Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি আলোচনা করো// CHEMICAL WEATHERING

 রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি আলোচনা করো// CHEMICAL WEATHERING 



উত্তরঃ- যে আবহবিকারের মাধ্যমে শিলা গঠনকারী বিভিন্ন খনিজ পদার্থগুলির ওপর বায়ুমন্ডলের প্রধান উপাদান সমূহ বিশেষ করে অক্সিজেন (O2), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), জ্বলীয় বাষ্প প্রভৃতির বিক্রিয়ার ফলে কঠিন শিলা বিয়োজিত হয় এবং মূল খনিজ পদার্থগুলো নতুন গৌণ খনিজে পরিণত হয়ে মূল শিলা শিথিল হয়ে পড়ে, তাকে রাসায়নিক আবহবিকার বলে । বৃষ্টিবহুল উষ্ণ অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য বেশি পরিলক্ষিত হয়।

রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে প্রধানত তিনটি যথা- (ক) অঙ্গারযোজন বা কার্বনিকরণ, (খ) জারণ, (গ) জলযোজন বা আর্দ্রকরণ  উল্লেখযোগ্য । এছাড়া রাসায়নিক আবহবিকারের অন্যান্য পদ্ধতি গুলোর মধ্যে দ্রবণ এবং আদ্র বিশ্লেষণ উল্লেখযোগ্য ।


 (ক) কার্বনিকরণ :- রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে অঙ্গারযোজন বা কার্বনিকরণ  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি ।কার্বন ডাই অক্সাইডের সাথে জল রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কার্বনিক অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড চুনাপাথরের সাথে বিক্রিয়া করে শিলায় রাসায়নিক আবহবিকার ঘটায়। একে অঙ্গারযোজন বলে। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেটে পরিণত হয়। চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে চুনাপাথর এই প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত এবং ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে ।


 (খ) জলযোজন বা আর্দ্রকরণ :- রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে জলযোজন বা আদ্রকরণ অন্যতম একটি পদ্ধতি।শিলার খনিজের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে জলযুক্ত হওয়াকে জলযোজন বলা হয়। এটি রাসায়নিক আবহবিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে হেমাটাইট লিমোনাইটে পরিণত হয়।উৎকৃষ্ট লৌহ আকরিক ‘হেমাটাইট' পাথরের সঙ্গে জলযুক্ত হলে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, তার ফলে ‘লিমোনাইট’  নামে নিকৃষ্ট লোহার সৃষ্টি হয়, যা অতি সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।


  (গ) জারণ :- রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে জারণ  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি । খনিজের সঙ্গে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন (O2) মিশলে তাকে জারণ  বলে ।  লোহা যখন ফেরাস অক্সাইড রূপে অবস্থান করে তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, কিন্তু লোহার সঙ্গে বাতাসের অক্সিজেন যুক্ত হলে লোহার উপরিভাগে হলুদ বা বাদামি রঙের একটি নতুন যৌগ পদার্থ তৈরি হয় এবং লোহা খুব সহজেই ক্ষয় পায় ।অক্সিজেনের উপস্থিতিতে লৌহঘটিত গঠিত শিলার খনিজ জলের উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে। একে জারণ বলা হয়। এর ফলে লোহার মরিচা পড়ে। এক্ষেত্রে ফেরাস অক্সাইড ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয়।

(ঘ)  দ্রবণ বা সলিউশন :- রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে দ্রবণ বা সলিউশন[Solution]  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি । সৈন্ধব লবণ, জিপসাম প্রভৃতি কয়েকটি খনিজ পদার্থ জলের সংস্পর্শে দ্রবীভূত হয়ে তার নিজস্ব আকার হারিয়ে ফেলে। এই বিশেষ প্রক্রিয়াকে দ্রবণ [Solution] বলে । দ্রবণের ক্ষেত্রে, যতবেশি পরিমাণ জল খনিজে প্রবিষ্ট হয়, খনিজ পদার্থটি তত তাড়াতাড়ি দ্রবীভূত হয়ে যায়.


Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code