জীবমণ্ডলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য // Important information about biosphere
১. Biosphere (জীবমন্ডল) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন - এডওয়ার্ড সুয়েস (১৮৭৫ সালে ) ।
২. জীব ও জীবনের ধারক ও বাহক - জীবমন্ডল ।
৩. জীবমন্ডলের গড় উলম্ব বিস্তার - ১৩ কিমি ।
৪. জীবমন্ডলে বায়ুমন্ডলের গড় বিস্তার ৬ কিমি এবং সমুদে বিস্তার ৭ -কিমি ।
৫. জীবমন্ডলের সর্বাধিক বিস্তার - বায়ুমন্ডলের ১৫ কিমি, ব্যাকটিরিয়ার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ।
৬. জীবমন্ডলের সর্বাধিক ঘনত্ব শিলামন্ডলে ১০ মিটার সমুদ্রে ২০০ মিটার বায়ুমণ্ডলে ৩০০ মিটার গভীরতায় ঘটে
৭. পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বাস্তুতন্ত্র হল - জীবমন্ডল।
৮. জীবমন্ডল হল - একটি উন্মুক্ত প্রণালী ।
৯. জৈব কারখান কাকে বলা হয় - শিলামন্ডলকে ।
১০. বাস্তুতন্ত্র শব্দটি প্রথমকে ব্যবহার করেন - আর্থার জর্জ ট্যান্সলে (১৯৩৫ সালে )।
১১. বাস্তুতন্ত্রের ধারণার জনক কাকে বলে - আর্থার জর্জ ট্যান্সলেকে ।
১২. বাস্তুসংস্থানের মূল কার্যকরী একক হল - বাস্তুতন্ত্র ।
১৩. পরিবেশের গঠনগত ও কার্যগত একক হল - বাস্তুতন্ত্র ।
১৪. বাস্তুবিদ্যা ( ECOLOGY ) শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন - ১৮৬৬ সালে আর্নেস্ট হেকেল ।
১৫. বাস্তুবিদ্যার জনক হল - আর্নেস্ট হেকেল ।
১৬. বাস্তুতন্ত্রে শক্তির একমাত্র উৎস হল - সূর্য ।
১৭. বাস্তুতন্ত্রের সকল উদ্ভিদ গোষ্ঠিকে ফ্লোরা এবং প্রাণী গোষ্ঠিকে ফণা বলে ।
১৮.বাস্তুতন্ত্রের সালোকসংশ্লেষ স্বভোজী : সবুজ উদ্ভিদ ।
১৯. রাসায়নিক সংশ্লেষ স্বভোজী : কোমোসিন্থেটিক জীবাণু ।
২০.সূর্যালোক ছাড়াই সরল যৌগ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জটিলতর পুষ্টিযৌগে পরিবর্তিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে কেমোসিন্থেসিস বলে ।
২১. বাস্তুতন্ত্রে কোনো জীবের বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকাকে রিজার্ভপুল বলে ।
২২.জীবভর : নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে নির্দিষ্ট সময়ে সমস্ত সজীব বস্তুর শুষ্ক ভর অর্থাৎ জীবের সংখ্যা ও পরিমাণকে জীবভর বলে । উদ্ভিদের জীবতর সবচেয়ে বেশি হয় ।
২৩. ডেট্রিটাস : বিয়োজকরা বর্জ্য পদার্থকে যখন আংশিক পচিয়ে ফেলে, তখন সেই অসম্পূর্ণ অর্ধবিয়োজক পদার্থকে ডেট্রিটাস বলে ।
২৪. ডেট্রিভোর : যে সমস্ত ছোটো ছোটো প্রাণী খাদ্য হিসাবে ডেট্রিটাস পদার্থকে গ্রহণ করে, তাদের ডেট্রিভোর বলে ।
২৫. লোটিক বাস্তুতন্ত্র : প্রবাহমান বা স্বাদু জলের বাস্তুতন্ত্রকে লোটিক বাস্তুতন্ত্র বলে । যেমন - নদীর বাস্তুতন্ত্র
২৬. লেনটিক বাস্তুতন্ত্র : স্থির ও স্বাদু জলের বাস্তুতন্ত্রকে লেনটিক বাস্তুতন্ত্র বলে । যেমন - পুকুরের বাস্তুতন্ত্র, হ্রদের বাস্তুতন্ত্র ।
২৭. বেনথস বাস্তুতন্ত্র : গভীর ও নোনা জলের বাস্তুতন্ত্রকে বেনথস বাস্তুতন্ত্র বলে ।
২৮. নেরিটিক বাস্তুতন্ত্র : অগভীর সমুদ্রের নোনা জলের বাস্তুতন্ত্রকে নেরিটিক বাস্তুতন্ত্র
২৯।. বিয়োজকের উদাহরণ : ছত্রাক, ব্যাকটিরিয়া প্রভৃতি
৩০. বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের ধারণাদেন - চার্লস এলটন ১৯২৭ সালে
৩১. খাদ্যশৃঙ্খলের শক্তি প্রবাহ একমুখী ।
৩২. চারণভূমি খাদ্যশৃঙ্খলের উদাহরণ : ঘাস - ফড়িং - ব্যাং - সাপ - বাজপাখি
৩৩. ডেট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খলের উদাহরণ : মৃতপ্রাণী - লার্ভা - ব্যাং - সাপ - ময়ূর
৩৪. বিয়োজক খাদ্যশৃঙ্খলের উদাহরণ : মৃত উদ্ভিদ - ছত্রাক - ব্যাকটিরিয়া
৩৫. খাদ্যজালে শক্তি প্রবাহ বহুমুখী হয় ।
৩৬. বাস্তুতন্ত্রে শক্তিপ্রবাহের মূল ও একমাত্র উৎস হল - সৌরশক্তি ।
৩৭. দশ শতাংশ সূত্রের প্রবক্তা রেমন্ড লিন্ডেম্যান (১৯৪২ সাল ) । -
৩৮. দশ শতাংশ সূত্র অনুসারে খাদ্যশৃঙ্খলের প্রতিস্তরে ১০% শক্তি দেহ গঠনে ব্যবহৃত হয়ে হ্রাস পায় ।
৩৯. খাদ্য পিরামিডের ধারণাদেন - চার্লস এলটন ।
৪০. বাস্তুতন্ত্রের অজৈব উপাদান - অক্সিজেন, জৈব উপাদান - হিউমাস, ভৌত উপাদন - সূর্যালোক, সজীব উপাদান - উদ্ভিদ ।
৪১. কৃত্রিম বাস্তুতন্ত্র : অ্যাকোয়ারিয়াম ।
৪২. অসম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র : গুহা ।
৪৩. স্ট্যান্ডিং ক্রপ : বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে যে পরিমাণ সজীব পদার্থ উপস্থিত থাকে তাকে স্ট্যান্ডিং ক্রপ বলে ।
৪৪. বায়োম : উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ মাটি ও জলবায়ুর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যে বাস্তুতান্ত্রিক একক গড়ে তোলে তাকে বায়োম বলে । যেমন তুদ্ৰা বায়োম ।
৪৫. ইকোটন : পাশাপাশি দুটি ভিন্ন প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্র একটি অন্তর্বর্তী সংকীর্ণ অঞ্চলে মিশে যে পরিবর্তনশীল অঞ্চল গঠন করে তাকে ইকোটন বলে ।
৪৬. ইকোক্লাইন : পরিবেশগত পার্থক্যের জন্য কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতির উদ্ভিদের ক্ষেত্রে গঠনগত ও চেহারাগত যে পরিবর্তন ঘটে তাকে ইকোক্লাইন বলে ।
৪৭. ইকোটোপ : প্রাকৃতিক পরিবেশের যে অংশ কোনো প্রজাতির বাসস্থান তৈরি করে এবং সেই অংশে ওই প্রজাতি বসবাস করে তাকে ইকোটোপ বলে.
৪৮.ক্লাইম্যাক্স কম্যুনিটি : বাস্তুতন্ত্রে যখন উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্প্রদায়ের বিকাশ সর্বোচ্চ বা সর্বশেষ সীমায় পৌঁছায় তখন তাকে ক্লাইম্যাক্স কম্যুনিটি বলে ।
৪৯. দুটি স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের উদাহরণ দাও : বনভূমি বাস্তুতন্ত্র, তৃণভূমি বাস্তুতন্ত্র
৫০.জীবভর পিরামিড কাকে বলে ?
একটি বাস্তুতন্ত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্যস্তর অনুসারে বিভিন্ন জীবের শুষ্ক ওজন ক্রমপর্যায়ে সাজানো হলে যে বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিড গঠিত হয় তাকে জীবভর পিরামিড বলে ।এই পিরামিডের একক হল - গ্রাম / বর্গ মিটার / বছর ।
0 Comments