ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া//Geomorphic Processes.
Geographia_www.geographia97.blogspot.com এ স্বাগত। এই ব্লগ পেজে ভূগোলের যাবতীয় বিভিন্ন টপিকের উপর studymaterialsদেওয়া
হয়। অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা সেই নোট তৈরি করা
হয়ে থাকে।আজকে উচ্চমাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওই পেজে
তুলে ধরা হচ্ছে।
১)জেমস হার্টন একজন
স্কটল্যান্ড এর প্রকৃতিবিদ তিনি বলেছিলেন" Present is key to the past"
২) ভূতত্ত্বের জনক বলা হয় স্যার চার্লস লয়েল কে।
৩) আধুনিক ভূমিবিদ্যার জনক বলা হয় উইলিয়াম মরিস
ডেভিস কে।
৪) ভূমিরূপ:- পৃথিবীর স্থলভাগের আকৃতি
গঠন উচ্চতা ঢাল বন্ধুরতা প্রকৃতি অনুসারে ভূমির যে রূপ গড়ে ওঠে তাকে ভূমিরূপ বলা
হয়।
৫) ক্ষয়সীমার ধারণা দেন যে.ডব্লিউ
পাওয়েল
৬) ভূমিরূপ প্রক্রিয়া:- পৃথিবীর অন্তর্জাত ও বহির্জাত শক্তির প্রভাবে ভৌত ও
রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের বিবর্তন ও পরিবর্তনই হলো ভূমিরূপ প্রক্রিয়া।
৭) ভূমিরূপ প্রক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়:-ক)
পার্থিব প্রক্রিয়া খ) মহাজাগতিক প্রক্রিয়া
৮) পার্থিব প্রক্রিয়া:- পৃথিবী পৃষ্ঠ এ যেসব ভূগঠনকারী প্রক্রিয়া ভূমিরূপের
বিবর্তন অনবরত কাজ করে চলে তাকে পার্থিব প্রক্রিয়া বলে।
৯) এই পার্থিব প্রক্রিয়া আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়।ক) অন্তর্জাত খ)বহির্জাত
১০) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া:- ভূ অভ্যন্তরে যে সব শক্তি দ্বারা ভূত্বকের
পরিবর্তন হয় তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলে।
১১) প্রকৃতি ও গঠন অনুসারে এই অন্তর্জাত প্রক্রিয়া
দুই ভাগে ভাগ করা হয়।1) দীর্ঘ সময়ব্যাপী
প্রক্রিয়া 2) স্বল্প সময় ব্যাপী প্রক্রিয়া।
১২) ভূ আলোড়নের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের উপর দীর্ঘ সময়
ধরে উলম্ব ও অনুভূমিক ভাবে প্রভাব পড়ে তাকে দীর্ঘ সময় ব্যাপী প্রক্রিয়া বলে।
১৩) এই দীর্ঘ সময় ব্যাপী প্রক্রিয়াকে প্রকৃতি
অনুসারে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় যেমন ভূগাঠনিক আলোড়ন , সমস্থিতিক আলোড়ন এবং
ইউসত্যাতিক আলোড়ন
১৪) ভূগাঠনিক আলোড়ন:- বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভূঅভ্যন্তরে
ধীরে ধীরে ভূত্বকের যে পরিবর্তন হয় তাকে ভুগাঠনিক আলোড়ন বলে।
১৫)ভূগাঠনিক আলোড়নকে দুইভাগে ভাগ করা হয় যেমন
মহিভাবক আলোড়ন এবং গিরিজনী আলোড়ন।
১৬) মহিভাবক আলোড়ন:- যে ভূ আলোড়নের প্রভাবে
মহাদেশ গঠিত হয় তাকে মহিভাবক আলোড়ন বলে।
১৭) গিরিজনী আলোড়ন:- ভূআলোড়নেরপ্রভাবেপর্বতগঠিতহয়তাকেগিরিজনী
আলোড়নবলে।
১৮)সমস্থিতিক আলোড়ন:- পর্বত মালভূমি,
সমভূমি প্রভৃতি আসথেন্সফিয়ার এর ভারসাম্য এর ব্যাঘাত ঘটলে যে আলোড়ন সৃষ্টি
হয় তাকে সমস্থিতিক আলোড়ন বলে।
১৯) ইউস্যাটিক আলোড়ন:- সমুদ্রজলের পরিমাণের
পরিবর্তনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান ও পতনজনিত পরিবর্তন হলো ইউস্যাটিক আলোড়ন বলে।
২০) কমসময়ব্যাপী আলোড়ন :- ভূঅভ্যন্তরে যে আলোড়নের
দ্বারা খুব দ্রুত গতিতে ও আকষ্মিক ভাবে ভূমির পরিবর্তন ঘটায় তাকে কমসময় ব্যাপী
আলোড়ন বলে।
২১)বহির্জাত প্রক্রিয়া:- ভূপৃষ্ঠের বাইরে সৃষ্ট
স্থিতিশীল প্রকৃতিক শক্তি যথা সূর্য, উষ্ণতা, চাপ, আর্দ্রতা ,
মেঘাচ্ছনতা, এবং গতিশীল শক্তি যেমন নদী বায়ু সমুদ্র হিমবাহের মাধ্যমে ভৌত ও রাসায়নিক
প্রক্রিয়ার দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধন করে তাকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।
২২) মহাজাগতিক প্রক্রিয়া:- পৃথিবীর বাইরে সৃষ্ট
শক্তি দ্বারা যে প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর ভূমিরূপের পরিবর্তন ও বিবর্তন ঘটে তাকে
মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বলে। যেমন:-
উল্কাপাত ফলে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা প্রদেশের ব্যারিঞ্জার
ক্রেটার সৃস্টি হয়।
২৩) বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য:-1।ভূপৃষ্ঠের
ও তার ঠিক স্বল্প নীচে উপপৃষ্ঠীয় অংশে এই প্রক্রিয়া বেশি কার্যকর হয়।
2।. এই প্রক্রিয়ার প্রধান প্রধান শক্তি হল নদি,বায়ু,হিমবাহ
এবং সমুদ্র তরঙ্গ
3। এই প্রক্রিয়ায় প্রধানত অবরোহণ , আরোহণ এবং জৈবিক পদ্ধতিতে
ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়।
4। বেশিরভাগ বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রধান উৎস হল সুর্য।
২৪) বহির্জাত প্রক্রিয়ার ফলে ভূপৃষ্ঠে ভূমিরূপের পরিবর্তন
হয় সেগুলি হল ক) আবহবিকার খ) ক্ষয়ীভবন গ) বহন ঘ) সঞ্চয়
২৫। পর্যায়নঃ জি.কে.গিলবার্ট প্রথম “grade” কথাটি ব্যবহার
করেন যা থেকে পর্যায়ন কথাটি এসেছে।
২৬। পর্যায়ন কথাটির অর্থ হল- ভূমিরূপের ভারসাম্য অবস্থালাভ।
২৭। চেম্বারলিন ও স্যালিসবারি মতে পর্যায়ন বলতে বহির্জাত
প্রক্রিয়াসমূহের দ্বারা সম্মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয়ের ফলে উঁচু নিচু ভূমিভাগ যখন সাধারণত
তলে পৌঁছায় তাকে পর্যায়ন বলে।
২৮। ক্ষয়ের শেষ সীমাকে base level of erosion বলে।
২৯। পর্যায়ন শক্তিঃ যে বহির্জাত শক্তি দ্বারা অর্থাৎ
নদী বায়ু হিমবাহ সমুদ্র তরঙ্গের প্রভাবে ভূমিরূপের উচ্চতার হ্রাস বৃদ্ধিতে এক সমতল
পর্যায় পরিণত হয় সেই শক্তি সমূহকে পর্যায়ন শক্তি বলে।
৩০। পর্যায়ন = ক্ষয় + বহন + সঞ্চয় / অবরোহণ+ অপসরণ +
আরোহণ
৩১। অবরোহণঃ বিভিন্ন বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের
উঁচু ভূমিরূপ যখন হ্রাস পায় তাকে অবরোহণ বলে।
৩২। আরোহণঃ বিভিন্ন বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রভাবে যখন
ভূপৃষ্ঠের নিচু ভূমির যখন উচ্চতা বৃদ্ধি পায় তাকে আরোহণ বলে।
৩৩। অবরোহণ মূলত তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে।ক)
আবহবিকার খ) ক্ষয়ীভবন গ) পুঞ্জিত ক্ষয়।
৩৪। আবহবিকারঃ আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা আর্দ্রতা,
মেঘাছন্নতা এবং বায়ুরচাপ প্রভৃতির প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ
হয়ে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত হয়ে সেই স্থানে পড়ে থাকে তাকে আবহবিকার বলে।
৩৫। আবহবিকারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ ১. যান্ত্রিক
আবহবিকার ২.রাসায়নিক আবহবিকার ৩. জৈবিক আবহবিকার
৩৬।পুঞ্জিত ক্ষয়ঃ যেসব প্রক্রিয়া দ্বারা আবহবিকারজাত
পদার্থ অভিকর্ষজ টানের প্রভাবে পর্বতের গা বেয়ে নীচে নেমে সঞ্চিত হয় একে পুঞ্জিত ক্ষয়
বলে। যেমনঃ পাহাড়ে ধস নামা।
৩৭। ক্ষয়ীভবনঃ যেসব প্রক্রিয়ার দ্বারা আবহবিকারজাত পদার্থ
এবং বিভিন্ন গতিশীল প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা উৎপত্তিস্থল থেকে স্থানান্তরিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের
উচ্চতার হ্রাস ঘটায় এবং ক্ষয় হতে হতে সমুদ্রপৃষ্ঠের সমান উচ্চতায় এসে উপনীত হয় তাকে
ক্ষয়ীভবন বলে।
৩৮। নগ্নিভবনঃ অবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় এবং ক্ষয়ীভবনের
মিলিত প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে শিলাস্তর বিছিন্ন হয়ে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে তাকে নগ্নিভবন
বলে।
৩৯। আরোহণের প্রভাবে নদীর দ্বারা প্লাবনভুমি, বদ্বীপ
, হিমবাহের প্রভাবে গ্রাবরেখা ,ড্রামলিন , বায়ুর প্রভাবে লয়েশ সমভূমি ইত্যাদি ভূমিরূপ
গড়ে উঠে।
৪০। জৈবিক প্রক্রিয়াঃ উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষ ভূপৃষ্ঠের
শিলাস্তরের আবহবিকার,পরিবহন, ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে এবং ভূপৃষ্ঠ
সমতলিকরন করে তাকে জৈবিক প্রক্রিয়া বলে।
৪১। কোন অঞ্চলে কোন প্রক্রিয়া বেশী কার্যকরি হয়?
শক্তিসমুহ |
অঞ্চল |
সুর্য |
মরু অঞ্চল |
নদী |
আর্দ্র অঞ্চল |
বায়ু |
পার্বত্য অঞ্চলে |
হিমবাহ |
মরু ও উপকূল অঞ্চল |
সমুদ্রতরঙ্গ |
উপকূল অঞ্চল |
ভৌমজল |
চুনাপাথর |
৪২। নদীর ক্ষয় কাজ করে জলপ্রবাহ
ক্ষয়, অবঘর্ষ , ঘষর্ণ , দ্রবণ প্রক্রিয়ার দ্বারা।
৪৩। হিমবাহের ক্ষয় করে উৎপাটন
, অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার দ্বারা।
৪৪। বায়ু ক্ষয় করে অবঘর্ষ , উতসঞ্ছন
সংঘর্ষ প্রক্রিয়ার দ্বারা।
৪৫। অবরোহণ ও আরোহণের পার্থক্য
বিষয় |
অন্তর্জাত প্রক্রিয়া |
বহির্জাত প্রক্রিয়া |
ধারনাঃ |
ভূ অভ্যন্তরে যে সব শক্তি দ্বারা ভূত্বকের পরিবর্তন হয় তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া
বলে। |
ভূপৃষ্ঠের বাইরে সৃষ্ট স্থিতিশীল প্রকৃতিক শক্তি যথা সূর্য, উষ্ণতা, চাপ,
আর্দ্রতা , মেঘাচ্ছনতা, এবং গতিশীল শক্তি যেমন নদী বায়ু সমুদ্র হিমবাহের মাধ্যমে
ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধন করে তাকে বহির্জাত প্রক্রিয়া
বলে। |
পদ্ধতিঃ |
ভূ অভ্যন্তরের শক্তির প্রভাবে |
ভূপৃষ্ঠের বাইরে প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে। |
শক্তিঃ |
পৃথিবীর অভ্যন্তরে গুরুমন্ডলে উত্তপ্ত গলিত স্থিতিস্থাপক পদার্থ সমূহের প্রভাবে |
নদি,বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ |
কাজের প্রকৃতিঃ |
ধীর ও আকস্মিক |
দীর্ঘ সময় |
ফলাফলঃ |
মহাদেশ ও মহাসাগর সৃষ্টি হয় |
বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় |
উদাহরনঃ |
ভূমিকম্প আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত |
আবহবিকার , ক্ষয়ীভবন নগ্নিভবন ইত্যাদি |
৪৬। অবরোহণ ও আরোহণের পার্থক্য
বিষয় |
অবরোহণ |
আরোহণ |
ধারণা |
বিভিন্ন বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রভাবে
ভূপৃষ্ঠের উঁচু ভূমিরূপ যখন হ্রাস পায় তাকে অবরোহণ বলে। |
বিভিন্ন বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রভাবে
যখন ভূপৃষ্ঠের নিচু ভূমির যখন উচ্চতা বৃদ্ধি পায় তাকে আরোহণ বলে। |
নিয়ন্ত্রক |
নদী বায়ু হিমবাহের ক্ষয় প্রকৃতি, আবহবিকার
এবং ক্ষয়ীভবন |
ভুমির ঢাল , আবহাওয়া ও জলবায়ু |
উচ্চতা |
হ্রাস পায় |
বৃদ্ধি পায় |
প্রক্রিয়ার প্রকৃতি |
বিনাশমূলক |
গঠনমূলক |
উদাহরণ |
ক্ষয়জাত মালভূমি |
বদ্বীপ |
৪৭। আবহবিকার ও নগ্নিভবন
বিষয় |
আবহবিকার |
নগ্নিভবন |
ধারনা |
আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা আর্দ্রতা, মেঘাছন্নতা এবং বায়ুরচাপ প্রভৃতির
প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত
হয়ে সেই স্থানে পড়ে থাকে তাকে আবহবিকার বলে। |
অবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় এবং ক্ষয়ীভবনের মিলিত প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে শিলাস্তর
বিছিন্ন হয়ে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে তাকে নগ্নিভবন বলে। |
সম্পর্ক |
আবহবিকারের নগ্নিভবনের দরকার নেই |
আবহবিকার ছাড়া নগ্নিভবন সম্ভব নয় |
স্থানান্তর |
শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে সেই স্থানে সঞ্চিত হয় |
শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে সেই স্থানে থেকে স্থানান্তরিত হয় । |
প্রক্রিয়া |
স্থিতিশীল |
গতিশীল |
৪৮।
বিষয় |
আবহবিকার |
পর্যায়ন |
ধারণা |
আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা আর্দ্রতা, মেঘাছন্নতা এবং বায়ুরচাপ প্রভৃতির
প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত
হয়ে সেই স্থানে পড়ে থাকে তাকে আবহবিকার বলে। |
চেম্বারলিন ও স্যালিসবারি মতে পর্যায়ন বলতে বহির্জাত প্রক্রিয়াসমূহের দ্বারা
সম্মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয়ের ফলে উঁচু নিচু ভূমিভাগ যখন সাধারণত তলে পৌঁছায় তাকে পর্যায়ন
বলে। |
প্রতিনিধি |
শক্তিসমূহ বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত |
শক্তিসমুহ প্রধানত ভূপৃষ্ঠে উপস্থিত কার্য |
শক্তি |
উষ্ণতা আর্দ্রতা বৃষ্টি এর মাধ্যম |
নদী বায়ু হিমবাহ সমুদ্র তরঙ্গ |
প্রক্রিয়া |
স্থিতিশীল |
গতিশীল |
স্থানান্তর |
শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে সেই স্থানে সঞ্চিত হয় |
শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে সেই ক্ষয় , বহন
সঞ্চিত হয় |
ফলাফল |
মাটি সৃষ্টিতে কাজে লাগে |
ভূমিরূপের বৈচিত্র্য সাধন করে। |
৪৯।
বিষয় |
আবহবিকার |
পুঞ্জিত ক্ষয় |
ক্ষয়ীভবন |
ধারণা |
আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা আর্দ্রতা, মেঘাছন্নতা এবং বায়ুরচাপ প্রভৃতির
প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত
হয়ে সেই স্থানে পড়ে থাকে তাকে আবহবিকার বলে। |
যেসব প্রক্রিয়া দ্বারা আবহবিকারজাত পদার্থ অভিকর্ষজ
টানের প্রভাবে পর্বতের গা বেয়ে নীচে নেমে সঞ্চিত হয় একে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে। যেমনঃ
পাহাড়ে ধস নামা। |
যেসব প্রক্রিয়ার দ্বারা আবহবিকারজাত পদার্থ এবং বিভিন্ন গতিশীল প্রাকৃতিক শক্তির
দ্বারা উৎপত্তিস্থল থেকে স্থানান্তরিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতার হ্রাস ঘটায় এবং ক্ষয়
হতে হতে সমুদ্রপৃষ্ঠের সমান উচ্চতায় এসে উপনীত হয় তাকে ক্ষয়ীভবন বলে। |
প্রক্রিয়া |
স্থিতিশীল |
গতিশীল |
গতিশীল |
শক্তি |
উষ্ণতা আর্দ্রতা বৃষ্টি এর মাধ্যম |
উষ্ণতা আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত |
প্রাকৃতিক শক্তিসমুহ |
স্থানান্তর |
শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে সেই স্থানে সঞ্চিত হয় |
মাটি ও অন্যান্য শিলাজাত পদার্থের অধোগমন ঘটে |
শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে স্থানান্তইত হয় |
স্থান |
সর্বত্র |
পার্বত্য অঞ্চল |
সর্বত্র |
৫০। আবহবিকার , ক্ষয়ীভবন ও নগ্নিভবনের পার্থক্যঃ
১) আবহবিকার দ্বারা শিলা চুর্ণ – বিচূর্ণ হয়ে ভূপৃষ্ঠে ক্ষয়ীভবন ও শেষে নগ্নিভবন
কার্যন, সহজে সম্পন্ন হয় ।
২) আবহবিকারের কাজ শিলা চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে ক্ষয়ীভবনের প্রভাবে এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং নগ্নীভবন দ্বারা শিলাস্তর উন্মুক্ত হয়।
৩) শিলাস্তর যত বেশী চুর্ণ বিচুর্ণ হবে ক্ষয়ীভবন তত দ্রুত হবে সেই সাথে শিলা উন্মুক্ত
হবে।
৪) আবহবিকার ক্ষয়ীভবন ও নগ্নিভবন ভিন্ন প্রক্রিয়া হলেও একে অন্যের পরিপূরক ।
Read More
If you want to join my telegram group
YOU TUBE CHANNEL LET'S LEARN GEOGRAPHY click here
NCERT CLASS_6 SHORT NOTE CLICK HERE
NCERT CLASS _6 SOLUTION CLICK HERE
ICSE class -ix click here
ICSE class -x click here
CLASS 6 WBBSE GEOGRAPHY CLICK HERE
জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগপ্রশ্ন-উত্তর click here
REGIONAL THEORIES CLICK HERE
দ্বাদশ শ্রেণী ভূগোল CLICK HERE
CURRENT AFFAIRS CLICK HERE
NOTES OF HUMAN GEOGRAPHY AND AND POPULATION GEOGRAPHY click here
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY FB TAYLOR CLICK HERE
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY TAYLOR IN BENGALI CLICK HERE
0 Comments