সপ্তম শ্রেণীর মডেল এক্টিভিটি টাস্ক // MODEL ACTIVITY TASK OF CLASS 7 //WEST BENGAL BOARD
পার্ট ১
১ ) চিত্রের সাহায্যে ঋতু পরিবর্তন কিভাবে সংঘটিত হয় তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – ঋতু পরিবর্তন সংঘটিত হওয়ার কারণ –
i ) পৃথিবীর মেরু রেখা কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদা একই দিকে সারে ৬৬ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। এইরূপ অবস্থানের ফলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যর হ্রাস – বৃদ্ধি হয়।
ii ) পৃথিবীর গোলাকৃতির জন্য ভূপৃষ্ঠে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্যে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বছরের বিভিন্ন সময়ে উষ্ণতার তারতম্য হয়।
iii ) পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য।
iv ) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে বিভিন্ন সময়ে যে উষ্ণতার তারতম্য হয় তার ফলে ঋতুর পর্যায়ক্রমিক আবর্তন ঘটে।
২ ) একটি চিত্রের সাহায্যে কোন স্থানের অক্ষাংশ কিভাবে নির্ণয় করা হয়, তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:-
পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষরেখা বলে। এ অক্ষরেখার উত্তর-প্রান্ত বিন্দুকে উত্তর মেরু বা সুমেরু এবং দক্ষিণ-প্রান্ত বিন্দুকে দক্ষিণ মেরু বা কুমেরু বলে। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্ব পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির জন্য এ রেখা বৃত্তাকার, তাই এ রেখাকে নিরক্ষবৃত্তও বলা হয়। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণ দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ বলা হয়। নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের কৌণিক দুরত্ব স্থির করা হয়; নিরক্ষরেখা থেকে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণে কোনো স্থানের কৌণিক দুরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণে কোনো স্থানের কৌণিক দুরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়।অক্ষাংশের ভিন্নতা ও পরিবর্তনের সাথে সাথেই জলবায়ুরও তারতম্য ঘটে। সূর্য কিরণ সারা বছর লম্ব ভাবে পরার কারণে নিরক্ষিয় অঞ্চলে উষ্ণ জলবায়ু বিরাজ করে ।এবং মেরু অঞ্চলের দিকে সূর্য রশ্মি ক্রমশ তির্যক হতে থাকে এবং জলবায়ু শিতল হয়। ফলে নিরক্ষিয় অঞ্চলে ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। নিরক্ষরেখা বরাবর স্থানসমূহে সূর্যরশ্মি খাড়াভাবে পড়ে বিধায় ঐসকল অঞ্চলে উষ্ণতা বেশি। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশে তাপমাত্রা ক্রমেই কমতে থাকে। ১ °সে অক্ষাংশে উষ্ণতা 0.২৮ °সে হ্রাস পায় বলেই নিরক্ষরেখা থেকে সবচেয়ে দূরবর্তি উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে বরফ রয়েছে।
৩ ) বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ এর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
উত্তর –
বায়ুর উচ্চচাপ –
i ) পৃথিবীর শীতলতম অঞ্চলগুলোতে বায়ুর উচ্চচাপ দেখা যায়।
ii ) উচ্চচাপে বায়ু শীতল হাওয়ায় সংকুচিত হয়।
iii ) বায়ুর উচ্চচাপ অঞ্চলে সাধারণত মেঘ-বৃষ্টি কিছুই হয় না, পরিষ্কার ও শান্ত আবহাওয়া থাকে।
বায়ুর নিম্নচাপ –
i ) পৃথিবীর উষ্ণ অঞ্চলগুলিতে বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়।
ii ) নিম্নচাপের বায়ু উষ্ণ হওয়ায় বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয়।
iii ) নিম্নচাপ অঞ্চলে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ও অশান্ত আবহাওয়া দেখা যায়।
৪ ) এশিয়ার উষ্ণমরু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর –
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য –
i ) এখানে গ্রীষ্ম কালে উষ্ণতা থাকে ২১ ডিগ্রি – ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ii ) এখানে শীতকালে উষ্ণতা থাকে ৫ ডিগ্রি – ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
iii ) পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়।
iv ) এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০ – ৫০ সেমি।
উষ্ণমরু জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য –
i ) এখানে গ্রীষ্ম কালে উষ্ণতা থাকে ৩০ ডিগ্রি – ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ii ) এখানে শীতকালে উষ্ণতা থাকে ১৫ ডিগ্রি – ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
iii ) এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০ – ২৫ সেমি।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণি ভূগোল Part 2:
১ ) পৃথিবীর অপসূর ও অনুসূর অবস্থানের একটি চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
২ ) ভারতীয় স্থানীয় সময়ের গুরুত্ব নিরূপণ করো।
উত্তর – যে কোন স্থান থেকে আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান দেখে যে সময় গণনা করা হয় তাকে বলে স্থানীয় সময়।
স্থানীয় সময়ের গুরুত্ব : –
i ) স্থানীয় সময় অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় গণনা করা হয়।
ii ) স্থানীয় সময়ের ব্যবহার কম।
iii ) একই দ্রাঘিমা বরাবর মোটামুটি স্থানীয় সময় একই হয়।
৩ ) বায়ুচাপের তারতম্যে জলীয় বাষ্পের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু শুষ্ক বায়ুর তুলনায় হালকা। এই কারণে তার চাপও কম। এজন্য যেসব অঞ্চলের বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, সেখানে বায়ুর চাপ কম হয়। অপরপক্ষে বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম হলে বায়ু শুষ্ক হয় ও সেখানে উচ্চচাপ বিরাজ করে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হলেও মেরু অঞ্চলে জলীয়বাষ্পের অভাবে বায়ুচাপ অনেক বেশি হয়।
৪ ) অক্ষাংশগত বিস্তৃতি ও সমুদ্র থেকে দূরত্ব কিভাবে এশিয়ার জলবায়ুকে প্রভাবিত করে ?
উত্তর – দক্ষিণে ১০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে উত্তরে ৭৮ ডিগ্রি অক্ষাংশ পর্যন্ত এশিয়া মহাদেশের বিস্তৃত। এত বিরাট ব্যবধান এর জন্য সূর্য রশ্মির পতন কোণের পার্থক্যের কারণে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে উষ্ণতার যথেষ্ট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এশিয়ার দক্ষিণ প্রান্ত গ্রীষ্মমন্ডলে, মধ্য অংশ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে এবং উত্তরাংশ হিমমণ্ডলে অবস্থিত।
বিশাল আয়তনের জন্য এশিয়ার মধ্যভাগের অঞ্চলগুলি সমুদ্র থেকে বহু দূরে অবস্থিত হওয়ায় সমুদ্রের কোনরকম প্রভাব এসব অঞ্চলে পড়ে না। তাই সেখানকার জলবায়ুতে শীত ও গ্রীস্মের চরমভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলের জলবায়ু উষ্ণ ও আদ্র থাকে এবং এখানকার শীতকালও মৃদুভাবাপন্ন হয়।
চলবে..........
Read More
Ncert :- click here
Blog click here
ICSE class 9 click here
ICSE class 10 click here
0 Comments