WBHSE CLASS 12 GEOGRAPHY // IMPORTANT QUESTION // জনসংখ্যা ও জনবসতি
জনঘনত্ব ও মানুষজমির অনুপাতের পার্থক্য
বিষয় |
মানুষ জমি অনুপাত |
জন ঘনত্ব |
ধারণা |
কোন দেশের মোট জনসংখ্যা এবং ওই দেশের মোট কার্যকর জমির অনুপাতকে
মানুষ-জমি অনুপাত বলে। |
কোনা দেশের মোট
জনসংখ্যা এবং ওই দেশের মোট জমির অনুপাতকে জনঘনত্ব বলে। |
সূত্র |
মোট জনসংখ্যা ÷ মোট কার্যকর জমির আয়তন |
মোট জনসংখ্যা ÷ মোট জমির আয়তন |
|
মানুষ-জমি অনুপাত একটি গুণগত সম্পর্ক। |
জনঘনত্ব একটি পরিমাণগত সম্পর্ক। |
উপাদান |
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কার্যক্ষম
মানুষ ও জমিকে গন্য করা হয়। |
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কার্যক্ষম
মানুষ ও জমিকে নয়, মোট জমি ও মানুষকে গন্য করা হয়। |
জীবনযাত্রার মান |
এটির মাধ্যমে কোনো দেশের আর্থিক অবস্থার সম্পর্কে জানা যায়। |
এটির মাধ্যমে কোনো দেশের
জন সংখ্যার সম্পর্কে জানা যায়। |
কাম্য জনসংখ্যা |
আদর্শ বা কাম্য
জনসংখ্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা যায়। |
কাম্য বা আদর্শ
জনসংখ্যা সম্পর্কে কোন ধারণা লাভ করা যায় না। |
বিক্ষিপ্ত
জনবসতি গড়ে ওঠার কারণ
অরণ্যাবৃত বন্ধুর
ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে, অনুর্বর কৃষিক্ষেত্রে এবং প্রতিকূল জলবায়ু অঞ্চলে জনবসতি বিক্ষিপ্তভাবে
গড়ে ওঠে। প্রাকৃতিক, আর্থসামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গঠিত হয়।
(1) প্রাকৃতিক কারণ
ভূপ্রকৃতি : বন্ধুর
বা তরঙ্গায়িত ভূপৃষ্ঠে, পাহাড়ের ঢালে, পাহাড়ের অভিক্ষিপ্তাংশে (Spur) ও শীর্ষদেশে
যেখানে ভূমি চাষবাসের অনুপযুক্ত, যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত এবং শিল্পস্থাপনের অনুপযুক্ত,
সেখানে জনবসতি বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠে। কুর্ক উপজাতিদের বসতি এই ধরনের বসতি।
জলবায়ু : প্রতিকূল জলবায়ু
অঞ্চলে, বিশেষত রুক্ষ জলবায়ু অঞ্চলের জমি চাষের অনুপযুক্ত। তাই, এই অঞ্চলে ভূমির বহন
ক্ষমতা কম হওয়ায় জনবসতি বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠে। উয়-আদ্র নিরক্ষীয় অঞ্চলে, হিমশীতল
মেরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে জীবনধারণের উপযুক্ত পরিবেশে গড়ে না ওঠায় জনবসতি বিক্ষিপ্তভাবে
গড়ে উঠেছে।
ভৌমজলের প্রাপ্যতা : পৃথিবীর
যেসব অঞ্চলে সর্বত্র জল পাওয়া যায় সেখানে পানীয় জল বা সেচের জন্য গভীর কূপ খননের
প্রয়ােজন হয় না, সেইসব অঞ্চলে জনবসতি বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠে। হরিয়ানার হিসার জেলায়
বিস্তীর্ণ কৃষিভূমিতে এইরূপ বিক্ষিপ্ত জনবসতি লক্ষ করা যায়।
বন্যা : গ্রামের যেসব জায়গা
বর্ষার সময় প্লাবিত হয় না, সেই সমস্ত জায়গায় লােকজন বিক্ষিপ্তভাবে বাস করে। প্লাবন
ভূমিতে বন্যার সময় যেসব অঞ্চলে চাষবাস হয় না সেইসব অঞ্চলে ঋতুকালীন কৃষিকাজ হয় বলে
অস্থায়ী বা স্থায়ী বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে। গঙ্গা ও ঘর্ঘরা নদীর প্লাবন সমভূমিতে
এই ধরনের বসতি লক্ষ করা যায়।
মৃত্তিকা : উর্বর
ও অনুর্বর-উভয় প্রকার মৃত্তিকায় বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে। অনুর্বর মৃত্তিকায় প্রতি
একক জমিতে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ কম। ফলে কৃষিজমিতে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে। আবার
বিস্তীর্ণ উর্বর কৃষিভূমিতে যেখানে মানুষ—জমি অনুপাত কম, সেখানে ব্যাপক পদ্ধতিতে বিস্তৃর্ণ
অঞ্চল জুড়ে চাষবাস হওয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জনবসতি গড়ে ওঠে। কানাডা ও মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে এইরূপ জনবসতি গড়ে উঠেছে।
(2) আর্থসামাজিক কারণ
কৃষিজমির প্রকৃতি : কৃষিজমি
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত হলে, কৃষিতে প্রয়ােজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার
করা যায় না। এর পরিবর্তে, কৃষিকাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়ােজন হয়। তাই কৃষকেরা কৃষিজমিতেই
বিক্ষিপ্তিভাবে জনবসতি গড়ে তোলে। পার্বত্য উপত্যকার ঢালে যেখানে চাষবাস হয়, সেখানে
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে জনবসতি গড়ে ওঠে।
শান্তি ও নিরাপত্তা : দীর্ঘদিন
শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকলে মানুষ সেই অঞ্চলের উন্মুক্ত প্রান্তরে বসতি স্থাপন
করে। সেচসেবিত এলাকায় যেখানে নিরাপত্তা অটুট, রােগের প্রকোপ নেই, সেইসব স্থানে বিক্ষিপ্ত
বসতি গড়ে ওঠে।
জাতিভেদে : নিম্নবর্ণের কৃষিজীবীরা
কৃষিজ ফসলের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে কৃষিজমিতেই কুয়াের পাশে বসতি স্থাপন করে বলে বসতিগুলি
বিক্ষিপ্ত প্রকৃতির হয়। তথাকথিত অস্পৃশ শ্রেণি, যারা সমাজের মূলস্রোত বহির্ভূত তারা
সাধারণত গ্রামের শেষ প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বসতি স্থাপন করে।
পশুচারণ ও যাযাবর বৃত্তি : পৃথিবীর
যেসব অঞ্চলে পশুচারণ ও যাযাবর বৃত্তি লক্ষ করা যায়, সেইসব অঞ্চলে বসতি বিক্ষিপ্তভাবে
গড়ে ওঠে। স্তেপ, প্রেইরি প্রভৃতি তৃণভূমি এবং হিমালয়ের গাদ্দি ও রাজস্থানের বানজারাদের
মধ্যে এই ধরনের বসতি লক্ষ করা যায়।
জাতিগত ও সামাজিক রীতিনীতি : জাতিগত বৈশিষ্ট্যের জন্য উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত
জনবসতি গড়ে ওঠে। অধিবাসীদের অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণেও বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠে।
বন্যপশু ও চুরির হাত থেকে শস্য রক্ষার জন্য মধ্য ভারতের পাহাড়ি এলাকায় ভূমির ঢালের
কেন্দ্রীয় স্থানে এই অঞ্চলের অধিবাসীরা তাদের বাসস্থান তৈরি করে। কুসংস্কার ও অজ্ঞতার
কারণে এরা একে অপরের প্রতি উদাসীন থাকে।
(3) অন্যান্য কারণ : বনভূমি পরিষ্কার করে তার প্রান্তভাগে এবং জলাভূমি উদ্ধার
করে তার সীমান্তবর্তী এলাকায় অধিবাসীরা বিক্ষিপ্তভাবে জনবসতি গড়ে তোলে। গুজরাতের
রাণ অঞ্চলে এবং চিলকা উপহ্রদের উত্তর-পূর্ব উপকূলের উদ্ধার করা জমির ওপর বিক্ষিপ্ত
জনবসতি গড়ে উঠেছে। নতুন রেলপথ কিংবা সড়কপথ তৈরি হলে রেলস্টেশনের পাশে বা বাসস্টপগুলিতে
দোকান, ধাবা প্রভৃতি গড়ে ওঠে। এইসব অঞ্চলে পরবর্তীকালে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে ওঠে।
জাতীয় সড়ক NH-3 ও NH-6-এর দুই ধারে এই জাতীয় বিক্ষিপ্ত বসতি লক্ষ করা যায়।
গোষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি ও বিক্ষিপ্ত
জনবসতির মধ্যে পার্থক্য
সংজ্ঞা:-
নির্দিষ্ট এলাকায়
সংঘবদ্ধভাবে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি বলে।
দূরে দূরে সংযােগহীন
এবং সম্পর্কহীন ভাবে যে জনবসতি গড়ে ওঠে তাকে বিক্ষিপ্ত জনবসতি বলে।
অবস্থান:-
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে
মৃদু ঢালযুক্ত সমতলভূমি, প্রায় সমতলভূমি, উর্বর মৃত্তিকা সমৃদ্ধ অঞ্চল এবং মনােরম
জলবায়ুযুক্ত অঞ্চলে গড়ে উঠতে দেখা যায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
অধিক ঢালযুক্ত পার্বত্য অঞ্চল, মালভূমি অঞ্চল এবং চরম জলবায়ুযুক্ত শুষ্ক, শুষ্কপ্রায়
ও শীতল অঞ্চলে গড়ে উঠতে দেখা যায়।
বাড়ির মধ্যে দুরত্ব:-
বাড়িগুলির মধ্যে
ব্যবধান কম, কাছাকাছি অবস্থান করে।
বাড়িগুলির মধ্যে
ব্যবধান বেশি, দূরে দূরে অবস্থান করে।
নিরাপত্তা:-
বাড়িগুলি কাছাকাছি
থাকায় নিরাপত্তার অভাব হয় না।
বাড়িগুলি দূরে দূরে
থাকায় নিরাপত্তার অভাব থাকে।
পারস্পরিক সম্পর্ক:-
জনসাধারণের মধ্যে
পারস্পরিক যােগাযােগ খুব বেশি।
জনসাধারণের মধ্যে
পারস্পরিক যােগাযােগ খুব কম।
জীবিকা:-
এই প্রকার জনবসতির
প্রধান জীবিকা চাষবাস।
এই জনবসতির প্রধান
জীবিকা পশুচারণ ও কাঠ সংগ্রহ।
বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বণ্টনের
ওপর পরিব্রাজনের প্রভাব আলোচনা করো?
বিশ্বের সর্বত্র
জনসংখ্যা সমহারে বন্টিত নয়, কোথাও খুব বেশি আবার কোথাও খুব কম জনসংখ্যা পরিলক্ষিত
হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণ, জন্মহার ও মৃত্যুহার ছাড়াও জনসংখ্যার এই অসম বণ্টনে
গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে পরিব্রাজন। পরিব্রাজনের জন্যেই বর্তমানে শহরগুলির
জনসংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গ্রামগুলিতে জনসংখ্যার হ্রাস ঘটেছে। অতীতে বিভিন্ন
সময়ে মানুষ এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিভিন্ন কারণে পরিব্রাজন করেছে। এই পরিব্রাজনের
ফলে বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যার বণ্টনের ওপর যে প্রভাব তা আলােচিত হল一
[1] ইউরোপ থেকে অন্যান্য
দেশে পরিব্রাজন : অতীতকালে ইউরােপ থেকে অসংখ্য মানুষ উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায়
পাড়ি দিয়েছিল, যার ফলে এই দুই মহাদেশের জনসংখ্যা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
1819 সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ছিল মাত্র 58 লক্ষ। কিন্তু এরপর পরিব্রাজনের
ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে 1975 সালে হয় 26 কোটি এবং বর্তমানে তা প্রায় 31 কোটি।
এইভাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ইউরােপের জনসংখ্যা ক্রমশ হ্রাস
পেয়েছে।
[2] পাকিস্তান থেকে
ভারতে পরিব্রাজন : 1947 সালে দেশ ভাগের সময় অগণিত মানুষ পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে
বসবাস শুরু করে। এরফলে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ইত্যাদি রাজ্যে জনসংখ্যা বিপুল পরিমাণে
বৃদ্ধি পায়।
[3] বাংলাদেশ থেকে
ভারতে পরিব্রাজন : 1970 সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিপুল পরিমাণে মানুষ
বাংলাদেশ ছেড়ে ত্রিপুরা, অসম, পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে এসে বসবাস
শুরু করে। এরফলে এইসব রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
[4] শ্রীলঙ্কা থেকে
ভারতে পরিব্রাজন : শ্রীলঙ্কা সরকারের বিভিন্ন কঠোর নীতির ফলে শ্রীলঙ্কার বহু মানুষ
ভারতে এসে বসবাস শুরু করে।
[5] আফ্রিকার বিভিন্ন
দেশ থেকে প্রতিবেশী দেশে পরিব্রাজন : প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা, দূর্ভিক্ষ, রাজনৈতিক
অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে সােমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে বহু
মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলিতে পরিব্রাজন করে।
[6] তিব্বত থেকে
ভারতে পরিব্রাজন : চিন যখন তিব্বত দখল করে তখন বহু তিবৃতীয় ভারতের বিভিন্ন স্থানে
পরিব্রাজিত হয়। এরফলে, ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
পৃথিবীতে জনসংখ্যা অসম বণ্টনের
কারণ কি কি?
পৃথিবীর যে সমস্ত
অঞ্চলের পরিবেশ অনুকূল ও বন্ধুভাবাপন্ন, সেই সমস্ত অঞ্চলেগুলিতে সাধারণত বেশি মানুষ
বসবাস করেন। অন্যদিকে যে সমস্ত অঞ্চলের পরিবেশ প্রতিকূল, সেই সমস্ত অঞ্চলে জীবনধারন
কষ্টসাধ্য বলে কম মানুষ বসবাস করেন। ভারতের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি।
ভারতের সমভূমি অঞ্চলগুলিতে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব যেমন খুব বেশি, তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে
জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব খুব কম এবং মালভূমি অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব মাঝারি ধরনের।ভারতের
বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংখ্যা বন্টনের বা জনঘনত্বের তারতম্যের কারণগুলি হল নিম্নরূপ-
A)প্রাকৃতিক কারণ-
1)ভূ-প্রকৃতি-ভূ-প্রকৃতি
ভারতের জনসংখ্যা বন্টনের বা জনঘনত্বের তারতম্যের
একটি অন্যতম কারণ।এদেশের গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদী অববাহিকা অঞ্চল
এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল সমতল হওয়ায় তা কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বণিজ্য ও পরিবহন
ব্যবস্থায় উন্নত। তাই সমভূমি অঞ্চলগুলিতে বেশি মানুষ বসবাস করেন এবং জনঘনত্ব বেশি
হয়। আবার হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল ও বিভিন্ন মালভূমি অঞ্চলগুলির ভূ-প্রকৃতি উঁচু-নিচু
বা বন্ধুর হওয়ায় সেখানে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা- বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা
কষ্টসাধ্য এবং ব্যয় সাপেক্ষ। তাই এই সমস্ত অঞ্চলে কম মানুষ বসবাস করেন এবং জনঘনত্ব
কম হয়।
২)জলবায়ু-ভারতের
জনসংখ্যা বন্টনের বা জনঘনত্বের তারতম্যের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো এদেশের জলবায়ু।ভারতের
সমুদ্র উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির জলবায়ু মনোরম হওয়ায় সেগুলির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেশি।অপরদিকে
উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলির জলবায়ু স্যাঁতসেঁতে বলে এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের
রাজ্যগুলির জলবায়ু শুষ্ক বলে সেগুলির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব অপেক্ষাকৃত কম।
৩)মৃত্তিকা-ভারতের
যে সমস্ত অঞ্চলের মৃত্তিকা উর্বর সেই সমস্ত অঞ্চলে কৃষিকাজ ভালো হয় বলে জনসংখ্যা ও
জনঘনত্ব বেশি হয়। অপরদিকে যে সমস্ত অঞ্চলের মৃত্তিকা অনুর্বর, সেই সমস্ত অঞ্চলে কৃষিকাজ
ভাল হয় না বলে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব কম হয়। যেমন-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকা
উর্বর হওয়ায় সেখানে কৃষিকাজের উন্নতি হেতু বেশি মানুষ বসবাস করেন। অপরদিকে ছোটনাগপুর
মালভূমি অঞ্চলের ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা অনুর্বর হওয়ায় সেখানে অপেক্ষাকৃত কম মানুষ বসবাস
করেন।
৪)নদ-নদী-উত্তর ভারতের
গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র এবং দক্ষিণ ভারতের মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী প্রভৃতি
নদী অববাহিকার জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেশি। কারণ এইসব নদী থেকে কৃষিকাজের প্রয়োজনীয়
জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জলপথে পরিবহন, পানীয় জল সরবরাহ ইত্যাদি নানা রকম সুযোগ-সুবিধা
পাওয়া যায়। এছাড়া এইসব নদী অববাহিকার উর্বর সমতলভূমিতে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বণিজ্য
ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে বলেও বেশি সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন।
৫)খনিজ সম্পদ প্রাপ্তি-খনিজ
সম্পদের প্রাপ্তির ওপর কোন অঞ্চলের জনসংখ্যার বন্টন বা জনঘনত্বের তারতম্য নির্ভর করে।
কোন অঞ্চলে মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া গেলে সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটে বলে অধিক
সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে।ফলে ওই অঞ্চলটির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। যেমন-একসময়
ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল জনবিরল ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ
আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে বর্তমানে ওই অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
B)অর্থনৈতিক কারণ-
১)শিল্প ও বানিজ্য-শিল্প
ও বানিজ্য অঞ্চল হল বহুমুখী অর্থনৈতিক ক্রিয়াকর্ম প্রসারের অনুকূল ক্ষেত্র। ভারতের
যে সকল অঞ্চলে শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি ঘটেছে সেই সকল অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব
বেশি। এই কারণে হাওড়া-হুগলি শিল্পাঞ্চল, দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল এবং মুম্বাই-আমেদাবাদ
শিল্পাঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব অত্যন্ত বেশি।
২)পরিবহন ব্যবস্থা-ভারতের
যে সমস্ত অঞ্চলের সড়ক, রেল ও জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত, সেই সমস্ত অঞ্চলের জনসংখ্যা
ও জনঘনত্ব বেশি।ভারতের গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব এই কারণে বেশি।অপরদিকে
যে সমস্ত অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত নয়, সেই সমস্ত অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব
কম। মধ্যপ্রদেশ ও উড়িষ্যার বেশ কিছু অঞ্চলে উক্ত কারণে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব কম।
৩)কৃষিকাজ ও পশুপালন-ভারতের
যে সমস্ত অঞ্চলের মৃত্তিকা উর্বর, জলসেচ ব্যবস্থা উন্নত সেই সমস্ত অঞ্চলে কৃষিকাজর
সুবিধা থাকায় অধিক লোক বসবাস করেন। আবার যে সমস্ত অঞ্চলে পশুপালনের সুবিধা দেখা যায়,
সেই সমস্ত অঞ্চলেও পশু পালনের কারণে অধিক মানুষ বসবাস করেন।ফলে কৃষিকাজ ও পশু পালনের
সুবিধা যুক্ত অঞ্চলগুলির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেশি হয়। গুজরাটের উত্তরাংশের জনসংখ্যা
ও জনঘনত্ব এই কারণে বেশি। অপরদিকে কৃষিকাজ ও পশুপালনের সুবিধাহীন অঞ্চলগুলিতে স্বাভাবিকভাবেই
জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব কম হয়।
৪)শিক্ষা কেন্দ্রের
অবস্থান-ভারতের বিভিন্ন বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী
পড়াশোনা করতে আসেন।ফলে ভারতের বিভিন্ন বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে
জনসংখ্যা ও জনঘনত্বের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। আলিগড় ও শান্তিনিকেতনের জনসংখ্যা ও
জনঘনত্ব উক্ত কারণে বেশি।
৫)অন্যান্য কারণ-উপরিলিখিত
বিষয়গুলি ছাড়াও ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানে পর্যটকের আগমন হেতু পর্যটন শিল্পের বিকাশ,
বৃহদায়তন শিল্প ও শিল্পাঞ্চলের অবস্থান, সরকারি নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলিও ভারতের জনসংখ্যার
বন্টন ও জনঘনত্বের তারতম্যের অন্যতম।
জনসংখ্যার বিবর্তন তত্ত্ব
ভূমিকাঃ কোন দেশের
জন্মহার , মৃত্যুহার ও পরিব্রাজন হার সেই দেশের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল। ১৯২৯ সালে ওয়ারেন থম্পসন ( Warren Thompson) সর্বপ্রথম জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও হ্রাসের ক্ষেত্রে
অর্থনৈতিক প্রভাবিত হওয়ার কথা বলেন। পরবর্তী কালে ১৯৪৫ সালে E.W.NOTESTEIN এর সুস্পষ্ট
ধারণা দেন। ১৯৬৬ সালে BEAUJEU – GARNIER জনবিবর্তন
সম্পর্কে ধারণা দেন।
সংজ্ঞাঃ জনবিবর্তন তত্ত্ব সম্পর্কে “ dictionary of
human geography” থেকে যে ধারণা পাওয়া যায় টা হলঃ “ A general model describing
the evolution of fertility and mortality over time . It has been devised with
particular reference to the experience of developed countries”
সুতরাং , কোন এক
নিদিষ্ট দেশে সময়ের সাথে সাথে জন্মহার , মৃত্যুহার ও পরিব্রাজন হার সেই দেশের আর্থ-
সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে তাকে
জনবিবর্তন তত্ত্ব বলে।
মূল তত্ত্বঃ কোন
দেশের সমাজ ও অর্থনীতি সেই দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহারের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।
এর মাধ্যমে মানব উন্নয়নের মাত্রা নির্ধারিত করা হয়ে থাকে। জন্মহার ও মৃত্যু হারের সম্পর্ক
কে নিচে আলোচনা করা হলঃ
১। উচ্চজন্মহার ও
উচ্চ মৃত্যুহারঃ = জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম = কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি = দুর্বল অর্থনীতি
ও সমাজ
২।। উচ্চ জন্মহার
ও নিম্নমুখী মৃত্যুহারঃ = দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি = শিল্পোন্নয়ন শুরু = উন্নয়নের প্রথম
পর্যায়
৩। নিম্নমুখী জন্মহার
ও নিম্নমুখী মৃত্যুহারঃ = জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম = উন্নত অর্থনীতি = আধুনিক কৃষি
, শিল্প ও বানিজ্য ভিত্তিক অর্থনীতি = উন্নত সমাজ
৪। নিম্ন জন্মহার
ও অতি নিম্নমৃত্যুহারঃ = জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কম এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম = অতিউন্নত
অর্থনীতি দুর্বল হওয়ার সম্ভবনা । এটি একটি সাময়িক ঘটনা।
১৯৬৬ সালে BEAUJEU – GARNIER জনবিবর্তনের তিনটি পর্যায়ের কথা বলেনঃ
১। ক্রম বর্ধমান
প্রাচীন প্রকৃতির হার
২। ক্রমবিবর্তিত
হার
৩।পরিনত হার
জনসংখ্যার বিবর্তনের
বিভিন্ন পর্যায়গুলি আলোচনা করা হলঃ
১। প্রাক – শিল্প
পর্যায়ঃ
· মূলত শিল্প বিপ্লবের আগের সময়কে বোঝানো হয়েছে
যেখানে উচ্চজন্মহার ও উচ্চমৃত্যুহার, কৃষিভিত্তিক সমাজ ,দুর্বল আর্থ- সামাজিক পরিকাঠামো, দুর্বল অর্থনীতি প্রভৃতি
দেখা যায়।
· এই পর্যায়ে অধিক মৃত্যুহারের কারণ চিকিৎসার
ক্ষেত্রে অনুন্নতি , মহামারি , দুর্ভিক্ষ , অপুষ্টি , প্রাকৃতির দুর্যোগ ও যুদ্ধবিগ্রহ প্রভৃতি।
· উদাহরণঃ পৃথিবীতে কোন জায়গাতে প্রাক – শিল্প পর্যায় নেই তবে আফ্রিকাতে জাম্বিয়া, গ্যাবন , সোয়াজিল্যান্ড
প্রভৃতি দেশে দেখা যায়।
২। নবীন পাশ্চাত্য
পর্যায়ঃ
· শিল্প বিপ্লবের সময়কে বোঝানো হয়েছে। উচ্চ জন্মহার ও নিম্নমুখী মৃত্যুহার এই পর্যায়ে
লক্ষ করা যায়।
· আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে মৃত্যুহার
অনেকটাই কমেছে।জন্মহার বেশী হওয়ার জন্য জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়।
· শিল্পান্নতি শুরু , আর্থ সামাজিক পরিকাঠামোরউন্নতির
ফলে দুর্বল অর্থনীতি সবল হওয়ার পথে।
· জন্মহার নিয়ন্তিত করতে না পারলে জনবিস্ফরন
ঘটতে পারে।
· উদাহরণঃ চিন, বাংলাদেশ ব্রাজিল রোমানিয়া প্রভৃতি
দেশ।
৩। আধুনিক পাশ্চাত্য
পর্যায়ঃ
· শিল্পের প্রসার ও নগরায়ন হয় যার ফলে জীবনযাত্রার
মানের উন্নতি হয় এছাড়া নিম্নমুখী জন্ম ও মৃত্যুহার যদিও জন্মহার অপেক্ষাকৃত বেশী ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়
তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম।
· চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে মৃত্যুহার কমেছে।
· উন্নত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো জীবনযাত্রার মানকে
উন্নতি করে।
· শহর ও নগরের উদ্ভব ঘটে ।
· উদাহরণঃ ভারত মূলত তৃতীয় পর্যায়ের অন্তর্গত।
৪। পরিণত পর্যায়ঃ
· জন্মহার ও মৃত্যুহার নিয়ন্তিত।
· শিল্পের উন্নতির ফলে দেশের সব ক্ষেত্রের উন্নতি
ঘটেছে।
· জীবন যাত্রার মান উন্নত।
· উন্নত অর্থনীতি
· উদাহরণঃ আমেরিকা , জাপান, ফ্রাস যুক্তরাষ্ট্র
প্রভৃতি
৫। পঞ্চম পর্যায়ঃ
কিছু কিছু ভৌগোলিক এই পঞ্চম পর্যায়ের কথা বলেছেন যা সাধারণত
অতি উন্নত দেশের জন্যে প্রযোজ্য। যেখানে জন্মহার ও মৃত্যুহার নিয়ন্তিত ,মৃত্যুহার জন্মহার
অপেক্ষা বেশী এই জন্য ঋণাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলা হয়, যদিও এটি সাময়িক সময়ের জন্যে । সেইসব দেশে অতি উন্নত অর্থনীতি,
উচ্চ জীবনযাত্রার মান হওয়ার জন্যে জন্মহার
কম হয় ।এই ঋণাত্মক বৃদ্ধির জন্যে অনেক সময় অর্থনীতি ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
এই পর্যায়ের অন্তরগর্ত
দেশ হল নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি।
উপসংহারঃ সব পর্যায়গুলি
সব দেশে সমান ভাবে প্রযোজ্য নয় ।আমেরিকার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় দেখা যায়নি।জন্মহার
ও মৃত্যুহার সবক্ষেত্রে সমান হারে নাও কমতে
পারে। তবুও জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
one day one concept CLICK HERE
GENERAL KNOWLEDGE PART 1 CLICK HERE
GEOLOGICAL TIME SCALE IN ENGLISH CLICK HERE
GEOLOGICAL TIME SCALE IN BENGALI CLICK HERE .
পৃথিবীর অন্দরমহলের বর্ননা click here
interior structure of the earth click here
KANT GASEOUS HYPOTHESIS CLICK HERE
কান্টের গ্যাসীয় মতবাদ CLICK HERE
Free note for REMOTE SENSING AND GIS CLICK HERE
Regional planning in india click here
NCERT CLASS_6 SHORT NOTE CLICK HERE
NCERT CLASS _6 SOLUTION CLICK HERE
ICSE class -ix click here
ICSE class -x click here
CLASS 6 WBBSE GEOGRAPHY CLICK HERE
জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগপ্রশ্ন-উত্তর click here
REGIONAL THEORIES CLICK HERE
দ্বাদশ শ্রেণী ভূগোল CLICK HERE
CURRENT AFFAIRS CLICK HERE
NOTES OF HUMAN GEOGRAPHY AND AND POPULATION GEOGRAPHY click here
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY FB TAYLOR CLICK HERE
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY TAYLOR IN BENGALI CLICK HERE
CONTINENTAL DRIFT THEORY BY WEGNER CLICK HERE
CLIMATE OF INDIA CLICK HERE
ভূমিরূপ গঠন কারী প্রক্রিয়া ; উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল click here
বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ click here
মহিসঞ্চারন তত্ত্ব click here
Ugc net 2007 june paper 2 geography click here
Ugc net 2006 december paper 2 geography click here
UGC NET GEOGRAPHY 2007 DECEMBER CLICK HERE
UGC NET GEOGRAPHY 2008 JUNE CLICK HERE
WB CLASS 6 GEOGRAPHY CHAPTER 4 CLICK HERE
UGC NET GEOGRAPHY 2009 JUNE CLICK HERE
PLATE TECTONIC THEORY CLICK HERE
NCERT CLASS 7 GEOGRAPHY CLICK HERE
CORAL REEF IN BENGALI NOTE CLICK HERE
CORAL REEF CLICK HERE
HS GEOGRAPHY CLICK HERE
GEOGRAOHICAL TERM click here
NTA NET GEOGRAPHY PYQS- MODELS AND THEORIES, 2020-2006, PART-1 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY PYQS- MODELS AND THEORIES, 2020-2006, PART-2 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY PYQS- MODELS AND THEORIES, 2020-2006, PART-3 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY IMPORTANT ONE LINER , 2020-2006, PART-1 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY CLIMATOLOGY PYQS 2020-2006 PART 1 CLICK HERE
NTA NET GEOGRAPHY GEOMORPHOLOGY 2020-2006 PART 1CLICK HER E
0 Comments