Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল ঃ গুরুত্বপুর্ন পার্থক্য // MOST IMPORTANT DIFFERENCE OF GEOGRAPHY CLASS 12 //TARGET 2022 //WBHSE

উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল ঃ গুরুত্বপুর্ন পার্থক্য // MOST IMPORTANT DIFFERENCE OF GEOGRAPHY CLASS 12 //TARGET 2022 //WBHSE 

১. স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইটের পার্থক্য প্রশ্নমান ২/৩

 

স্ট্যালাকটাইট

স্ট্যালাগমাইট

১. দ্রবীভূত চুনাপাথর মিশ্রিত জল গুহার  ছাদ থেকে জল চুইয়ে  মেঝেতে পড়তে শুরু করে এবং বাষ্পীভবনের ফলে ক্যালশিয়াম কার্বনেট সঞ্চিত হয়ে ঝুরির আকারে ঝুলতে থাকে তাকে স্টালাকটাইট বলে।

. গুহার ছাদ থেকে জলের ফোঁটা একটু একটু  করে মেঝেতে জমে মোটা স্তম্ভের আকার নেয় তাকে স্টালাগমাইট বলে। বিহারের সাসারামের কাছে গুপ্তেরশবর গহ্বরে এই ধরনের ভুমিরুপ দেখা যায়।

 

২. স্তম্ভের উপর লম্বাটে হয় ও নিম্নগামী

২. স্থুল ও ঊর্ধ্বগামী

৩. আকৃতিতে অপেক্ষাকৃত বড়

৩. আকৃতিতে অপেক্ষাকৃত ছোট

৪. দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হার বেশী

৪. দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হার  অপেক্ষাকৃত  কম

৫. তীক্ষ্ণফলার মতো দেখতে হয়

৫. গম্বুজাকৃতি হয়ে থাকে

৬. গুহার ছাদের সন্নিহিত অংশের পরিধি কম হয় ।

৬. গুহার মেঝের  সন্নিহিত অংশের পরিধি বেশী হয় ।

 ২. এল নিনো  ও লা নিনার পার্থক্য 

বিষয়

এল নিনো

লা নিনা

অর্থ

এল নিনো কথাটি স্প্যানিশ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ ছোটো ছেলে ।

লা নিনা কথাটি স্প্যানিশ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ ছোটো মেয়ে ।

সমুদ্রস্রোতের উৎপত্তি

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পুর্ব উপকূল অর্থাৎ পেরু ও ইকুয়েডরের উপকূল অঞ্চলে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত দেখা যায়

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পুর্ব উপকূল অর্থাৎ পেরু ও ইকুয়েডরের উপকূল অঞ্চলে শীতল সমুদ্রস্রোত দেখা যায়

ওয়াকার সার্কুলেশনের অবস্থা

বিপরীত মুখী অবস্থায় এল নিনোর সৃষ্টি

স্বাভাবিক অবস্থায় লা  নিনার  সৃষ্টি

বায়ুরচাপ

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পুর্ব উপকূলে নিম্নচাপ ও পশ্চিম উপকূলে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পুর্ব উপকূলে উচ্চচাপ ও পশ্চিম উপকূলে  নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়

সমুদ্রজলের উষ্ণতা

স্বাভাবিকের থেকে ১ – ৫ ডিগ্রি বেশী থাকে

স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম থাকে ।

আয়নবায়ু

আয়নবায়ু দুর্বল থাকে

আয়নবায়ু সক্রিয় থাকে।

মৌসুমি বায়ুর উপর প্রভাব

এল নিনোর প্রভাবে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেরিতে আসে এবং বৃষ্টিপাত কম হয়

লা – নিনার প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়

বৃষ্টিপাত ও খরা

এল নিনোর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়া ,দক্ষিণ পুর্ব এশিয়া অঞ্চলে খরা সৃষ্টি হয় । পেরু ইকুয়েডর অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়

লা নিনার প্রভাবে অস্ট্রেলিয়া ,দক্ষিণ পুর্ব এশিয়া অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এবং পেরু ইকুয়েডর অঞ্চলে খরা সৃষ্টি হয়




 

৩.. উষ্ণ সীমান্ত ও শীতল সীমান্তের পার্থক্য



বিষয়

উষ্ণ সীমান্ত

শীতল সীমান্ত

সংজ্ঞা

উষ্ণ বায়ু , শীতল বায়ুকে যে তল বরাবর স্থানচ্যুত করে তাকে উষ্ণ সীমান্ত বলে।

শীতল বায়ু উষ্ণ বায়ুকে যে তল বরাবর স্থানচ্যুত করে তাকে শীতল  সীমান্ত বলে।

সীমান্তের প্রকৃতি

তির্যক প্রকৃতি

উত্তল হয়ে থাকে

ঢাল

মৃদু ঢাল

অপেক্ষাকৃত বেশী ঢাল । ১০০ মিটার হয়ে থাকে

তাপ ও চাপ

বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়াতে চাপ হ্রাস পায়

বায়ুর উষ্ণতা কম হওয়ায় বায়ুর চাপ বেশী হয়।

বৃষ্টিপাত

কম হয়

বেশী হয়

আবহাওয়া

বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি কম হয়

প্রচুর বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি হয়

মেঘের সঞ্চার

সিরাস , ওল্টোস্ট্র্যাটাস ও নিম্বো স্ট্র্যাটাস মেঘের সঞ্চার হয় ।

 কিউমুলোমিম্বাস মেঘের সঞ্চার হয়।




.৪..    ক্রান্তীয় ঘূর্নবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্নবাতের পার্থক্য 



৫. ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ ঘুর্নবাত 

বিষয়

ক্রান্তীয় ঘূর্নবাত

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্নবাত

সংজ্ঞা

নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ৫º থেকে ২৩১/২ º  অক্ষরেখা বরাবর কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখার মাঝে যে ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় তাকে ক্রান্তীয় ঘূর্নবাত বলে।

উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ৩৫º থেকে ৬৫º অক্ষাংশে দুই বিপরীতধর্মী বায়ুর ( মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল বায়ু এবং ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে আগত উষ্ণ – আর্দ্র বায়ু ) সংঘর্ষে উষ্ণবায়ু সীমান্ত বরাবর  শীতলবায়ুর উপর প্রবল বেগে উপরে উঠে যায় একে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্নবাত বলে।

অবস্থান -

 নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ৫º থেকে ২৩১/২ º  অক্ষাংশের মধ্যে সংঘটিত হয়।

উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ৩৫º থেকে ৬৫º অক্ষাংশের মধ্যে সংঘটিত হয়।

ব্যাস

১০০ কিমি থেকে ৭০০ কিমি পর্যন্ত হয়।

২০০ কিমি থেকে ৩০০০ কিমি পর্যন্ত হয়

বিস্তার

অপেক্ষাকৃত ছোটো। উল্লম্ভ গভীরতা বেশী

অপেক্ষাকৃত বড় । উল্লম্ভ গভীরতা অপেক্ষাকৃত কম।

 উৎপত্তিস্থল

 সমুদ্রর উপর

স্থল বা ভুমিভাগের উপর

উৎপত্তি সময়

গ্রীষ্ম ও শরত কাল

শীতকাল

উৎপত্তি

 নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ৫º থেকে ২৩১/২ º  অক্ষরেখা বরাবর কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে সমুদ্রজল অধিক উষ্ণ হওয়ার জন্য বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় ফলে ঐ  জায়গাতে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । তখন চারপাশের অপেক্ষাকৃত শীতল ও ভারী বায়ু প্রবল বেগে কুণ্ডলী আকারে ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে। 

দুই বিপরীতধর্মী বায়ুর ( মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল বায়ু এবং ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে আগত উষ্ণ – আর্দ্র বায়ু ) সংঘর্ষে উষ্ণবায়ু সীমান্ত বরাবর  শীতলবায়ুর উপর প্রবল বেগে উপরে উঠে যায়।

গতিবেগ

 ৫০ থেকে ৪০০ কিমি

৩০ থেকে ৩৫ কিমি

দিক

 সমুদ্র থেকে স্থল্ভাগের দিকে প্রবাহিত হয়

পশ্চিমা বায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পশ্চিম থেকে পুর্বে প্রবাহিত হয় 

স্থায়িত্ব

স্বল্প সময়

 দীর্ঘ সময়

তীব্রতা

বিধ্বংসী

অপেক্ষাকৃত কম

 

 

 

 

৬.. ঘূর্ণবাত ও প্রতীব ঘূর্ণবাতের পার্থক্য




বিষয়

ঘূর্ণবাত

প্রতীব ঘূর্ণবাত

ধারণাঃ

কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে স্বল্প পরিসর স্থানে তাপমাত্রা হঠাত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। বায়ুচাপের সমতা বজায় রাখার জন্য আশপাশের শীতল বায়ু কালক্রমে নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে এবং উষ্ণ বায়ু উর্দ্ধগামী হয় এই বায়ুকে ঘূর্ণবাত বলে।

মেরু অঞ্চল ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে কোনও স্থানের তাপমাত্রা অধিক শীতল হওয়ার কারণে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় ফলে বায়ু কেন্দ্রের বাইরের দিকে অর্থাৎ নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। একে প্রতীব  ঘূর্ণবাত বলে।

প্রকৃতি

ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে থাকে নিম্নচাপ।

প্রতীব ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে থাকে উচ্চচাপ।

বায়ুর দিক

শীতল বায়ু বাহিরে থেকে  কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে

শীতল বায়ু বাহিরের দিকে   কেন্দ্রের থেকে  ছুটে যায়।

বায়ুর প্রকৃতি

উষ্ণ ও উর্দ্ধমুখী বায়ু

শীতল ও আধোমূখী বায়ু

ঘূর্ণণের দিক

উত্তর গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ডানদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।

উত্তর গোলার্ধে ডানদিকেবেঁকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে  বামদিকেবেঁকে প্রবাহিত হয়।

গতিবেগ

মাঝারি থেকে তীব্র

ধীর গতি সম্পন্ন

বৃষ্টিপাত

প্রচুর বৃষ্টি

বৃষ্টি হয়না

মেঘাচ্ছন্নতা

মেঘে পরিপূর্ন

রোদে ঝলমল করে।

স্থায়িত্ব

কম সময়ের জন্য স্থায়ী

দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।



 ৭.শুষ্ক উপত্যকা ও অন্ধ উপত্যকার পার্থক্য প্রশ্নমান ২/৩

 

শুষ্ক উপত্যকা

অন্ধ উপত্যকা

১. কার্স্ট অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী সিঙ্ক হোলের মধ্যে প্রবেশ করে নদী উপত্যকা সিঙ্কহোল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় কার্স্ট অঞ্চলের এই রূপ উপত্যকাকে অন্ধ উপত্যকা বলে

১. পূর্বেকার নদী উপত্যকার কোন স্থানে নদীর সব জল সিঙ্কহোলের মধ্যে প্রবেশ করলে নদী উপত্যকার নিম্ন অংশ শুষ্ক উপত্যকা রূপে অবস্থান করে

২. কার্স্ট অঞ্চলে নদী উপত্যকায় কোনো জলপ্রবাহ থাকে না।  

২. কার্স্ট অঞ্চলে নদী উপত্যকায়  সারাবছর  জলপ্রবাহ থাকে।

৩. সিংক হোলের পরবর্তির ভাটির দিকে নিম্ন  উপত্যকা

৩. সিংক হোলের পরবর্তির উজানের  দিকে নিম্ন  উপত্যকা

৪. জলপ্রবাহের অভাবে এই উপত্যকায় ক্ষয়কার্য প্রায় হয় না ।

৪। জলপ্রবাহের জোগানে এই উপত্যকায় ক্ষয়কার্য হয়

৫. ক্ষয়কার্যের অভাবে এই উপত্যকা অগভীর হয়।

৫. অত্যধিক নিম্নক্ষয়ের ফলে উপত্যকা গভীর হয়।

৬. অগভীর হওয়ার ফলে পর্যাপ্ত আলো থাকে

৬. সংকীর্ণ ও গভীর হয় উপত্যকা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

 ৮.অবরোহণ  ও আরোহণের পার্থক্য প্রশ্নমান ২/৩ 

বরোহন

আরোহণ

অবরোহন প্রক্রিয়া ক্ষয়ের মাধ্যমে উঁচু ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায়

আরোহণ প্রক্রিয়ায় সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে নীচু ভূমি ভরাট হয়ে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি করে ।

বহির্জাত প্রক্রিয়াসমূহের দ্বারা ভূমিভাগের উচ্চতা হ্রাস ঘটানাের প্রক্রিয়া হল অবরোহন

নদীর ক্ষয়জাত ও পরিবাহিত সমস্ত পদার্থের পুঞ্জীভবন ও সঞ্চয় হল আরোহণ

অবরোহন ঘটে থাকে নদীর খাড়া ঢালু অংশে।

আরোহণ ঘটে থাকে নদীর মৃদু ঢালু অংশে ও প্লাবনভূমিতে।

বরোহন ফলে উত্তল ও অবতল ঢাল তৈরি হয়।

আরোহণ ফলে সমতলভূমি গঠিত হয়।

বিভিন্ন প্রকার ক্ষয় জাত ভূমিরূপ গঠিত হয়।

সঞ্চয়জাত  ভূমিরূপ যেমন- দ্বীপ, পলিগঠিত শঙ্কু, স্বাভাবিক বাঁধ, প্লাবনভূমি ইত্যাদি গঠিত হয়।

 

 

 

 

 




৯. এলভিয়েশন ও ইলুভিয়েশনের  পার্থক্য প্রশ্নমান ২/৩ 

পার্থক্যের বিষয়

এলুভিয়েশন

ইলুভিয়েশন

সংজ্ঞা

যে প্রক্রিয়ায় অনুস্রবন রত জলের সাথে মৃত্তিকার উপাদান গুলি দ্রবীভুত অবস্থায় উর্দ্ধস্তর থেকে নিম্ন স্তরের দিকে নামতে থাকে, তাকে এলুভিয়েশন বলে।

মাটির উর্দ্ধস্তর থেকে যান্ত্রিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় দ্রবীভূত খনিজ গুলি মৃত্তিকার নিম্ন স্তরে সঞ্চিত হতে থাকে, এই সঞ্চয় পদ্ধতিকে ইলুভিয়েশন বলে।

প্রক্রিয়ার স্থান

এলুভিয়েশন পদ্ধতি মাটির ওপরের স্তরে ঘটে থাকে।

ইলুভিয়েশন পদ্ধতি মাটির নীচের স্তরে ঘটে থাকে।

পদার্থের 

স্থানান্তর

ধৌত প্রক্রিয়ায় মাটির শীর্ষস্তর থেকে দ্রবীভূত খনিজের অপসারণ ঘটে।

মাটির নিম্নস্তরে দ্রবীভূত খনিজের সঞ্চয় ঘটে।

বর্ণ

মাটির উপরিস্তর খনিজশূন্য হয়ে পড়ে এবং স্তরের রং হালকা হতে থাকে।

মাটির নীচের স্তর খনিজসমৃদ্ধ হয় এবং মাটির রং গাঢ় হয়।

পদ্ধতি

যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে এলুভিয়েশন ঘটে 

থাকে। এজন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত দরকার।

ইলুভিয়েশনের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে এলুভিয়েশনের প্রকৃতি ও পদ্ধতির ওপর।

স্তর গঠন মাটির

মাটির A স্তর গঠিত হয়।

মাটির B স্তর গঠিত হয়।

ধৌত প্রক্রিয়া

এলুভিয়েশন প্রক্রিয়ায় ধৌত প্রক্রিয়া অধিক কার্যকরী হওয়ায় খনিজের অপসারণ বেশি হয়।

ইলুভিয়েশন প্রক্রিয়ায় ধৌত প্রক্রিয়া কম হয় বলে মৃত্তিকার নিম্নস্তরে খনিজের সঞ্চয় ঘটে।

১০.  পেডোক্যাল ও পেডালফার মাটির পার্থক্য

বিষয়

পেডোক্যাল

পেডালফার

 অর্থ

Pedocal = Ped + Cal অর্থাৎ, মৃত্তিকা + ক্যালসিয়াম কার্বনেট

Pedalfer = Ped + Al + Fer অর্থাৎ, মৃত্তিকা + অ্যালুমিনিয়াম + লৌহ অক্সাইড

ধারণা

যে মৃত্তিকায় ক্যালসিয়াম বা চুনের পরিমাণ বেশি থাকে তাকে পেডোক্যাল মৃত্তিকা বলে।

যে মৃত্তিকায় অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার পরিমাণ বেশি থাকে, তাকে পেডালফার মৃত্তিকা বলে।

উৎপত্তি

স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি হলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং লবণ কৈশিক প্রক্রিয়ায় ভূমির নীচের স্তর থেকে উঠে এসে পেডোক্যাল মৃত্তিকা সৃষ্টি করে।

অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে ধৌত প্রক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম অপসারিত হয়ে কেবল অ্যালুমিনিয়াম ও লৌহ অক্সাইড অবশিষ্ট থেকে পেডালফার মৃত্তিকা সৃষ্টি করে।

প্রকৃতি

এটি শুষ্ক অঞ্চলের মৃত্তিকা ।

এটি আর্দ্র অঞ্চলের মৃত্তিকা ।

রং

এই মৃত্তিকাতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই, এই মৃত্তিকা সাধারণত ধূসর বা কালো রঙের হয়।

এই মৃত্তিকাতে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই, এই মৃত্তিকা সাধারণত লাল রঙের হয়।

রাসায়নিক ধর্ম

পেডোক্যাল মৃত্তিকায় ক্ষারীয়তার পরিমাণ বেশি থাকে।

পেডালফার মৃত্তিকায় অম্লতার পরিমাণ বেশি থাকে।

উর্বরতা

এই মৃত্তিকা অপেক্ষাকৃত বেশি উর্বর।

 এটি তুলনামূলকভাবে কম উর্বর।

PH মাত্রা

পেডোক্যাল মৃত্তিকায় PH এর মাত্রা 7 এর বেশী হয়।

পেডালফার মৃত্তিকায় PH এর মাত্রা 7 এর কম হয়।

উদাহরণ

চার্নোজেম

পডসল

















১১. গোষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি ও বিক্ষিপ্ত জনবসতির মধ্যে পার্থক্য

সংজ্ঞা:-
  • নির্দিষ্ট এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি বলে।

  • দূরে দূরে সংযােগহীন এবং সম্পর্কহীন ভাবে যে জনবসতি গড়ে ওঠে তাকে বিক্ষিপ্ত জনবসতি বলে।

অবস্থান:-
  • বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃদু ঢালযুক্ত সমতলভূমি, প্রায় সমতলভূমি, উর্বর মৃত্তিকা সমৃদ্ধ অঞ্চল এবং মনােরম জলবায়ুযুক্ত অঞ্চলে গড়ে উঠতে দেখা যায়।

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অধিক ঢালযুক্ত পার্বত্য অঞ্চল, মালভূমি অঞ্চল এবং চরম জলবায়ুযুক্ত শুষ্ক, শুষ্কপ্রায় ও শীতল অঞ্চলে গড়ে উঠতে দেখা যায়।

বাড়ির মধ্যে দুরত্ব:-
  • বাড়িগুলির মধ্যে ব্যবধান কম, কাছাকাছি অবস্থান করে।

  • বাড়িগুলির মধ্যে ব্যবধান বেশি, দূরে দূরে অবস্থান করে।

নিরাপত্তা:-
  • বাড়িগুলি কাছাকাছি থাকায় নিরাপত্তার অভাব হয় না।

  • বাড়িগুলি দূরে দূরে থাকায় নিরাপত্তার অভাব থাকে।

পারস্পরিক সম্পর্ক:-
  • জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক যােগাযােগ খুব বেশি।

  • জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক যােগাযােগ খুব কম।

জীবিকা:-

  • এই প্রকার জনবসতির প্রধান জীবিকা চাষবাস।

  • এই জনবসতির প্রধান জীবিকা পশুচারণ ও কাঠ সংগ্রহ।



১২.. আর্দ্র ও শুষ্ক কৃষির পার্থক্য

বিষয়

আর্দ্র কৃষি

শুষ্ক কৃষি

সংজ্ঞা 

পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে সেচকার্য ছাড়াই পরিমিত অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এর সাহায্যে যে কৃষি কাজ করা হয়, তাকে আর্দ্র কৃষি বলে।

বছরে 50 সেমির কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে খরাসহনশীল শস্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে শুষ্ক কৃষি বলে।

জলবায়ু 

উষ্ণ ও আর্দ্র নিরক্ষীয় এবং মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে আর্দ্র কৃষি দেখা যায়। 

উষ্ণ শুষ্ক মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে শুষ্ক কৃষির প্রচলন দেখা যায়। 

বৃষ্টিপাত 

বছরে ১৫০ থেকে ২০০ সেমির বেশি বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে আর্দ্র কৃষি ব্যবস্থা দেখা যায়। 

সাধারণত যেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৭৫ সেমির কম সেখানে শুষ্ক কৃষিকাজ হয়ে থাকে। 

প্রধান ফসল 

আর্দ্র কৃষির প্রধান ফসল গুলি হল – ধান, পাট, আখ প্রভৃতি ।

শুষ্ক কৃষির  প্রধান ফসল গুলি হল – গম, ভুট্টা, মিলেট ও ডাল ।

উৎপন্ন ফসল 

আর্দ্র কৃষিতে হেক্টর প্রতি ফসল উৎপাদনের পরিমান বেশি। 

শুষ্ক কৃষির ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি ফসল উৎপাদনের পরিমান অনেক কম । 

আধুনিক পদ্ধতি 

আর্দ্র কৃষিতে আধুনিক কৃষিপদ্ধিতে চাষাবাদ করা হয়। 

শুষ্ক কৃষিতে আধুনিক কৃষিপদ্ধতি চাষাবাদ হয় না।

Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code