Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

Fold : One liner //WBSLST // NET//SET

Fold : One liner //WBSLST // NET//SET 








 গিরিজনি আলোড়নের ফলে সৃষ্ট পার্শ্বচাপের প্রভাবে ভূত্বকের পাললিক শিলাস্তরে যে বক্রতা সৃষ্টি হয়, তাকে ভাঁজ বলে।ভূ আলোড়নের প্রভাবে অনুভূমিক চাপের ফলে ভূত্বকের সংনমন বলের সৃষ্টি হয় তাকে ভাঁজ বলে।


ভাঁজের গাঠনিক উপাদান সমূহ 


বাহু : ভাঁজের শীর্ষ বা মাথা থেকে যে দুটি রেখা দুদিকে নেমে গেছে তাকেই বলা হয় বাহু। 

অক্ষ : একটা ভাজের শীর্ষ  থেকে সমান্তরালে মাটিতে স্পর্শ করে যে রেখা তাকেই অক্ষরেখা বলে। এটি একটি কাল্পনিক রেখা। এই রেখা সোজা বা হেলানো হতে পারে। 

অক্ষতল : অক্ষ বরাবর ভাজকে ভাগ করলে যে কাল্পনিক তল পাওয়া যায় তাকেই অক্ষতল বলে। 

শীর্ষ : একটি ভাঁজের সর্বোচ্চ উচ্চতায় যে কাল্পনিক বিন্দু পাওয়া যায় তাকেই শীর্ষ বলে। 

নতি-ভাঁজের বাহু বা শিলাস্তর অনুভূমিক তলের সঙ্গে যে কোণে হেলে থাকে, তাকে নতি বলে


আয়াম-কোন ভাঁজের শিলাস্তর বা স্তরায়ণ তল ও অনুভূমিক তল যে রেখা বরাবর একে অপরকে ছেদ করে, তাকে আয়াম বলে।

গ্রন্থি বিন্দু-কোন ভাঁজের ঊর্ধ্বভঙ্গ ও অধোভঙ্গের যে বিন্দুতে শিলাস্তরের বক্রতা সবচেয়ে বেশি, সেই বিন্দুকে গ্রন্থি বিন্দু বলে।

গ্রন্থি বলয়-অনেক সময় কোনো ভাঁজের শিলাস্তরে একটি বিন্দুর পরিবর্তে এমন একটি বলয় তৈরি হতে পারে, যেখানে বক্রতা সবচেয়ে বেশি।ভাঁজ প্রাপ্ত শিলাস্তরের এই সর্বাধিক বক্রতা যুক্ত অঞ্চলকে গ্রন্থি বলয় বলা হয়।

গ্রন্থি রেখা-কোনো ভাঁজের দুটি গ্রন্থি বিন্দুকে যুক্ত করলে যে কাল্পনিক রেখা পাওয়া যায়, তাকে গ্রন্থি রেখা বলে। গ্রন্থি রেখা সাধারণত অক্ষরেখার সমান্তরাল হয়।

স্তরায়ণ তল-পাললিক শিলার একটি স্তর আরেকটি স্তরের সঙ্গে যে তলে মিলিত হয়, তাকে স্তরায়ণ তল বলে।

শীর্ষবিন্দু ও পাদবিন্দু-প্রস্থচ্ছেদ অনুসারে কোন ভাঁজের সর্বোচ্চ বিন্দুকে শীর্ষবিন্দু এবং সর্বনিম্ন বিন্দুকে পাদবিন্দু বলে। ভাঁজের শীর্ষবিন্দু গুলিকে যোগ করে যে দেখা পাওয়া যায় তাকে শীর্ষদেশ এবং পাদবিন্দুগুলিকে যোগ করে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকে পাদদেশ বলে।






তরঙ্গ দৈর্ঘ্য-কোন ভাঁজের দুটি সন্নিহিত ঊর্ধ্বভঙ্গ ও অধোভঙ্গের পৃষ্ঠদেশের মধ্যবর্তী দূরত্বকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে।

অক্ষতলীয় বেধ ও সমকৌণিক বেধ-কোন শিলাস্তরের স্তরায়ন তল দুটির মধ্যবর্তী দূরত্বকে বেধ বলে। বেধ যদি অক্ষতলের সমান্তরাল হয়, তবে তাকে অক্ষত বেধ বলে।অন্যদিকে উক্ত স্তরটির স্তরায়ণ তল দুটির মধ্যবর্তী সমকৌণিক দূরত্বকে সমকৌণিক বেধ বলে।

বক্রতা পরিবর্তন বিন্দু-দুই বা ততোধিক বক্রতা পরিবর্তন বিন্দু সংযোগকারী যে রেখা বরাবর শিলার বক্রতা শূন্য হয়, তাকে বক্রতা পরিবর্তন বিন্দু বলে।

অন্তর্বাহু কোণ-কোন ভাঁজের দুটি সন্নিহিত বাহুর বক্রতা পরিবর্তন বিন্দুতে অঙ্কিত স্পর্শক দুটির মধ্যবর্তী কোণকে অন্তর্বাহু কোণ বলে।।

CLASSIFICATION OF FOLD 

যে ভাঁজে শিলাস্তর ওপরের দিকে বাঁক নিয়ে উত্তল ভাবে অবস্থান করে এবং ভাঁজের অক্ষতল থেকে দুটি বাহু পরস্পরের বিপরীতে হেলে থাকে তাকে ঊর্ধ্ব ভঙ্গ বা ঊর্ধ্ব ভাঁজ বলে । ভাঁজ-অক্ষ থেকে দুটি বাহুর বিপরীতমুখী নতি হয় এবং ভাঁজের ভেতরের দিকে থাকে পুরানো  শিলা ও বাইরের দিকে নতুন শিলা ।  ঊর্ধ্ব ভঙ্গ প্রধানত শৈলশিরা রূপে অবস্থান করে। উত্তর আমেরিকার মধ্য কলোরাডো অঞ্চলে এই ভাঁজ দেখা যায়। এর বাহুর নতি পরস্পরের বিপরিতে থাকে.


যে ভাঁজে শিলাস্তর নীচের দিকে বাঁক নিয়ে অবতল ভাবে অবস্থান করে এবং অক্ষতল থেকে ভাঁজের দুই পরস্পরের দিকে হেলে থাকে তাকে অধোভঙ্গ বলা হয় ।সাধারণত এই অধভঙ্গ নদী উপত্যকা হিসেবে কাজ করে। অধভঙ্গ ভি বা ইউ এর ন্যায় দেখতে হয়। অধভঙ্গে শীর্ষবিন্দু নয় পাদবিন্দু দেখা যায়। বাহুদ্ব্য় পরস্পর পরস্পরের দিকে হেলে থাকে।কানাডার হাডসন ও মেক্সিকো উপসাগরে দেখা যায়। 


প্রতিসাম্যতার ভিত্তিতে ভাঁজকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: 

প্রতিসম ভাঁজ : সাধারণত এই ভাঁজের মাঝবরাবর রেখা টানলে বাহু দুটি সমান ভাবে ভাগ করা যায়। অক্ষরেখার শীর্ষবিন্দুর উভয়দিকে বাহুর কোনের মান সমান হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা একটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ কল্পনা করতে পারি। সংনমন বলের মান উভয়দিকে সমান হলে প্রতিসম ভাঁজ গঠিত হয়। 
অপ্রতিসম ভাঁজ : সাধারণত সংনমন বলের মাত্রা যেকোনো একদিকে বেশি হলে অপ্রতিসম ভাঁজ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে অক্ষতল হেলানো ভাবে থাকে। শীর্ষবিন্দুর উভয়দিকে বাহুর কোনের মান সমান হয়না। 



সাধারণত পরবর্তী পর্যায়ে আবৃত বা সমপ্রবন ভাঁজের উপর আরো চাপ সৃষ্টি হলে অক্ষরেখা প্রায় ১৮০° কোনে অবস্থান করে। এবং একটি বাহু অপরবাহুর উপর অবস্থান করে এবং একটি ভাঁজ অপর ভাঁজের উপর শুয়ে পড়ে । অর্থাৎ ভাঁজ প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে যায়। একে শায়িত বা রিকাম্বেন্ট ভাঁজ বলে। বাহূ দুটি সমান্তরালে অবস্থান করে, এর নতি ১০ দিগ্রির কম হয় 

দার্জিলিং হিমালয়ে এই রকমের ভাঁজ দেখা যায় 

আবৃত ভাঁজ : সাধারণ এই ভাঁজের একটি বাহু অপর বাহুকে ঘিরে রাখে। একটি বাহু অপর বাহুর তুলনায় বেশি বাঁক নিয়ে থাকে ও বড়ো হয়ে থাকে। এমন আবৃত করে রাখার জন্যই এই ভাঁজের নাম আবৃত ভাঁজ।

সমপ্রবন ভাঁজ : সাধারণ এই ভাঁজের মাঝবরাবর অক্ষরেখা গুলি সমান কোনে হেলে থাকে। ভাঁজের একদিক থেকে সমান চাপ এলে সমপ্রবন ভাঁজ তৈরি হয়ে থাকে। অক্ষরেখা গুলি সাধারণত মাটির সঙ্গে ৬০° এর আশপাশে কোন করে থাকে।

শায়িত ভাঁজের অংশ বাহু ও অক্ষবরাবর বিচ্ছিন্ন হয়ে আরো একমুখী চাপে চলতে শুরু করে। এবং একসময় দূরের কোনো শিলাস্তরের উপর অধ্যারোপিত হয় । শায়িত ভাঁজের এই পরিবর্তিত অংশকেই ন্যাপ বলা হয়। কাশ্মীর উপত্যকা খুব সম্ভবত একটি ন্যাপ। 

একনত ভাজ : এই ভাঁজ একদিকে হেলে থাকে। পর্যায়ক্রমে এর ঢাল বাড়তে থাকে। নতি এক দিকে খাড়া হয় , ভারতের অসম মালভুমির দক্ষিণ অংশটি একনত ভাঁজ 

সমনত ভাঁজ : এই ধরনের ভাঁজের ঢাল ও অক্ষ পরস্পরের সঙ্গে সমান হয়। 

চেভরন ভাঁজ: সাধারণত এই ভাজ খুব খাড়া হয়ে থাকে V আকারের ভাজগুলি যখন অত্যন্ত খাড়া ঢালে পরপর অবস্থান করে তাকে চেভরন ভাঁজ বলে। সাধারণত মিলিটারি বা রাজনৈতিক জগতে রাঙ্ক বোঝাতে ভি আকারের একরকম জিনিস পড়া হয় যোগ্যতা বোঝাতে যাকে চেভরন বলে। সেখান থেকেই এই ভাঁজের নাম শেভরন ভাঁজ। 

বাক্স ভাজ : সাধারণত এই ভাঁজ বাক্সের ন্যায় দেখতে হয়। 

পাখা ভাঁজ : উল্টানো হাতপাখা বা অশ্বক্ষুরাকৃতির ন্যায় দেখতে হয় পাখা ভাঁজ। নীচের দিকে চাপ বেশি থাকায় উপর দিক প্রসারিত হয়। 

উর্দ্ধভঙ্গধারা ও অধভঙ্গধারা : 

একাধিক ছোট ছোট উর্দ্ধভঙ্গ ও অধভঙ্গ সমন্বিত বিশালাকার উর্দ্ধভঙ্গকে বলা হয় উর্দ্ধভঙ্গধারা। অন্যদিকে ছোট ছোট উর্দ্ধভঙ্গ ও অধভঙ্গ সমন্বিত বৃহদাকার অধভঙ্গকে বলা হয় অধভঙ্গ ধারা। এই উর্দ্ধভঙ্গ ও অধোভঙ্গ মিলিতভাবে পর্যায়ক্রমিকভাবে অবস্থান করলে একে অ্যাপেলেশিয়ান উপত্যকা ও শৈলশিরা বলে। 

Decollement বা দেকোলমঁ ভাঁজ :- ভঙ্গিল পর্বতমালার সম্মুখ ভাগে অনেক সময় পলিস্তূপ ই বলিত হয় ; এর নীচের ভূমিশিলা (যার ওপর পলির সঞ্চয় হয়েছে) অবিরূপিত থেকে যায়। ভূমি শিলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বতন্ত্রভাবে পলির স্তরের বলিত হওয়াকে বলে দেকোলমঁ।

উদঘট্ট ভাঁজ ( Overthrust fold) :- কোনো অর্ধশায়িত ভাঁজের উপর যদি চাপের পরিমান আরো বাড়ে তবে ভাঁজের অক্ষ বরাবর ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং একটি বাহু অন্য বাহুটির উপর পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে একটি বাহু অন্য বাহু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেশ কিছু দূরে সরে যায়। একে উদঘট্ট ভাঁজ বলে। যে ফাটল বরাবর ভাঁজের দুটি অংশ পৃথক হয় তাকে সংঘট্ট তল বা Thrust plane বলে

ঢালের প্রকৃতি অনুসারে ভাঁজকে চার ভাগে ভাগ করা হয় 

মৃদু ভাঁজঃ যার দুটি বাহুর অন্তস্থ কোণের মান ১২০ ডিগ্রির বেশী হয়
 মুক্ত ভাজঃ যার দুটি বাহুর অন্তস্থ কোণের মান ৬০-১২০ ডিগ্রি হয়
 বদ্ধ ভাজঃ যার দুটি বাহুর অন্তস্থ কোণের নাম ৩০-৬০ ডিগ্রি হয় 
 সংকীর্ণ ভাঁজঃ যার দুটি বাহূর কোণের মান ৩০ ডিগ্রির কম হয়। 






ভাঁজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ 


ভঙ্গিল পর্বত-

ভাঁজের ফলে সৃষ্ট উল্লেখযোগ্য ভূমিরূপ হল ভঙ্গিল পর্বত।বর্তমানে যেখানে হিমালয় পর্বতমালার অবস্থান করছে পূর্বে সেখানে টেথিস নামে একটি অগভীর সমুদ্র ছিল। এই অগভীর সমুদ্রের উত্তরাংশের অঙ্গারাল্যান্ড ও দক্ষিণাংশের গন্ডোয়ানাল্যান্ড ভূ-খন্ড থেকে নদীবাহিত পলি বালি ইত্যাদি এসে ওই অগভীর সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত হতে থাকে। এই সঞ্চিত পলি চাপের প্রভাব মহীখাত অঞ্চল ক্রমশ বসে যেতে থাকে। এর ফলে দুপাশের ভূখণ্ড পরস্পরের কাছে এগিয়ে এলে অনুভূমিক পার্শ্বচাপের  সৃষ্টি হয়। ফলে মহীখাতে সঞ্চিত পলিরাশি ভাঁজ প্রাপ্ত হয়ে হিমালয় পর্বত সৃষ্টি হয়েছে।

জুরা গঠন-

ভাঁজের ফলে গঠিত একটি বিশেষ ভূমিরূপ হল জুরা গঠন। প্রকৃতিতে মূলত ঊর্ধ্বভঙ্গগুলি পর্বত শিখর বা শৈলশিরা এবং অধোভঙ্গগুলি উপত্যকা রূপে অবস্থান করে। পূর্ব সুইজারল্যান্ডের জুরা পর্বতের গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে এইরূপ ভূমিরূপের খুব সুন্দর সাদৃশ্য থাকায় একে জুরা গঠন বলে। এই ভূমিরূপের অধোভঙ্গে অনুদৈর্ঘ্য অনুগামী নদী এবং ঊর্ধ্বভঙ্গের বাহু বরাবর লম্ব অনুগামী নদী প্রবাহিত হয়ে জাফরিরূপী জলনির্গম প্রণালী গড়ে ওঠে।
উদাহরণ-ভারতের শিবালিক পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায়।


বৈপরীত্য ভূমিরূপ-

প্রাচীন ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরে ভূমিরূপ গঠনের প্রাথমিক নিয়ম অনুসারে ঊর্ধ্ব ভঙ্গের শৈলশিরা ও অধোভঙ্গে উপত্যকা অবস্থান করে। কিন্তু ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের বাধ্যক্য পর্যায়ে পরবর্তী নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে কোমল শিলাগঠিত ঊর্ধ্বভঙ্গের শৈলশিরাগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী অধোভঙ্গের তুলনায় নিচু হয়ে পড়ে অর্থাৎ ঊর্ধ্বভঙ্গগুলি উপত্যকা ও অধোভঙ্গগুলি শৈলশিরারূপে অবস্থান করে। ভঙ্গিল গঠন যুক্ত অঞ্চলে প্রাথমিক ভূমিরূপের সম্পূর্ণ বিপরীত প্রকৃতির এই ভূমিরূপকে বৈপরীত্য ভূমিরূপ বা উল্টানো ভূমিরূপ বলে।
উদাহরণ-হিমালয়, পাটকই, আল্পস ইত্যাদি ভঙ্গিল পর্বতে বৈপরীত্য ভূমিরূপ লক্ষ্য করা যায়।


ভৃগু-একনত ভাঁজের একদিকের বাহু খাড়াভাবে অবস্থান করলে ভৃগু সৃষ্টি হয়। এছাড়া ন্যাপ ও উদঘট্ট ভাঁজযুক্ত অঞ্চলেও ভৃগু গড়ে উঠতে দেখা যায়।
উদাহরণ-ভারতের অসম মালভূমির দক্ষিণ ঢালটি এই ধরনের।

গম্বুজাকৃতি পাহাড়-কোন ভাঁজের ঊর্ধ্বভঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান হলে এবং বাহুর নতি কেন্দ্র থেকে চতুর্দিকে বহির্মুখী হলে শীর্ষদেশটি প্রায় গম্বুজ আকার ধারণ করে। একে গম্বুজাকৃতি পাহাড় বলা হয়।
উদাহরণ-আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নাসভিল ডোম এই ধরনের গম্বুজাকৃতি পাহাড়ের উদাহরণ।

অনুগামী ও বিপরা নদীর প্রবাহপথ গঠন-অনুগামী ও বিপরা নদীর প্রবাহপথ গঠনে ভাঁজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুগামী নদীগুলি ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরের প্রাথমিক ঢাল প্রবাহিত হয় এবং বিপরা নদীগুলি অনুগামী নদীর বিপরীত দিকে ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরের বিপরীত ঢাল অনুযায়ী প্রবাহিত হয়


কুয়েস্তা-একনত  ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরের অপ্রতিসম ঢালের আয়াম বরাবর  গঠিত এক বিশেষ ধরনের ভূমিরূপ হল কুয়েস্তা। একনত ভাঁজযুক্ত অঞ্চলে যদি পর্যায়ক্রমে কঠিন ও কোমল শিলা অবস্থান করে, তাহলে পরবর্তী নদীগুলির অন্তর্বর্তী অংশে একাধিক উচ্চভূমি গড়ে ওঠে।এই ধরনের কোন উচ্চভূমির শিলাস্তরের নতি যদি মৃদু ধরণের (20° পর্যন্ত) হয় তাহলে উচ্চভূমিটির খাড়াতলের বিপরীত পার্শ্ব মৃদু ঢাল যুক্ত হয়। ভঙ্গিল গঠন যুক্ত অঞ্চলে সৃষ্ট এই ধরনের উচ্চভূমিকে কুয়েস্তা বলে।


হগব্যাক-একনত ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরের প্রতিসম ঢালের আয়াম বরাবর গঠিত এক বিশেষ ধরনের ভূমিরূপ হল কুয়েস্তা। একনত ভাঁজযুক্ত অঞ্চলে যদি পর্যায়ক্রমে কঠিন ও কোমল শিলা অবস্থান করে, তাহলে পরবর্তী নদীগুলির অন্তর্বর্তী অংশে একাধিক উচ্চভূমি গড়ে ওঠে।এই ধরনের কোন উচ্চভূমির শিলাস্তরের নতি যদি 45°এর বেশী হয় তাহলে দুটি পরবর্তী নদীর অন্তর্বর্তী অংশে কঠিন শিলায় গঠিত তীক্ষ্ণ শিখর দেশ  বিশিষ্ট উচ্চভূমিটিকে হগব্যাক বলে।


Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code