মাধ্যমিক ভূগোল ২০২১
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্পূর্ণ উওর
জিওগ্রাফিয়াতে স্বাগতম। মাধ্যমিক ২০২১ এর ভূগোলের সাজেশন । মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২১ (West Bengal WBBSE Madhyamik Geography Suggestion 2021 দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন 2021 – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) দেওয়া হবে। যা আগামী ২০২১ সালের পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্তবপুর্ন ।
প্রশ্ন :- সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারনগুলি আলোচনা করো ?
*উওর* :- সমুদ্রের জলরাশি যখন নিয়মিত ভাবে , নির্দিষ্ট দিকে অনুভূমিক ভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয় , তখন তাকে সমুদ্রস্রোত বলে । এই স্রোত বিভিন্ন কারনে সৃষ্টি হয় ; সেগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :----
i) বায়ুপ্রবাহ :- বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারন । নিয়তবায়ুর প্রবাহে সমুদ্রের জলরাশি একদিক থেকে বাহিত হয়ে অন্যদিকে প্রবাহিত হয় ও সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি করে । যেমন :- উঃ পূর্ব আয়ন বায়ু এবং দঃ পূর্ব আয়ন বায়ুর প্রভাবে সমুদ্রে নিরক্ষীয় সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয় ।
ii) পৃথিবীর আবর্তন :- পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুর দিক সমুদ্রস্রোতের দিক বিক্ষেপ ঘটে । ফেরেলের সূত্রানুযায়ী , এই দিক বিক্ষেপ ঘটে থাকে যার জন্য উওর গোলার্ধে স্রোত ডানদিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে স্রোত বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় ।
iii) উষ্ণতার তারতম্য :- নিরক্ষরেখা থেকে দুই মেরুর দিকে সূর্যের পতন কোন কমতে থাকে , উষ্ণতাও কমতে থাকে ফলে উষ্ন অঞ্চলের জলরাশি শীতল অঞ্চলের দিকে এবং শীতল অঞ্চলের জলরাশি উষ্ন অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় ।
iv ) সমুদ্রজলের লবণতা :- কম লবণাক্ত জল হালকা বলে সমুদ্রের উপরের অংশ দিয়ে পৃষ্ঠস্রোত রূপে বেশি লবণাক্ত ভারী জলের দিকে বয়ে যায় । জলের এই শূণ্যতা পূরনের জন্য তখন বেশি লবণাক্ত ভারী জল সমুদ্রের নিম্নাংশ দিয়ে অন্তঃ স্রোত রূপে কম লবণাক্ত হালকা জলের দিকে বয়ে যায় ।
v) বরফের গলন :- মেরু অঞ্চলে সমুদ্রের কিছু বরফ গলে গেলে সমুদ্র জলের পরিমান বৃদ্ধি পায় এবং লবণতা ও উষ্নতা হ্রাস পায় । ফলে সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয় ।
vi ) স্থানীয় বায়ু ও ঘূর্ণবাত :- বিভিন্ন স্থানীয় বায়ু ; যেমন -- বোরা , মিস্টাল , টর্নেডো ও হ্যারিকেন প্রভৃতি সমুদ্রস্রোতকে
নিয়ন্ত্রণ করে ।
vii ) ঋতুভেদ :- ঋতুভেদে সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তন দেখা যায় ভারত মহাসাগরে । মৌসুমী বায়ু প্রবাহের কারনে ভারত মহাসাগরীয় স্রোত গ্রীষ্মকালে দঃ-পঃ থেকে উঃ-পূঃ দিকে এবং শীতকালে এই স্রোত উঃ-পূঃ দিক থেকে দঃ - পঃ দিকে প্রবাহিত হয় ।
এছাড়াও , সমুদ্রস্রোতের ঘনত্ব ; উপকূলের আকৃতি ; হিমবাহের গলন ; মহাকর্ষীয় বলের টান ইত্যাদির দরুন সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয়ে থাকে ।
*প্রশ্ন* :- জোয়ার ভাটা সৃষ্টির কারন গুলি আলোচনা করো ?
*উওর* :- চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষনে সমুদ্রের জল নিয়মিত ভাবে এক জায়গায় ফুলে ওঠে আবার একই জায়গায় নেমে যায় । সমুদ্রের জলের এই ভাবে ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে । সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুবার করে জোয়ার এবং দুবার করে ভাটা হয় । নিম্নে জোয়ার ভাটার কারনগুলি আলোচনা করা হল -----
i) পৃথিবীর আবর্তন/কেন্দ্রাতিগ বল:- পৃথিবী নিজ মেরুদন্ডের ওপর ক্রমাগত আবর্তনের ফলে যে বিকর্ষণ শক্তি উৎপন্ন হয় তার প্রভাবে পৃথিবী পৃষ্ঠের জলরাশি সব সময় বাইরের দিকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে , কারন ভূপৃষ্ঠের স্থল ভাগের চেয়ে জলভাগের বিকর্ষণ শক্তির প্রভাব অনেক বেশি । এই বিকর্ষণ শক্তি ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন সমুদ্রে জোয়ার সৃষ্টিতে সাহায্য করে ।
ii) চন্দ্র ও সূর্যের যৌথ আকর্ষণ :- মহাকাশে অবস্থিত সৌরজগতের অন্তর্গত সূর্য বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহরা একে অপরকে / প্রত্যেকে প্রত্যেককে আকর্ষণ করে । তাই চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীকে আকর্ষণ করে ; যদিও সূর্যের তুলনায় চন্দ্রের ভর নগণ্য এবং চন্দ্র সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অনেক কাছে থাকে ; ফলে পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্যের আকর্ষণ শক্তির প্রায় দ্বিগুন । সে জন্যই প্রধানত চন্দ্রের আকর্ষণই পৃথিবীতে জোয়ার - ভাটা সৃষ্টি হয় অর্থাৎ পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণই পৃথিবীতে জোয়ার ভাটার প্রধান কারন ।
iii ) তরলের সান্দ্রতা ও পৃষ্ঠটান :- তরলের সান্দ্রতা ও পৃষ্ঠটান কঠিনের তুলনায় বেশি হয় ফলে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ ও কেন্দ্রীয় বলের প্রভাবে সমুদ্র স্রোতের বিপরীত জলরাশি সহজে প্লাবিত হয়ে জোয়ার সৃষ্টি করে ।
iv ) চাঁদের আকর্ষণ ও প্রতিপাদ স্থান :- পৃথিবীর আবর্তনের ফলে যে দিক চাঁদের সামনে আসে পৃথিবী পৃষ্ঠের সেখানে মুখ্য জোয়ার হয় এবং ঠিক তার বিপরীত অর্থাৎ প্রতাপাদ স্থানে বিকর্ষণ শক্তির প্রভাবে গৌণ জোয়ার সৃষ্টি হয় এবং দুই জোয়ারের মধ্যবর্তী অংশে জলরাশি যেখানে কমে যায় সেখানে ভাটার সৃষ্টি হয় ।
v) সূর্যের আকর্ষণ :- নিউটনের সূত্রানুসারে , দুটি বস্তুর মধ্যবর্তী আকর্ষণ বল বস্তু দুটির ভরের গুনফলের সমানুপাতিক । সূর্য চাঁদের চেয়ে ২৫৫ লক্ষগুন ভারী তাই সূর্যের আকর্ষণেও জোয়ার ভাটা হয় । সূর্যের আকর্ষণে গঠিত তাই জোয়ারকে সৌরজোয়ার বলে ।
vi ) অন্যান্য কারন :- জোয়ার ভাটার কারন হিসেবে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে ; সেগুলি হল -- তটভূমির নিকটবর্তী সমুদ্রতলের ঢাল , জলস্তরের ওঠানামার স্বাভাবিক সময়কাল , সমুদ্রজলের ঘনত্ব , সমুদ্রজলের উষ্নতা ইত্যাদি ।
■ বি.দ্র :- পরের সংখ্যায় জোয়ার ভাটার ফলাফল দেওয়া হবে । ২০২১ - এর পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে -----
মাধ্যমিক ভূগোল ২০২১ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ভিত্তিক ২ নম্বরের কমন প্রশ্ন
১) বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ :-
● সংজ্ঞা :- নগ্নীভবন , পর্যায়ন , হিমশৈল , জলবিভাজিকা , ষষ্ঠঘাতের সূত্র , বার্গস্রুন্ড , পেডিমেন্ট , বাজাদা , বার্খান , অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ , গৌড় , ধারণ অববাহিকা , ঝুলন্ত উপত্যকা , মন্থকূপ ।
■ পার্থক্যধর্মী :- পললশঙ্কু ও পলল ব্যজনী ; জিউগেন ও ইয়ারদাং ; রসেমতানে ও ড্রামলিন ; প্লাবনভূমি ও স্বাভাবিক বাঁধ ।
২) বায়ুমন্ডল :-
●সংজ্ঞা :- অ্যালবেডো , ওজোনস্তর বিন্যাসের দুটি কারন , বৈপরীত্য উত্তাপ , ফেরেলের সূত্র , অশ্ব অক্ষাংশ , প্রতীপ ঘূর্ণবাত , পঞ্চিমী ঝঞ্জা , চিনুক , সমবর্ষণ রেখা , শিশিরাঙ্ক ,I.T.C.Z
■ পার্থক্যধর্মী :- এল নিনো ও লা নিনো ; সমুদ্র বায়ু ও স্থল বায়ু ; ক্যাটাবেটিক ও অ্যানাবেটিক বায়ু
৩) বারিমন্ডল :-
●সংজ্ঞা :- মগ্নচড়া কী , মগ্নচড়ার বাণিজ্যিক গুরুত্ব , বানডাকা , শৈবাল সাগর , ষড়াষড়ির বান , সমুদ্রস্রোত , অ্যাপোজি ,সিজিগি ।
■ পার্থক্যধর্মী :- ভরা কোটাল ও মরা কোটাল ; মূখ্য ও গৌণ জোয়ার ।
৪) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা :-
● সংজ্ঞা :- স্ক্রাবার , কম্পোস্টিং , তেজস্ক্রিয় বর্জ্য , কৃষিজ বর্জ্য , পৌরসভার বর্জ্য , বর্জ্য ব্যবস্থাপনা , বর্জ্য পুনর্ব্যবহার , চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য , ই - বর্জ্য , 3R / 4R , পরিবেশের উপর বর্জ্যের দুটি প্রভাব ।
■পার্থক্যধর্মী :- জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য ; বিষাক্ত ও বিষহীন বর্জ্য ।
৫) ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিভাগ :-
● সংজ্ঞা :- বহুমুখী নদী পরিকল্পনা , কচ্ছের রন , মালনাদ , আদর্শ নদী , অন্তর্বাহিনী নদী , ধাপচাষ , সমোন্নতি রেখাচাষ , ফালিচাষ , ঝুমচাষ , সামাজিক বনসৃজনের গুরুত্ব , কৃষি বনসৃজনের গুরুত্ব , লু , মৌসুমী বিস্ফোরন , পশ্চিমী ঝঞ্জা , আশ্বিনের ঝড় , আঁধি , কালবৈশাখী , জায়িদ শস্য , তথ্য প্রযুক্তি শিল্প , শিকড় আলগা শিল্প , লিপিং লেন , সোনালী চতুর্ভুজ , স্থিতিশীল উন্নয়ন , জন বিস্ফোরন , জন ঘনত্ব ।
■ পার্থক্যধর্মী :- খারিফ ও রবি শস্য ; বিশুদ্ধ ও অবিশুদ্ধ কাঁচামাল ।
৬) উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র :-
● সংজ্ঞা :- দূর সংবেদন , পিক্সেল , উপগ্রহ চিত্র , জিওস্টেশনারী উপগ্রহ , ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র , FCC .
■ পার্থক্যধর্মী :- জিও স্টেশনারী ও সান সিনক্রোনাস ।
প্রসাদ সাঁতরা
জিওগ্রাফিয়া
চলবে.................................................................................।।
Madhyamik Geography Syllabus 2021
অধ্যায় | বিষয় |
প্রথম অধ্যায় | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ |
দ্বিতীয় অধ্যায় | বায়ু মণ্ডল |
তৃতীয় অধ্যায় | বারিমণ্ডল |
চতুর্থ অধ্যায় | বর্জ্য ব্যবস্থাপনা |
পঞ্চম অধ্যায় | ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ |
ষষ্ঠ অধ্যায় | ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ |
সপ্তম অধ্যায় | উপগ্রহ চিত্র ও ভূবচিত্র্যসূচক মানচিত্র |
Madhyamik 2021 Geography Question Paper Marks Details
The Madhyamik Geography Question Paper will contain 14 marks MCQ questions, 22 marks very short answer type questions, 12 marks short answer type questions, 12 marks descriptive type questions, 20 marks essay type questions and 10 marks map pointing.
West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Geography Exam 2021
West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) will organize Madhyamik (10th) Board Examination 2021. Students who are currently studying in Class 10 standard, will have to seat for their first Board Exam Madhyamik 2021. Geography is the first language for many students in the exam.
Best wishes for examination
আরো পড়ুন:- মাধ্যমিক ২০২১ এর ভূগোল সাজেশন// suggestion of geography for madhyamik in wbbse:- Click Here
0 Comments