কোপেন কৃত জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ
১৯০০ সালে জার্মান উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও জলবায়ুবিদ্ ভ্লাদিমির কোপেন সর্বপ্রথম সর্বজনগ্রাহ্য পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ করেন। তিনি ১৮৭৪ সালে ফ্রান্সের উদ্ভিদবিদ্ কোন্দল ( Candolle ) স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগের উপর নির্ভর করে তাঁর জলবায়ু তত্ত্বটি প্রকাশ করেন। পরবর্তী কালে ১৯১৮ সালে মাসিক গড় উষ্ণতা ও মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের বন্টনের উপর নির্ভর করে পরিমার্জিত করে প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৩১ও ১৯৩৬ সালে পুনরায় পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে প্রকাশ করেন।১৯৫৩ সালে বিজ্ঞানী গিগার পহী( Geigger- Pohi) পুনরায় কোপেন কৃত জলবায়ু শ্রেণিবিভাগের পরিমার্জন করে প্রকাশ করেন ।
কোপেন কৃত জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ সংক্রান্ত বিষয়টি সর্বজনগ্রাহ্য হওয়ার কারণ হলো এটি একটি সংখ্যামূলক প্রকৃতির এবং তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে। তিনি জলবায়ুকে ইংরেজি অক্ষর দ্বারা চিহ্নিত করেছেন।তিনি কোন্দলের দেওয়া স্বাভাবিক উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে জলবায়ুকে পাঁচ ভাগে ভাগ করছেন।যথা A,B,C,D,E, জলবায়ু ।
পরবর্তী সময়ে কোপেন বৃষ্টিপাত, শুষ্কতা ও আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে ৫ টি জলবায়ু ও ১১ টি উপজলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করেন এবং উপজলবায়ুকে তিনি ইংরেজি ছোট অক্ষর ব্যবহার করেন।
উপজলবায়ুর চিহ্নিতকরনের জন্য তিনি যে ইংরাজি ছোট অক্ষর ব্যবহার করেন সেগুলির বৈশিষ্ট্য হলঃ
কোপেনের জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগের সরল রূপ
কোপেনের জলবায়ু শ্রেনিবিভাগের সুবিধাঃ
তিনি জলবায়ু ও উপ- জলবায়ুকে ইংরাজিকে অক্ষর ব্যবহার করায় জা সহজবোধ্য হয়ে উঠেছে।
বার্ষিক বৃষ্টিপাত , ঋতুগত বণ্টন ও উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে শ্রেনিবিভাগ করা হয়েছে। যার ফলে তথ্য সংগ্রহের সুবিধা হয়েছে।
উদ্ভিদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ুর সীমানা নির্ধারন করেছেন
কোপেনের জলবায়ুর শ্রেনিবিভাগের সমালোচনাঃ
অল্প পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই শ্রেনিবিভাগ করা হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে কোপেনের জলবায়ুর সাথে স্বাভাবিক উদ্ভিদের সামঞ্জস্য নেই।
সমভুমির উপর প্রযোজ্য হলেও উচ্চভুমিতে সমস্যা দেখা যায়।
তিনি দুটো প্রধান জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যবর্তী জলবায়ুকে শনাক্ত করেননি ।
সুবিধা ও অসুবিধা থাকার সত্ত্বেও কোপেনকৃত জলবায়ুটি সর্বগ্রাহ্য ও অতি গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় ।
0 Comments