Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

একাদশ শ্রেণীর ভূগোল// অধ্যায়ঃপ্রাকৃতিক ভূগোলের নীতি সমূহ //WBHSE//CLASS 11//Principles of Natural Geography

একাদশ শ্রেণীর ভূগোল// অধ্যায়ঃপ্রাকৃতিক ভূগোলের নীতি সমূহ  //WBHSE//CLASS 11//Principles of Natural Geography


 1. চেম্বারলিন ও মুলটন-এর পৃথিবীর উৎপত্তি সম্পর্কিত তত্ত্ব কী নামে পরিচিত? 

উঃ চেম্বারলিন (T. C. Chamberlain) এবং এফ. আর. মুলটন (F. R. Multon) 1904 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহের উৎপত্তি সংক্রান্ত একটি তত্ত্ব প্রদান করেন যা গ্রহানুতত্ত্ব নামে পরিচিত।

2. নীহারিকা মতবাদের প্রবক্তা কে?

উঃ ফরাসি গণিতবিদ পিয়ের সীমন ল্যাপলাস 1796 খ্রী: তাঁর নীহারিকা মতবাদটি প্রকাশ করেন।

 3. পৃথিবীর আনুমানিক বয়স কত? 

উঃ ৫ কোটি বছর

4. সিয়াল কী? 

উঃ ভূত্বকের উপরি অংশে লঘু গ্রানাইট জাতীয় আম্লিক শিলা গঠিত স্তরকে সিয়াল বলে।সিয়াল সিলিকন এবং অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গঠিত। এটি উপরের স্তর যা পৃথিবীর ভূত্বকের উপর একটি বিচ্ছিন্ন আবরণ তৈরি করে এবং সমুদ্রের তলদেশে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। সিমা সিলিকন এবং ম্যাগনেসিয়ামের সমন্বয়ে গঠিত। এটি সিয়ালের নীচের দ্বিতীয় স্তর যা মহাসাগরের ভিত্তি তৈরি করে।

5. শিলামণ্ডল কাকে বলে?

উঃ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত পৃথিবীর বহিরাবরণকে শিলামণ্ডল বলে।

 6. অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের গভীরতা কত? 

উঃ 50 – 250 কিমি গভীরতায়। 

7. গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা কী? 

উঃ এটি গুরুমন্ডল কেন্দ্রমন্ডল এর মাঝে রয়েছে গুটেনবার্গ বিযুক্তি রেখা ( Gutenberg discontinuity)

উইশাট-গুটেনবার্গ বিযুক্তি-ইহা গুরুমন্ডল  ও কেন্দ্রমন্ডল মাঝে অবস্থিত।1912 সালে ওয়েইচার গুটেনবার্গ পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে 2900 কিলোমিটার গভীরতায় এই বিচ্ছিন্নতা আবিষ্কার করেছিলেন।



৪. ভূকম্প ছায়া বলয় কাকে বলে? 

উঃ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে উপকেন্দ্রের মধ্যে সংযোগকারী সরলরেখার সাপেক্ষে ভূমিকম্পের কেন্দ্রে উৎপন্ন 103° থেকে 143°এর মধ্যে অবস্থিত অঞ্চলে কোনরকম ভূমিকম্প তরঙ্গ সিসমোগ্রাফে ধরা পড়ে না। একে ভূমিকম্পের ছায়া বলয় বলে।

9. স্বল্প গতিবেগসম্পন্ন অঞ্চল কাকে বলে? 

উঃ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার 

10. গুরুমণ্ডলের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো। 

উঃ ভূত্বকের নিচের স্তরটি হল গুরুমন্ডল। গুরুমন্ডল পৃথিবীর অভ্যন্তরে ২৯০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং মোট আয়তনের প্রায় ৮০% এই গুরুমন্ডলের অন্তর্গত। গুরুমন্ডলের উপরের অংশ থেকে যত নীচের দিকে যাওয়া যায় তাপমাত্রা ও ঘনত্ব ততই বাড়তে থাকে বলে, উপরের অংশ এবং নীচের অংশের পদার্থ গুলির মধ্যে প্রকৃতিগত পরিবর্তন দেখা যায়। গুরুমন্ডলের গড় ঘনত্ব প্রায় ৩.৩ গ্রাম/ঘনসেমি থেকে ৫.৫ গ্রাম/ঘনসেমি।

11. কেন্দ্রমণ্ডলের উশ্নতা  কত? 

উঃ ৬০০০-৬৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস 

12. নিফে কী? 

উঃ গুরুমণ্ডলের 700-2900 কিমি পর্যন্ত অংশে নিকেল , লোহা , সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের আধিক্য দেখা যায় । তাই এই স্তরকে নিফেসিমা ( Ni + Fe + S + Ma ) বলে ।

13. ক্লোফেসিমা কাকে বলে? 

উঃ গুরুমগুলের 30-700 কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম , লোহা , সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের প্রাধান্য দেখা যায় তাই একে ক্লোফেসিমা ( Cro + Fe + Si + Ma ) স্তর বলে । 

14. সমস্থিতি কাকে বলে? 

উঃ পৃথিবীর ভূমিভাগের উত্থিত ও নিমজ্জিত অংশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার এই ঘটনাকে সমস্থিতি বা Isostasy বলা হয়। 'Isostasy' শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ 'Isos' অর্থে সমতা বা সমান এবং 'Stasis' অর্থে নিশ্চল বা স্থির থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ভূত্বকের বিভিন্ন অংশের, বিভিন্ন উচ্চতায়, ভারসাম্য বজায় রেখে অবস্থানকে সমস্থিতি বলে। ১৮৮৯ সালে, আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ক্ল্যারেন্স এডওয়ার্ড ডাটন সর্বপ্রথম 'Isostasy' শব্দটি ব্যবহার করেন।

15. এইরি-র ধারণার ভিত্তি কী?

উঃ Uniform density with varying thick ness।এইরির মতবাদ Low of Floatation  সম্পর্কীত। 

16. প্র্যাট এর ধারণার ভিত্তি কী?

উঃ প্রাটের মতবাদের মূল বক্তব্য হল – Uniform depth with varying density । প্রাটের মতবাদ Level of Compensation সম্পর্কীত।

17. সীমা কি?

উঃ ভূত্বকের নিচের অংশে ভারী ব্যাসল্ট জাতীয় ক্ষারকীয় শিলা গঠিত স্তরকে সিমা বলে। সিমা হল পৃথিবীর নিচের স্তর। এটি ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকা দিয়ে তৈরি। সিমা হল (স্থাপত্য) একটি ছাদের উল্টানো প্রান্ত যা একটি নর্দমা হিসাবে কাজ করে; একটি সাইমা বা সিমা হতে পারে (ভূতত্ত্ব) পৃথিবীর বাইরের ভূত্বকের নীচের স্তর যা সিয়ালের নীচে থাকে এবং সিলিকা, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ।

18 বিযুক্তিরেখা কাকে বলে?

উঃ  ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যেখানে যেখানে ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয়,সেই স্থানগুলিকে বিযুক্তি রেখা বলে। বিযুক্তি রেখা দুটি ভিন্ন ঘনত্বের স্তর কে পৃথক করে। 

19  পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হয় কীভাবে ? 

উঃ  ভূগর্ভের তাপে পদার্থগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় আবার উপরের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা , ভারী পদার্থ নীচে নেমে যায় । এর ফলে পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হয় । 

20 কান্টের গ্যাসীয় তত্ত্বের মূলকথা কি? 

উঃ 1755 সালে ইমানুয়েল কান্ট (immanuel kant) পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত নীহারিকা মতবাদ বা গ্যাসীয় মতবাদ প্রকাশ করেন।



কান্টের মতে—-


(i)বহু কোটি বছর আগে সৌরজগতের রূপ বা অবস্থা বর্তমানকালের মত ছিল না। মহাশূন্যের যে অংশে এখন সৌরজগৎ ভেসে আছে,একসময় তা কঠিন পদার্থকনায় পূর্ণ ছিল এবং সেই কণাগুলো ছিল নিশ্চল ও শীতল প্রকৃতির।


 (ii) এই প্রাথমিক পদার্থগুলি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে একে অপরের ওপর ক্রমাগত আছড়ে পড়ে। ফলে প্রাথমিক পদার্থগুলির মধ্যে অবিরাম সংঘর্ষ হতে থাকে।


(iii)এই সংঘর্ষের কারণে মহাশূন্যে ভাসমান শীতল ও গতিহীন প্রাথমিক পদার্থের আদিম পুঞ্জ কালক্রমে প্রচন্ড বেগে ঘূর্ণমান অতি উত্তপ্ত বিশালকায় গ্যাসীয়পিণ্ড অর্থাৎ নীহারিকা বা নেবুলাতে পরিণত হয়।

(iv)বিপুল গতিতে ঘুরতে থাকা এই গ্যাসীয়পিণ্ড বা নীহারিকার নিরক্ষীয় তল বরাবর প্রচণ্ড কেন্দ্রবিমুখ বলের সৃষ্টি হয় এবং নীহারিকার প্রান্তসীমা থেকে একে একে নয়টি বলয় ছিটকে বেরিয়ে যায়।

(v)পরে এই নয়টি ঘূর্ণায়মান বলয় থেকে নয়টি গ্রহ এবং গ্রহগুলি থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসা ছোট ছোট বলয়গুলি থেকে উপগ্রহ তৈরি হয়।

(vi)নীহারিকাটির কেন্দ্রীয় অংশ একটি নক্ষত্র বা সূর্যে পরিণত হয়।

গ্রহগুলি সূর্যকে এবং উপগ্রহগুলি নিজে নিজে গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে। এইভাবে আমাদের পৃথিবী,চাঁদ এবং সূর্যের উৎপত্তি হয়।



Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code