ভারতের জীব-বৈচিত্র্যের উষ্ণমণ্ডল (BIODIVERSITY HOTSPOTS IN INDIA)
ভূগোলের অন্যতম শাখা জীব ভূগোলের অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ
বিষয় হল জীব-বৈচিত্র্য। ১৯৬৮ সালে
বিজ্ঞানী রেমন্ড দাসামান প্রথম “জীব-বৈচিত্র্য” কথাটি ব্যবহার করেছিলেন।পরবর্তী
সময়ে ১৯৮৬ সালে ওয়াল্টার রোজেন সোমিয়ান
ইন্সটিটিউটের ন্যাশনাল ফোরামে “ জীব-বৈচিত্র্য” কথাটি ব্যবহার করেন। জীব-বৈচিত্র্য
হল সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত অঞ্চল অর্থাৎ জীব-বৈচিত্র্যের সংঞ্জা হিসাবে বলা যায়, যে কোনও
অঞ্চলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমাগমে যে বৈচিত্র্য গড়ে ওঠে তাকে জীব-বৈচিত্র্য বলে। UNEP অনুযায়ী জীব-বৈচিত্র্যের সংঞ্জা হল “ কোনও
একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সমস্ত জিন ,
প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্যে ও সমগ্রতাকে জীব-বৈচিত্র্য বলে।“ পৃথিবীতে ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্য
লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে মানুষের
হস্তক্ষেপে ও যথেচ্ছ হারে সম্পদের ব্যবহারের ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।ফলস্বরূপ
অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতি অবলুপ্তির পথে।এইরূপ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতি যে বিশেষ প্রাকৃতিক অঞ্চলে বসবাস করে সেই বিশেষ অঞ্চলগুলিকে বলে জীব-বৈচিত্র্যের
উষ্ণমণ্ডল ( BIODIVERSITY HOTSPOTS)। বিজ্ঞানী নরম্যান মায়ার ( NORMAN MYERS) ১৯৮৮ সালে প্রথম এই হট স্পটের ধারণা দেন । বাস্তুতন্ত্র-বিদ মায়ারস হটস্পটের সংঞ্জা স্বরূপ
বলেছেন যে “ পৃথিবীর যে অঞ্চলে জীব-বৈচিত্র্যের
মাত্রা অধিক , স্থানিক প্রজাতির সংখ্যা প্রচুর এবং যেখানে বহু প্রজাতির মানুষের
কার্যকলাপের ফলে বিপন্ন হয়ে পড়েছে তাকে জীব-বৈচিত্র্যের উষ্ণমণ্ডল (BIODIVERSITY
HOTSPOTS)। তিনি হটস্পট নির্ধারণ করার জন্যে দুটি শর্তের কথা
বলেছিলেন,প্রথমত কমপক্ষে ১৫০০ প্রজাতির সংখ্যা হতে হবে , কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী
প্রজাতি শুধু ঐ অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ পৃথিবীর আর কোথায়ও পাওয়া যায় না । দ্বিতীয়ত, ৭০% প্রজাতি স্থানীয় হতে হবে।
অর্থাৎ জীবের আদি বাসস্থান হতে হবে। তিনি সমগ্র পৃথিবীতে মোট ৩৫ টি জীব-বৈচিত্র্যের
উষ্ণমণ্ডল শনাক্ত করেছেন যার বেশীর ভাগটাই ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত, ভারতে চারটি
হট স্পট বা উষ্ণ মণ্ডল রয়েছে যা পৃথিবীর ২.৩% জায়গা জুড়ে আছে সেখানে রয়েছে ৫০%
স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রজাতি,৪২% মেরুদণ্ডী প্রাণী প্রজাতি। কিন্তু বর্তমানে মানুষের হস্তক্ষেপ ও
জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রায় ৮৬% প্রজাতি অবলুপ্তির পথে। ভারত জীব বৈচিত্র্যে খুব সমৃদ্ধ শীল যেখানে ৩৫০টি স্তন্যপায়ী প্রাণী
,১৯৭ টি উভচর প্রাণী ,১২২৪ টি পক্ষী প্রজাতি,৪০৮ টি সরীসৃপ প্রজাতি,২৫৪৬ টি মাছের
প্রজাতি এবং ১৫০০০ উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে।এই চারটি হট- স্পট বা উষ্ণমণ্ডল হল
১.পশ্চিম ঘাট উষ্ণমণ্ডল
( Westernghat Biodiversity
Hotspot )
ভারতের অন্যতম জীব-বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ উষ্ণমণ্ডল হল
পশ্চিমঘাট পর্বতমালা।এটি পশ্চিম উপকূলে ১৬০,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে চিরহরিৎ ও পর্ণমোচী বৃক্ষের অরণ্য রয়েছে।মহারাষ্ট্র, গোয়া,
কর্ণাটক, কেরালা প্রভৃতি রাজ্য এই উষ্ণমণ্ডলের অন্তর্গত। মাত্র ১.৫% অংশ রয়েছে
শ্রীলঙ্কাতে। IUCN দ্বারা
তিনটি অঞ্চলকে সংকটজনক বলে শনাক্ত করেছে সেগুলি হল অগস্ত্যমালাই পাহাড় যার সর্বোচ্চ
উচ্চতা ২৬৭৫ মিঃ, সাইলেন্ট ভ্যালী এবং পেরিয়ার ন্যাশনাল । এখানে ৫২% স্বস্থানিক উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতির সমাবেশ লক্ষ্য করা যায়। ৫৯১৬
টি উদ্ভিদ প্রজাতির লক্ষ্য করা যায়। দ্য বোটানিক্যাল
সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ( BOTANICAL SURVEY OF INDIA) ৫১৮ টি
উদ্ভিদ প্রজাতিকে বিপদজনক বলে চিহ্নিত করেছ।এছাড়াও ২০০টির বেশী দুর্লভ অর্কিড
প্রজাতি, ১৪০টি স্তন্যপায়ী ,৪৫০ টি পক্ষী , ২৬০ টি সরীসৃপ,১৯১ টি মাছের প্রজাতি এবং ১৭৫ টি প্রজাতির উভচর প্রাণীর বসবাস করে।এই
হটস্পটে পাওয়া যায় নীলগিরি পর্বতের ল্যেগুর, লায়ন টেল ম্যাকাও ,
বাঘ, চিতা, ও হাতি প্রভৃতি।কিন্তু বর্তমানে অত্যধিক জনসংখ্যার চাপ, বৃক্ষ-ছেদন ও
উন্নয়নশীল প্রকল্পের কারণে এই অঞ্চলগুলি সংকটজনক অবস্থাতে রয়েছে।
২.হিমালয় উষ্ণমণ্ডল(Himalaya Biodiversity Hotspot)
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল দুই ভাগে বিভক্ত,একটি হল পূর্ব
হিমালয় যা নেপাল, ভুটান, চিনের কিছু অংশ, উত্তর পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ,আসাম,
সিকিম, পশ্চিম বঙ্গ,এবং মায়ানমারের কিছু অংশ এবং অন্যটি হল পশ্চিম হিমালয় যা
কুমায়ুন হিমালয়, পাকিস্তানের উত্তরাংশ এবং উত্তর পশ্চিম কাশ্মীর প্রভৃতি অঞ্চল
জুড়ে অবস্থিত। এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য হটস্পটগুলি হল নামদাফা, বক্সার, শিরহি,
ভ্যালী অফ ফ্লওইয়ার্স, লাদাখ, কারাকরাম ইত্যাদি। এখানে ১০০০০ টি উদ্ভিদ প্রজাতি
রয়েছে যার ৩২% স্থানীয় বা আদি প্রজাতির ,এছাড়াও ৩০০ টি স্তন্যপায়ী প্রাণী যা ১২ টি
স্বস্থানিক স্তন্যপায়ী,৯৭৭ টি পক্ষী প্রজাতি যার ১৫টি স্থানীয় প্রজাতি,১৪৮ টি
সরীসৃপের প্রজাতি যার ৪৮টি স্থানীয় সরীসৃপ ,১০৫ টি উভচর প্রাণী এবং ৪২ টি স্থানীয়
ও ২৬৯ টি মাছের প্রজাতি যার ৩৩ টি স্বস্থানিক।৭৫০ টি অর্কিডের প্রজাতি পাওয়া গেছে।৭৮৯২ বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত সিকিমে
প্রায় ৪২০০টি উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে যার ৬০% স্বস্থানিক উদ্ভিদ প্রজাতি। হিমালয় উষ্ণমণ্ডলের
যেসব প্রজাতি সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে সেগুলি হল এক শুঁড় ওয়ালা গণ্ডার, চিয়ার ফে-সেন্ট(cheer
pheasant),ওয়েস্টার্ন ট্রাগোপন(western tragopan),হিমালয়ান কোয়েল(himalayan
quail), হিমালয়ান শকুন(himalayan vulture), ও সাদা বেলড হেরন(white beilled heron)
। বর্তমানে অত্যধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি , পশু চারণ , বৃক্ষ-ছেদন, প্রভৃতির জন্যে অনেক
প্রজাতি বিলুপ্তির পথে।
৩. ইন্দো - বার্মা উষ্ণমণ্ডল( Indo- Burma Biodiversity Hotspot)
ইন্দো- বার্মা উষ্ণমণ্ডলটি ২৩৭৩০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল
জুড়ে অবস্থিত।ভারতের উত্তর- পূর্ব
রাজ্যগুলি যেমন মেঘালয়, মিজোরাম,
নাগালান্ড, আসাম,মনিপুর , ত্রিপুরা প্রভৃতি রাজ্য ও মায়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে গড়ে
ওঠে এই উষ্ণমণ্ডল। এখানে প্রায় ১৩৫০০ টি উদ্ভিদ প্রজাতি লক্ষ্য করা যায় যার মধ্যে
৫২% অর্থাৎ ৭০০০ টি প্রজাতি স্বস্থানিক প্রজাতির,এছাড়া ৪৩৩ টি স্তন্যপায়ী প্রজাতির
মধ্যে ৭৩তি আদিম প্রজাতি, ১২৬৬টি পক্ষী-প্রজাতি পাওয়া যায় যারমধ্যে ৬৪টি
স্বস্থানিক প্রজাতির পক্ষী, এছাড়াও সরীসৃপ,উভচর,
ও মাছের প্রজাতির সংখ্যা যথাক্রমে ৫২২ টি , ২৮৬ টি, ১২৬২ টি এবং আদি প্রজাতির
সংখ্যা হল ২০৪ টি , ১৫৪ টি , ৫৫৩ টি প্রজাতি।এই উষ্ণমণ্ডলে এক বিশেষ প্রজাতির
কচ্ছপ পাওয়া যায় যেটি প্রায় অবলুপ্তির পথে তাছাড়াও ১২৬৬ টি পক্ষী প্রজাতির মধ্যে
হোয়াট ইয়াদ নাইট হেরন ( White eared night heron), দ্য গ্রেয় ক্রাউন্ড ক্রো-কিয়াস
( The grey crowned crocious), দ্য অরেঞ্জ নেকড প্যাট্রিজ ( The orange necked partridge). বিগত ১২ বছরে ৬ টি স্তন্যপায়ী প্রজাতি পাওয়া
গেছে ,সেগুলি হল দ্য লার্জ অ্যান্টলাড মুঞ্জক ( The large Antlered Muntjac), দ্য অ্যানা-মিটে মুঞ্জক
( The Anna mite Muntjac), দ্য গ্রে শানকি ডক ( The
grey shanked douc), দ্য অ্যানা-মিটে স্ট্রিপ র্যাবিট ( The
Anna mite Stripped rabbit), দ্য লিফ ডিয়ার ( The Leaf
deer), দ্য শ্যাওলা ( The Saola)।বর্তমানে সবচেয়ে বেশী
ক্ষতিগ্রস্ত উষ্ণমণ্ডল হল ইন্দো বার্মা উষ্ণমণ্ডল। অতিরিক্ত হারে সম্পদ ব্যবহারের
ফলে এই উষ্ণমণ্ডল ক্ষতির মুখে। ৫% আদিম প্রজাতি এখানে রয়েছে। বাকি সব অবলুপ্তির
পথে বা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কয়েকটি সংকটজনক প্রজাতি হল শ্যাওলা ( Saola), ইলড ডিয়ার ( Eld’s
deer) , ক্যাট বা লাঙ্গুর ( Cat ba langur ), মাছ ধরার বিড়াল
( Fishing Cat), রেড হেড ভালচার ( red head vulture) প্রভৃতি।
৪. সুন্দা-ল্যান্ড উষ্ণমণ্ডল ( Sunderland Biodiversity Hotspot)
সুন্দাল্যান্ড অঞ্চলটি ১৫০১০৬৩ বর্গকিমি জুড়ে অবস্থিত।থাইল্যান্ড,সিঙ্গাপুর,
ইন্দোনেশিয়া, মালোশিয়ায় এটি অবস্থান করলেও ভারতের শুধু মাত্র নিকোবর আইল্যান্ডটি এই
উষ্ণমণ্ডলের অন্তর্গত। ২০১৩ সালে ইউনাইটেড নেশনস এই অঞ্চলকে উষ্ণমণ্ডল হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এই
উষ্ণমণ্ডলে স্থলজ ও জলজ উভয় বাস্তুতন্ত্র লক্ষ্য করা যায়।এই অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ ,
প্রবাল প্রাচীর ইত্যাদির বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। জলজ প্রাণীর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রজাতি হল
ডলফিন, হোয়েল, কুমীর,চিংড়ি এবং শামুক প্রভৃতি ।স্থলজ বাস্ততন্ত্রের মধ্যে ২৫০০০ উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে ১৫০০০ প্রজাতি স্বস্থানিক বা
আদিম প্রজাতি। এছাড়াও ৩৮০ টি স্তন্যপায়ী প্রজাতি আছে যার ১৭২ টি স্থানীয় , ৭৬৯ টি
পক্ষী প্রজাতি তারমধ্যে ১৪২ টি স্বস্থানিক , ৪৫২ টির প্রজাতির সরীসৃপ পাওয়া যায় ,যার
মধ্যে ২৪৩ টি প্রজাতির আদি বাসস্থান এই
অঞ্চল। উভচর প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা ২৪৪ টি
যারমধ্যে ১৯৬ টি প্রজাতিই স্বস্থানিক,এবং মিষ্টি জলের মাছের প্রজাতির
সংখ্যা ও স্থানীয় প্রজাতির সংখ্যা
যথাক্রমে ৯৫০ টি ও ৩৫০ টি ।বিগত কয়েক বছর যাবত বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বৃক্ষের
ব্যবহারের জন্যে অতিরিক্ত হারে বৃক্ষ-ছেদন করা হচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায় যে ভারত জীব-বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধি-শীল দেশ।
বিশ্বের ৫০% উদ্ভিদ প্রজাতি ও ৬% সপুষ্পক উদ্ভিদ
প্রজাতি এই ভারতেই রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের প্রাণী প্রজাতির সংখ্যার বিচারে
ভারতে রয়েছে মোট ৪৭২৫ টি স্তন্যপায়ী , পক্ষী ,উভচর ও সরীসৃপ ও মাছের প্রজাতি ।
বর্তমানে অনেক প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছে,কিছু অবলুপ্তির পথে।সেইজন্যে IUCN দ্বারা সার্ভে সার্ভিস কমিশন এর উদ্যোগে
বিলুপ্ত ও সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে এরকম উদ্ভিদ ও প্রাণীর তথ্য সংগ্রহ করে রেড ডাটা
বুক প্রকাশিত হয়। বর্তমানে অতিরিক্ত হারে বৃক্ষ-ছেদন, জনসংখ্যার চাপ বাড়ায়,
সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার জীব-বৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।তাই জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের
প্রয়োজন।
তথ্যসুত্রঃ
১. জীববিদ্যা ( দ্বাদশ শ্রেণী), সেন,মিদ্যা, সাঁতরা
২. জীব ভূগোল , ড. নিখিল কৃষ্ণ দে ,ড. সৌম্যন্দু
চট্টোপাধ্যায়
৩. আধুনিক ভূগোল (দ্বাদশ শ্রেণী), ড. যুধিষ্ঠির হাজরা
৪. BIOGEOGRAPHY
, SAVINDER SINGH
5.WIKIPEDIA
6.BIODIVERSITY HOTSPOTS IN INDIA
7.www.byjus.com
8.www.holidify.com
9.www.bsienvis.nic.in
@সায়ন্তনী সিং
@জিওগ্রাফিয়া
এই ব্লগের সমস্ত আপডেট জানতে যুক্ত হন আমাদের টেলিগ্রাম পেজে
জিওগ্রাফিয়া
বাংলা ভাষায় ভূগোলকে জানার অন্যতম সাইট
টেলিগ্রাম
https://t.me/geographia29
এই ব্লগের সমস্ত আপডেট জানতে যুক্ত হন আমাদের টেলিগ্রাম পেজে
জিওগ্রাফিয়া
বাংলা ভাষায় ভূগোলকে জানার অন্যতম সাইট
টেলিগ্রাম
https://t.me/geographia29
2 Comments
Good
ReplyDeleteপশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা বোর্ড (WBBSE)-এর সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে এখানে যান 👉 গ্যাসীয় পদার্থ
ReplyDelete