAL REEF CLICK HERE
HS GEOGRAPHY CLICK HERE
GEOGRAOHICAL TERM click here
NTA NET GEOGRAPHY PYQS- MODELS AND THEORIES, 2020-2006, PART-1 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY PYQS- MODELS AND THEORIES, 2020-2006, PART-2 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY PYQS- MODELS AND THEORIES, 2020-2006, PART-3 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY IMPORTANT ONE LINER , 2020-2006, PART-1 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY CLIMATOLOGY PYQS 2020-2006 PART 1 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY GEOMORPHOLOGY 2020-2006 PART 1CLICK HER E
0 Comments