স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র ও মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করাে
বিষয় |
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র |
মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র |
সংজ্ঞাঃ |
প্রায় সর্বত্রই নদীর ক্ষয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপের বিবর্তন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র বলে। |
কেবলমাত্র মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার ক্ষয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপের বিবর্তন প্রক্রিয়াকে মরু ক্ষয়চক্র বলে। |
নিয়ন্ত্রক |
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে প্রবাহমান জলধারা বা নদী ভূমিরুপের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। । |
অন্যদিকে মরু ক্ষয়চক্রে আবহবিকার, জলপ্রবাহ ও বায়ু প্রবাহ ভূমিরুপের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে |
সূচনা |
সমুদ্রবক্ষের উত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের সূচনা হয়। |
পূর্ববর্তী পাদভূমির উত্থানের মধ্য দিয়ে মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রের সূচনা হয়। |
আপেক্ষিক উচ্চতা |
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে যৌবন পর্যায়ে ভূমির আপেক্ষিক উচ্চতা বাড়ে |
মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রে যৌবনে ভূমির আপেক্ষিক উচ্চতা বৃদ্ধির পরিবর্তে ক্রমাগত হ্রাস পায়। |
ভূমির বন্ধুরতা |
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে ভূমিভাগের বন্ধুরতা পরিণত অবস্থা পর্যন্ত ক্রমশ বৃদ্ধি পায় এবং তারপর ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। |
মরু ক্ষয়চক্রের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভূমি ভাগের বন্ধুরতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। |
ক্ষয়ের শেষ সীমা |
সমুদ্রপৃষ্ঠ হল পৃথিবীর যাবতীয় স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের ক্ষয়ের শেষ সীমা। |
পৃথিবীর বিভিন্ন মরু অঞ্চলে ক্ষয়চক্রের ক্ষয়ের শেষ সীমা একই রকম হয় না।তবে সাধারণভাবে মরু ক্ষয়চক্রে ক্ষয়ের শেষ সীমা হিসাবে লবণাক্ত হ্রদ বা প্লায়া থাকে। |
সৃষ্ট ভূমিরূপ |
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য অবস্থায় সমপ্রায়ভূমি বা পেনিপ্লেন ও অবশিষ্ট ভূমিরূপ হিসাবে মোনাডনক গঠিত হয়। |
মরু ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে পেডিপ্লেন ও অবশিষ্ট ভূমিরূপ হিসাবে ইনসেলবার্জ গঠিত হয়। |
0 Comments