ABTA TEST PAPER 2021-2022 GEOGRAPHY PAGE 41
IMPORTANT 2 MARKS QUESTIONS
১) অ্যাকুইক্লুড কি?
উত্তরঃভু- অভ্যন্তরে যে শিলা জলধারন করতে সক্ষম কিন্তু ভূ-অভ্যন্তরে পরিবহনে সক্ষম হয় না তাদের অ্যাকুইক্লুড বলে । উদাহরণ – কাদাপাথর
২) পর্যায়ন কি?
উত্তরঃবহির্জাত শক্তির দ্বারা ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরন প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলে।
৩) অক্সিলোফাইট কাদের বলা হয়?
উত্তরঃযেসব উদ্ভিদ আম্লিক মৃত্তিকায় জন্মায় তাদের অক্সিলোফাইট বলে। উদাহরণ: পাইন, ফার, বার্চ ইত্যাদি।
৪) গ্লোবাল অয়ার্মিং কি?
উত্তরঃগ্রীন হাউস প্রভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয়, অরণ্যচ্ছেদন প্রভৃতি কারণে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে । সারা পৃথিবী জুড়ে উষ্ণতার এই ক্রমবর্দ্ধমান বৃদ্ধিকেই বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming) নামে অভিহিত করেছেন ।বিগত ৮০০০ বছর ধরে এই তাপমাত্রা প্রায় স্থির ছিল । কিন্তু গত ১০০ বছরের হিসেবে প্রমাণিত যে এই তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । গবেষণা করে দেখা গেছে, বিগত ১০০ বৎসরে পৃথিবীর তাপমাত্রা ০.৫° C বৃদ্ধি পেয়েছে । বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১.৫°-২.০° C পর্যন্ত এবং ২১০০ সালের মধ্যে ১.৮°C থেকে ৬.৩° C এর মতো বৃদ্ধি পেতে পারে ।
৫) এলুভিয়েশন ও ইলুভিয়েশনের পার্থক্য লেখ?
উত্তরঃযে প্রক্রিয়ায় মাটির উপরের স্তর থেকে খনিজ পদার্থ বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে বা জলে ভাসমান অবস্থায় থাকে। এলুভিয়েশন ও ইলুভিয়েশনের পার্থক্য নিম্নরুপ-
১। এলুভিয়েশন পদ্ধতি মাটির ওপরের স্তরে ঘটে থাকে। অন্যদিকে ইলুভিয়েশন পদ্ধতি মাটির নীচের স্তরে ঘটে থাকে
২। এলুভিয়েশন পদ্ধতিতে ধৌত প্রক্রিয়ায় মাটির শীর্ষস্তর থেকে দ্রবীভূত খনিজের অপসারণ ঘটে। অন্যদিকে ইলুভিয়েশন পদ্ধতি তে মাটির নিম্নস্তরে দ্রবীভূত খনিজের সঞ্চয় ঘ
৩। এলুভিয়েশন পদ্ধতিতে মাটির উপরিস্তর খনিজশূন্য হয়ে পড়ে এবং স্তরের রং হালকা হতে থাকে। অন্যদিকে ইলুভিয়েশন পদ্ধতি তে মাটির নীচের স্তর খনিজসমৃদ্ধ হয় এবং মাটির রং গাঢ় হ
৪। যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে এলুভিয়েশন ঘটে থাকে। এজন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত দরকার। অন্যদিকে ইলুভিয়েশনের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে এলুভিয়েশনের প্রকৃতি ও পদ্ধতির ওপ
৫। এলুভিয়েশন পদ্ধতি মাটির A স্তর গঠিত হয়। অন্যদিকে ইলুভিয়েশন পদ্ধতি মাটির B স্তর গঠিত হয়।র।য়।টে।।
৬) শস্য প্রগারতা কি?
উত্তরঃএকটি কৃষিবর্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিতে একাধিকবার শস্য উৎপাদন করা হলে তাকে শস্য প্রগাঢ়তা শস্য বৈচিত্র বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় প্রকৃত চাষের জমির সঙ্গে মোট চাষের জমির অনুপাত শতাংশে প্রকাশ করা হলে তাকে শস্য প্রগাঢ়তা বলে।
৭) শ্রীলঙ্কার নারকেল উৎপাদক অঞ্চলগুলি লেখ?
উত্তরঃকুরুনেলগালা,পুট্টালাম ও কলম্বো
৮) কানাডার কাগজ শিল্পের প্রধান কেন্দ্রগুলি লেখ?
উত্তরঃ১)অন্টারিও
২)মন্ট্রিল-কুইবেক
৩)নিউফাউন্ডল্যান্ড
৪)ব্রিটিশ কলম্বিয়া
৫)অন্যান্য অঞ্চল-উপরিলিখিত কাগজ শিল্প কেন্দ্রগুলি ছাড়াও কানাডার প্রিয়ারমন্ট, লুইসহিল, বাকিংহাম, প্রভৃতি অঞ্চলেও কাগজ শিল্প গড়ে উঠেছে।
৯)ভ্যালোরাইজেশন কি?
উত্তরঃব্রাজিলে কফি চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় কোন কোন বছর প্রচুর পরিমানে কফি উৎপাদন হয়, ফলের কফির দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে । তাই বাজারে কফির মূল্য বৃদ্ধির জন্য কৃষক রা অতিরিক্ত কফি পুড়িয়ে নষ্ট করে বাজারে কফির কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে, একেই ভ্যালোরাইজেশন বলে।
১০)স্মার্ট সিটি কাকে বলে?
উত্তরঃএকটি স্মার্ট সিটি এমন একটি নগর অঞ্চল যা বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করার জন্য বৈদ্যুতিন পদ্ধতি এবং সেন্সর ব্যবহার করে। সেই ডেটা থেকে প্রাপ্ত অন্তর্দৃষ্টিগুলি সম্পদ, সংস্থান এবং পরিষেবাগুলি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়; বিনিময়ে, ডেটা শহর জুড়ে অপারেশনগুলি উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ দিল্লি।
১১) ভারতে নগরায়নে দুটি নেতিবাচক প্রভাব লেখ?
উত্তরঃভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো -
i) বসতির অভাব : ভারতীয় বড় বড় নগর গুলিতে জনসংখ্যার চাপ এতটাই বেশি যে সকল মানুষের জন্য বাসস্থান বা আবাসস্থল এর অভাব পরিলক্ষিত হয় । তাছাড়া মানুষ জীবিকার খোঁজে শহরে চলে এলে এখানে বাসস্থানের অভাব সৃষ্টি হয় ।ফলস্বরূপ রেললাইনের পাশে ,রাস্তার ধারে, খালপাড়ে ,বস্তিতে মানুষ আশ্রয় নেয়
ii) পরিবহন সমস্যা : ভারতীয় শহরগুলিতে পরিবহন গত সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যানজট সম্পর্কিত সমস্যা। ভারতের প্রায় প্রতিটি শহরের নিত্যদিনের একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে ।বড় বড় নগর গুলির বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার সামলানোর জন্য যে পরিমাণ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজন তা না থাকায় এই ভারতীয় শহর বা নগরগুলিতে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।।
১২) জনবিবর্তন মডেলের বিভিন্ন পর্যায় লেখ?
উত্তর কোন দেশের জন্মহার , মৃত্যুহার ও পরিব্রাজন হার সেই দেশের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল। ১৯২৯ সালে ওয়ারেন থম্পসন ( Warren Thompson) সর্বপ্রথম জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও হ্রাসের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রভাবিত হওয়ার কথা বলেন। পরবর্তী কালে ১৯৪৫ সালে E.W.NOTESTEIN এর সুস্পষ্ট ধারণা দেন। ১৯৬৬ সালে BEAUJEU – GARNIER জনবিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেন।
সংজ্ঞাঃ জনবিবর্তন তত্ত্ব সম্পর্কে “ dictionary of human geography” থেকে যে ধারণা পাওয়া যায় টা হলঃ “ A general model describing the evolution of fertility and mortality over time . It has been devised with particular reference to the experience of developed countries”
সুতরাং , কোন এক নিদিষ্ট দেশে সময়ের সাথে সাথে জন্মহার , মৃত্যুহার ও পরিব্রাজন হার সেই দেশের আর্থ- সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে তাকে জনবিবর্তন তত্ত্ব বলে।
মূল তত্ত্বঃ কোন দেশের সমাজ ও অর্থনীতি সেই দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহারের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। এর মাধ্যমে মানব উন্নয়নের মাত্রা নির্ধারিত করা হয়ে থাকে। জন্মহার ও মৃত্যু হারের সম্পর্ক কে নিচে আলোচনা করা হলঃ
১। উচ্চজন্মহার ও উচ্চ মৃত্যুহারঃ = জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম = কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি = দুর্বল অর্থনীতি ও সমাজ
২।। উচ্চ জন্মহার ও নিম্নমুখী মৃত্যুহারঃ = দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি = শিল্পোন্নয়ন শুরু = উন্নয়নের প্রথম পর্যায়
৩। নিম্নমুখী জন্মহার ও নিম্নমুখী মৃত্যুহারঃ = জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম = উন্নত অর্থনীতি = আধুনিক কৃষি , শিল্প ও বানিজ্য ভিত্তিক অর্থনীতি = উন্নত সমাজ
৪। নিম্ন জন্মহার ও অতি নিম্নমৃত্যুহারঃ = জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কম এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম = অতিউন্নত অর্থনীতি দুর্বল হওয়ার সম্ভবনা । এটি একটি সাময়িক ঘটনা।
ABTA TEST PAPER MCQ and SAQ CLICK HERE
Sayantani Singh
GEOGRAPHIA
উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২২ CLICK HERE
ঊচ্চ মাধ্যমিক প্রাকৃতিক ভূগোল MCQ PART 1 CLICK HERE
ঊচ্চ মাধ্যমিক প্রাকৃতিক ভূগোল MCQ PART 2 CLICK HERE
ঊচ্চ মাধ্যমিক প্রাকৃতিক ভূগোল MCQ PART 3 CLICK HERE
ঊচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য CLICK HERE
উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন - উত্তর CLICK HERE
AQUIFER CLICK HERE
ভৌমজল CLICK HERE
KARST LANDFORM CLICK HERE
জনসংখ্যা ও জনবসতি CLICK HERE
0 Comments