CURRENT YEAR 2020 IS LA_ NINA YEAR: IMPACT OF EL_NINO AND LA_ NINA ON INDIAN MONSOONAL CLIMATE // চলতি বছর অর্থাৎ ২০২০ তে লা_নিনার প্রভাবঃ ভারতীয় মৌসুমী জলবায়ুতে এল_ নিনো ও লা_ নিনার প্রভাব
বিভিন্ন
সমীক্ষা মাধ্যমে অনুমান করা হয়েছিল যে গত বছর ২০১৯ সাল হয়তো এল_নিনো বছর হবে,
কিন্তু পরবর্তী কালে দেখা গেছে যে ২০১৯ সাল না এল_নিনো না লা_লিলা বছর ছিল , ENSO
স্বাভাবিক অবস্থায় বিরাজ করছিল। কিন্তু বর্তমানে “ United States National
Organic and Atmospheric Administration” রিপোর্ট অনুসারে অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২০ তে লা _ নিনার আগমনের ৫০% - ৫৫% সম্ভবনা রয়েছে। এর প্রভাবে শীতেও বৃষ্টির সম্ভবনা থাকবে।
সেই রিপোর্ট অনুসারে বলে হচ্ছে যে প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রজলের উষ্ণতা
স্বাভাবিকের থেকে কম থাকায় যার প্রভাবে লা_ নিনা উৎপত্তির।
এল_নিনো ও
লা_নিনা উভয় শব্দটি স্প্যানিশ শব্দ থেকে এসেছে। এল_নিনোর অর্থ হল – ছোট ছেলে , এবং
লা _নিনার অর্থ- ছোট মেয়ে । এল_ নিনো ও লা_ নিনার সাথে অতোপত ভাবে সম্পর্কভুক্ত
আরও দুটো বিষয়ঃ ক) ENSO খ) WALKER CIRCULATION
ক্রান্তীয়
প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের পূর্বদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা স্বাভাবিকের থেকে ৫ºC বেশী হারে বাড়ে ফলে সেখানকার জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে অস্বাভাবিক ভাবে, একে এল_নিনো(EL_NINO) বলে। প্রশান্ত মহাসাগরের
পূর্বদিক অর্থাৎ পেরু – ইকুয়েডর অঞ্চলে ২ থেকে ৭ বছর অন্তর অন্তর এই অবস্থা লক্ষ্য
করা যায়। ১৮০০ সালের খ্রিস্টমাসের সময় দক্ষিণ আমেরিকার মৎস্যজীবীরা লক্ষ্য করেন যে
সমুদ্রজলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশী , সাধারণত বানিজ্য বায়ু প্রবাহ
কালে শীতকালে মূলত উচ্চচাপ বিরাজ করে , কিন্তু সমুদ্রজলের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে নিম্নচাপ
বিরাজ করেছে। সেই থেকে এল _ নিনোর উৎপত্তি ।
এল_নিনোর
ঠিক বিপরীত অবস্থা হল লা নিনা। উভয়ই এল_নিনো ও লা_নিনার সৃষ্টি হয় বানিজ্যবায়ুর
অস্বাভাবিক পরিবর্তনে , আমরা জানি বানিজ্যবায়ু ( Trade Wind ) পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। এল_নিনো পর্যায়ে বানিজ্যবায়ু দুর্বল
থাকায় প্রবাহকালে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না, এবং সমুদ্র জলের
তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশী থাকায় নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় ফলে পেরু অঞ্চলে বৃষ্টি
পাত হয় এবং ভারতীয় উপকূল, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া , আফ্রিকা উপকূলে বৃষ্টিপাতের
পরিমাণ কম হয় অনেক খরা দেখা যায়। লা _ নিনা পর্যায়ে বানিজ্যবায়ু শক্তিশালী হওয়ার
জন্য ভারতীয় উপকূল, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ,
আফ্রিকা উপকূলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশী হয় এবং অনেক সময় বন্যা হয়ে থাকে। এদের
স্থায়িত্ব ৯ থেকে ১২ মাস হয়ে থাকে। সাধারণত লা_নিনার থেকে এল_ নিনো বেশী পরিমাণের
হয়। এল_নিনো আর লা_নিনার সাথে ENSO, WALKER CIRCULATION , SOUTHERN OSCILIATION ইত্যাদি সম্পর্কভুক্ত।
ENSO(এনসো) হল
একটি চক্রাকারে আবর্তিত প্রক্রিয়া যা তিনটি পর্যায়ের মাধ্যমে সংগঠিত হয়। এল_নিনো,
লা_নিনা এবং স্বাভাবিক পর্যায়। এল_নিনোর প্রভাবে পেরু , ইকুয়েডরে বৃষ্টি হয়,
লা_নিনার প্রভাবে ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ,ভারতে বৃষ্টি হয়। এবং স্বাভাবিক
পর্যায়ে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের
কাছাকাছি থাকে। সাউদান অসিলেশন ( Southern Oscillation) মাধ্যমে লা_নিনা বা এল_নিনোর তীব্রতা কতটা তা জানা যায়। দক্ষিণ প্রশান্ত
মহাসাগরের তাহিটি ও অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের মধ্যে দূরত্ব ৮৫৬৯ কিমি এই দুইয়ের মধ্যে
বায়ুচাপের পার্থক্য পরিমাপ করা হয় । যদি SOI এর মান পজিটিভ হয় তাহলে লা_নিনা অবস্থা এবং SOI এর মান নেগেটিভ হলে এল_নিনো অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এই
এল_নিনো ও লা_নিনার প্রভাব পড়ে মৌসুমি জলবায়ুর উপর। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা যায় যে
মৌসুমি বায়ুর খামখেয়ালীর জন্য এল_নিনো(EL_NINO) ও লা_নিনার( La _ Nina) ভূমিকা রয়েছে। সাধারণত এল_নিনো(EL_NINO) এর প্রভাবে পেরু ও
ইকুইডরে বৃষ্টি ও
অস্ট্রেলিয়া উপকূলে খরা দেখা দেয়। লা_নিনার প্রভাবে ঠিক তার উল্টো অবস্থা দেখা যায়। Gautam et.al 2013 সালের সমীক্ষায় দেখান যে ১৯৮০
থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ছয়টি বছর গেছে এল_নিনোর প্রভাবে। ২০০২,২০০৪,২০০৬ এবং ২০০৯ ।
২০০৬ সাল ছাড়া বাকি বছর গুলিতে খরার সম্মুখীন হয়।
আরো এক
রিপোর্টে জানা যায় যে ২০১৪ ও ২০১৬ সাল এল _নিনো বছর নয় তবে স্বাভাবিকের থেকে কম
বৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর এবং এল _ নিনো বছর অনুমান করা হলেও
স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হয়।
বর্তমানে
“ United States
National Organic and Atmospheric Administration” রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সাল লা_ নিনা বছর যার প্রভাবে ৫০% বৃষ্টি শীতকালেও হতে পারে। আমেরিকার মেরিল্যান্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী Raghu Murtugdde, মতে , “El
Niño
tends to produce a weaker monsoon but only 50 per cent of the weaker monsoons
are attributable to El Niño. La Niña
tends to do the opposite and produce a wetter monsoon,” । তাঁর মতে আগস্ট – সেপ্টেম্বর মাসে বেশী বৃষ্টি হওয়ার
সম্ভবনা রয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে “GEOPHYSICAL RESEARCH LETTERS” মাধ্যমে জানা
যায় যে, ১৯৮০ সালের পর থেকে মৌসুমি জলবায়ুর উপর লা_নিনার প্রভাব ৬৮% কমে গেছে।
১৯৯৫, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০০, ২০০৮, এবং ২০১০ । লা_নিনার প্রভাব কম কারন প্রশান্ত
মহাসাগরের জলের উষ্ণতার পরিবর্তন, ১৯৮০ সালের পর থেকে ভারত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের
উষ্ণতার পরিবর্তন। এল_নিনো ও লা_নিনা মূলত খ্রিস্টমাসের সময় উৎপত্তি হয় এবং মৌসুমি
জলবায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয় জুন মাসে। কিন্তু এল_নিনো ও লা_নিনার প্রভাবে কিভাবে
বৃষ্টি বা খরার সৃষ্টি হয়।এর কারন স্বরূপ দেখা যায় যে, মৌসুমি বায়ুর প্রবেশকালে
এল_নিনো বা লা_নিনার গঠন পর্যায় থাকে তাই দুটি বিষয়কে আলাদা করা মুশকিল।
তথ্যঃ
·
উইকিপেডিয়া
·
ডাউন টু আর্থ ম্যাগাজিন
·
দ্য হিন্দু
·
Climatic impact
of El NiAo/La Niiia on the Indian monsoon by R. H. Kripalani
and Ashwini Kulkarni
·
Impact of El-Nino
and La-Nina on Indian Climate
and Crop Production
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
@সায়ন্তনী সিং
@জিওগ্রাফিয়া
2 Comments
Nice
ReplyDeleteKhub valo
ReplyDelete