Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

মানবীয় ভূগোলঃ গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন- উত্তর // IMPORTANT QUESTION OF HUMAN GEOGRAPHY PART 1 // cc3//theory

 


মানবীয় ভূগোলঃ গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন- উত্তর // IMPORTANT QUESTION OF HUMAN GEOGRAPHY PART 1  // cc3//theory


১. জনসংখ্যা সংজ্ঞা দাও? জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পরিমাপ কিভাবে করা যায়?

উত্তরঃ অর্থঃ ইংরাজি অর্থ population  শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হল জনসংখ্যা। কোন একটি নিদিষ্ট অঞ্চলে নিদিষ্ট সময়ে বসবাসকারী জনসমষ্টিকে বলে জনসংখ্যা ।

বৈশিষ্ট্যঃ ১)  জনসংখ্যা সর্বদা পরিবর্তনশীল ২) জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বদা সমান হয় না ৩ ) অধিকাংশ দেশেই জনসংখ্যা উদ্ধমুখি ৪) জনবন্টন সর্বদা সমান হয় না 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পরিমাপঃ সাধারণত দুটি সময়ের মধ্যেকার জনসংখ্যার পরিমানের উপর ভিত্তি করে, পৃথিবীব্যাপী জনসংখ্যার পরিমাপ করা হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মুলত দুটি নীতি মেনে চলা হয়।

১. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধনাত্মক পরিবর্তনঃ জনসংখ্যার পরিমাণ যখন বাড়বে , জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধনাত্মক পরিবর্তন হবে।

২. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঋনাত্মক পরিবর্তনঃ জনসংখ্যার পরিমাণ যখন কমবে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঋনাত্মক পরিবর্তন হবে।

 

২. স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ও আরোপিত/ প্রকৃত জনসংখ্যা   বৃদ্ধির হারের মধ্যে পার্থক্য লেখ?

বিষয়

স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার

আরোপিত/ প্রকৃত জনসংখ্যা  বৃদ্ধির হার

ধারণা

কোন নিদিষ্ট দেশে নিদিষ্ট সময়ে জন্মহার ও মৃত্যুহারের সাপেক্ষে জনসংখ্যার পরিবর্তনকে স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার বলে।

কোন নিদিষ্ট দেশে নিদিষ্ট সময়ে জন্মহার ও মৃত্যুহার এবং পরিব্রাজনের সাপেক্ষে জনসংখ্যার পরিবর্তনকে প্রকৃত জনসংখ্যা  বৃদ্ধির হার

সূত্র

NGR= P2-P1/P1 * 100%

P2= বর্তমান জনসংখ্যা

P1= আগের কোন বছরের জনসংখ্যা

(P2-P1)= পার্থক্য

(B-D)+(I-E)/P*100

B= মোট জন্মহার

D= মোট মৃত্যুহার

I= অভিবাসন

E= প্রবাসন

P=  মোট জনসংখ্যা

৩. জনস্বল্পতা , জনাকীর্ণতা মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো

বিষয়

জনস্বল্পতা

জনাকীর্ণতা

ধারণা

কোন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা কম হলে তাকে জনস্বল্পতা বলে।

কোন দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বেশী হলে তাকে জনাকীর্ণতা বলে।

প্রাকৃতিক সম্পদ

প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা কম হয়।

প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা বেশী

উদাহরণঃ

কানাডা , সুইডেন

বাংলাদেশ , ভারত

 কার্যকর জমি

 মোট কার্যকর জমি অপেক্ষা মোট জনসংখ্যা কম হয়।

মোট কার্যকর জমি অপেক্ষা মোট জনসংখ্যা বেশী হয়

কাম্য জনসংখ্যা

দেশের জনসংখ্যা কাম্য জনসংখ্যা চেয়ে কম হয়

জনসংখ্যা, কাম্য জনসংখ্যা চেয়ে বেশী হয়।

কৃষি প্রণালী

জনসংখ্যা কম হওয়ায় ব্যাপক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়

জনসংখ্যা বেশী হওয়ায় নিবিড় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়।

জীবনযাত্রার মান

জীবনযাত্রার মান উন্নত

জীবনযাত্রার মান উন্নত নয় ।

প্রভাব

প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দূষণ অনিবার্য

পরিবেশ দূষণ মাত্রা কম

জনসংখ্যা বৃদ্ধি

উৎপাদনের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অতি দ্রুত হয়

উৎপাদনের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অতি ধীরগতিতে  হয়

 

৪. জনসংখ্যা পরিবর্তনের নিয়ন্ত্রকগুলি কি কি? ।

উত্তরঃ জনসংখ্যার পরিবর্তন বলতে বোঝায় জনসংখ্যার হ্রাসবৃদ্ধির ঘটনা। জনসংখ্যা পরিবর্তনের নিয়ন্ত্রকগুলি হল

জন্মহারঃ

সংজ্ঞাঃ কোন নিদির্ষ্ট জনসংখ্যা বিশিষ্ট এলাকায় কিছু সময়ে যতজন শিশু জন্মগ্রহন করে। তাকে জন্মহার বলে।

প্রকারভেদঃ জন্মহার বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।

ক) স্থূল জন্মহারঃ কোন নিদিষ্ট সময়ে সাধারণত ১ বছরে প্রতি ১০০০ জন মাথাপিছু যতজন জিবিত শিশুর জন্ম হয় তাকে স্থূল জন্মহার বলে। স্থূল জন্মহারের সূত্র হল

স্থূল জন্মহারঃ ১ বছরের জীবিত নবজাতক সংখ্যা / বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের মোট জনসংখ্যা *১০০০

খ) সাধারণ প্রজনন হারঃ এক বছরে কোন অঞ্চলে বা দেশের ১৫-৪৯ বছর বয়সি প্রতি ১০০০ জন নারী জতজন জীবিত শিশুর জন্ম দেয় তাকে সাধারণ প্রজনন হার বলে।

গ) বয়স অনুসারে জন্মহারঃ বিভিন্ন বয়সে নারী মাথাপিছু যতজন জীবিত শিশুর জন্মদেয়।

ঘ) প্রামান্য জন্মহারঃ বিভিন্ন বয়ঃক্রম অনুযায়ী নারীরা প্রতি বছর যত সংখ্যাক জীবিত শিশুর জন্ম দেয় তাকে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে সেই ভাগফলকে ১০০০ দিয়ে গুন করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়

মৃত্যুহারঃ 

সংজ্ঞাঃ কোন নিদির্ষ্ট জনসংখ্যা বিশিষ্ট এলাকায় কিছু সময়ে যতজন মানুষ মারা যায়  করে। তাকে মৃত্যুহার বলে।

প্রকারভেদঃ মৃত্যুহার বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে

ক) স্থূল মৃত্যুহারঃ কোন নিদিষ্ট সময়ে সাধারণত ১ বছরে প্রতি ১০০০ জন মাথাপিছু যতজন লোকের মৃত্যু হয় তাকে স্থূল মৃত্যুহার বলে।

স্থূল মৃত্যুহারঃ নিদিষ্ট সময়ে মোট মৃতের সংখ্যা /  বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের মোট জনসংখ্যা *১০০০

বয়ওক্রমিক মৃত্যুহারঃ বিভিন্ন বয়ওক্রমের প্রতি ১০০০ জনে যতজন মারা যায় তাকে বয়ঃক্রমিক মৃত্যুহার বলে।

বয়ঃক্রমিক মৃত্যুহারঃ এক বছরে নিদিষ্ট বয়ঃক্রমের জনগোষ্টির মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা / এক বছর নিদিষ্ট বয়ঃক্রমের মোট সংখ্যা *১০০০

শিশু মৃত্যু প্রবণতা হারঃ এক বছর বয়সি প্রতি ১০০০ জন জীবিত শিশুর মধ্যে এক বছরে যতজন শিশু মারা যায় তাকে শিশু মৃত্যু প্রবণতা হার বলে।

প্রসুতি মায়ের মৃত্যুর প্রবণতা হারঃ কোন বছরের প্রতি লক্ষ প্রসূতি মায়ের মধ্যে যতজন প্রসূতি প্রসবকালীন সময়ে মারা যান তাকে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর প্রবণতা হার বলে।

প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর প্রবণতা হার – এক বছরে প্রসবকালীন সময়ে সময়ে মৃত প্রসূতি সংখ্যা / এক বছরে প্রসূতি মোট সংখ্যা *১০০০০০

পরিব্রাজনঃ

দীর্ঘদিন ধরে বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কোন দেশ বা স্থান ছেড়ে অন্যত্র মানুষের স্থানান্তর বা যাওয়া আসাকে পরিব্রাজন বলে। এটি দুই প্রধানত দু প্রকার

১) প্রবাসন ২) অভিবাসন

প্রবাসনঃ অন্যত্র বসবাসের জন্য স্থায়ীভাবে  নিজ দেশ বা স্থান ছেড়ে যাওয়াকে প্রবাসন বলে।

অভিবাসনঃ স্থায়ী আবাসস্থল  স্থাপনের উদ্দেশ্য  বিদেশ চলে আসাকে অভিবাসন বলে।

প্রত্যাশিত জীবনসীমাঃ

প্রত্যাশিত জীবনসীমা বলতে বাঁচার বয়সসিমার কথা বলা হয়েছে। কোন দেশের প্রত্যাশিত জীবনসীমা  বেশী হলে কোন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পশ্চিম ইউরোপ , আমেরিকা , নিউজিল্যান্ড প্রভৃতির।

 

 

৫. উন্নতদেশগুলিতে  এবং উন্নয়নশীল দেশে প্রজনন হার কম কেন?

উন্নত দেশগুলিতে নিম্ন প্রজনন হার লক্ষ্য করা যায়। এর কারণ হল

ক) উচ্চতর জীবনযাত্রার মান

খ) সামাজিক সচেতনতা

গ) উচ্চ মাথা পিছু আয়

ঘ) উচ্চ শিক্ষিত

ঙ) জন্মহার নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ধারণা

চ) পরিবার পরিকল্পনা

ছ) নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি

 

উন্নয়নশীল দেশে উচ্চ প্রজননহার লক্ষ্য করা যায়

১. বাল্যবিবাহ

২. বহুবিবাহ

৩. নিরক্ষর বা শিক্ষার অভাব

৪. দারিদ্রতা

৫. ধর্মীয় কুসংস্কার

৬.পুত্র সন্তানের আকাঙ্খা

৭.বেকারত্ব

৮. পরিবার পরিকল্পনায় অজ্ঞতা

৬.  উচ্চ জন্মহারের নিয়ন্ত্রকগুলি কি কি?

উচ্চ জন্মহার লক্ষ্য করা যায় অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। উচ্চ জন্মহারের নিয়ন্ত্রকগুলি হল

ক) জীবনযাত্রার মান নিম্ন

খ) শিক্ষার সুযোগ সুবিধা কম

গ) নিম্ন শিক্ষার হার

ঘ) নিম্ন  মাথাপিছু আয়।

ঙ) সামাজিক দিক থেকে অসচেতন

চ) নারী মর্যাদা সম্পন্ন অবস্থান করে না  

ছ) বাল্য  বিবাহ

জ) জন্ম নিয়ন্ত্রণে সরকারি দুর্বল পরিকাঠামো  

ঝ) অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল

ঞ) ধর্মীয় কুসংস্কার

 

 

৭. নিম্ন জন্মহারের নিয়ন্ত্রকগুলি কি কি?

উত্তরঃ নিম্ন জন্মহার প্রধানত উন্নত দেশ যেমন সুইডেন , নরওয়ে দেশগুলিতে লক্ষ্য করা জায়।নিম্ন জন্মহারের নিয়ন্ত্রকগুলি হল

ক) জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন

খ) শিক্ষার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি

গ) নগরায়নের উন্নতি

ঘ) উচ্চ মাথাপিছু আয়।

ঙ) সামাজিক দিক থেকে সচেতন

চ) নারী মর্যাদা সম্পন্ন অবস্থান

ছ) বিলম্ব বিবাহ

জ) জন্ম নিয়ন্ত্রণে সরকারি পদক্ষেপ

ঝ) অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত   

৮. পৃথিবীর জনসংখ্যার বৃদ্ধির  তুলনায় আফ্রিকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশী কেন?

উত্তরঃ পৃথিবীর জনসংখ্যা সর্বত্র সমান নয় এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও সর্বত্র এক নয় তবে আফ্রিকান দেশগুলিতে জন্মহার অনেক বেশী। উচ্চ জন্মহার , জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অসচেতনতা  প্রতিকূল জলবায়ু, কুসংস্কার, স্বাক্ষরতার হার কম, নিম্ন জীবনযাত্রামান প্রভৃতি লক্ষ্য করা যায়। ১৯৬০ থেকে ১৯৯৪ সালে পৃথিবীর বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৮% সেইসময় আফ্রিকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশী ছিল যেমন নাইজেরিয়া ২.৮%, কেনিয়া ৩.৫%।

৯. বেবি বুম কি?


১০. উন্নত , অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনা করো

পৃথিবীতে মানবজাতির উদ্ভব ঘটে ১০০০০০ বছর আগে কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে .১৮৫০ সালে জনসংখ্যা ছিল ১.২ বিলিয়ন তা ১৯৯৫ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৬ বিলিয়ন বর্তমানে ২০১৯ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৭৭২ কোটি। তবে বৃদ্ধির হার সবক্ষেত্রে সমান নয় । নিম্নে উন্নত , অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনামূলক আলচনা করা হল

বিষয়

উন্নত দেশ

উন্নয়নশীল দেশ

অনুন্নত দেশ

ধারণা

আর্থ সামাজিক পরিপ্রেক্ষীতে উন্নত , প্রযুক্তি বিদ্যায় উন্নত সেইসব দেশগুলিকে উন্নত দেশ বলে।

আর্থ সামাজিক পরিপ্রেক্ষীতে অপেক্ষাকৃত কম  উন্নত , প্রযুক্তি বিদ্যায় উন্নত হয়নি সেইভাবে  সেইসব দেশগুলিকে উন্নয়নশীল  দেশ বলে।

আর্থ সামাজিক পরিপ্রেক্ষীতে দুর্বল , প্রযুক্তি বিদ্যায় উন্নতি লাভ করেনি  সেইসব দেশগুলিকে অনুন্নতদেশ বলে।

দেশ সমূহ

জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন , ডেনমার্ক

ভারত, বাংলাদেশ, লাওস, ভিয়েতনাম

সোমালিয়া , আফ্রিকান দেশ সমূহ

মাথাপিছু আয়

বেশী

অপেক্ষাকৃত কম

কম

সাক্ষরতা

বেশী

স্বাক্ষরতার হার অনুন্নত দেশের থেকে বেশী হলেও উন্নত দেশের থেকে অনেক কম ।

স্বাক্ষরতার হার কম

জীবনযাত্রার মান

উন্নত

মাঝারি উন্নত

 নিম্ন জীবনযাত্রার মান

শিল্প

শিল্প অত্যন্ত উন্নত

শিল্পে বিকাশ হয়েছে কিন্তু উন্নত হয়নি

শিল্পে অনুন্নত

কর্মসংস্থান

সুযোগ বেশী

সুযোগ কম

বেকার সমস্যা দেখা যায়

জন্মহার

কম

বেশী

বেশী

মৃত্যুহার

কম

কম

বেশী

খাদ্যগ্রহন

পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহন করে।

সঠিক মাত্রায় পুষ্টিকর খাদ্য গহনে অক্ষম

অপুষ্টি লক্ষ্য করা যায়

সামাজিক অবস্থা

নারীর অবস্থান উন্নত

নারীর সামাজিক মর্যাদা কম

নারীর সামাজিক দিক থেকে দুর্বল

পরিবহন ব্যবস্থা

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা

অপেক্ষাকৃত কম উন্নত

অনুন্নত যোগাযোগ

চিকিৎসা ব্যবস্থা

উন্নত

উন্নতি হচ্ছে

অনুন্নত

গ্রামীণ ও পৌর বাসিন্দা

শহরে বাস করে

বেশিভাগ গ্রামে বাস করে তবে শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গ্রামে বাস করে ।

সচেতনতা

জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচতনতা লক্ষ্য করা যায়

কম সচেতন

একদম অসচেতনতা লক্ষ্য করা যায়

প্রযুক্তির ব্যবহার

উন্নত প্রযুক্তিতে

 উন্নত হচ্ছে

অনুন্নত

 

১১. দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব আলোচনা করো।

পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত যে পরিমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার প্রভাব পড়ছে প্রাধানত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে । দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাবে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সেগুলি হল

১. বাসস্থানগত সমস্যাঃ অত্যাধিকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাসস্থানের উপর চাপ পড়ছে এবং কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে বিস্তৃত হওয়ার ফলে ক্রমশ বাসস্থানের জায়গা কমছে।

২. খাদ্যসমস্যাঃ দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কৃষির উৎপাদনের উপর চাপ পড়ছে। যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে সেই হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না

৩.কর্মসংস্থান হ্রাসঃ

ক) মাথা পিছু আয় কমঃ দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে মাথাপিছু আয় কমতে থাকে ।

খ) বেকার সমস্যাঃ কর্মসংস্থানে সুযোগ কম থাকায় বেকার সমস্যা উদ্ভূত হয়।

গ) দারিদ্রতা বৃদ্ধিঃ আয়ের সাথে মানুষের জীবনযাত্রার উপর প্রভাব পড়ে।

ঘ) সঞ্চয়ের পরিমাণ হ্রাসঃ আয় কম হওয়ায় সঞ্চয়ও কম থাকে।

৪. শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাঃ অত্যাধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি শিক্ষাব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করে।

৫.সামাজিক সমস্যাঃ

ক) জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে

খ) হিংসা, মারামারি প্রভৃতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৬. পরিবেশের উপর প্রভাবঃ অত্যাধিক জনবিস্ফোরণের কারণে বনভূমি হ্রাস পাচ্ছে, রাস্তাঘাট, নগরায়নের ফলে ভূমিক্ষয় বাড়ছে, এছাড়াও জলদুষণ , মাটি দূষণ তো রয়েছে।

 

উপরোক্ত প্রভাবগুলি প্রকট হয়ে উঠেছে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে।

১২. টীকাঃ জনঅভিক্ষেপ

নানা আর্থ সামাজিক , রাজনৈতিক ও জনসংখ্যিক অবস্থা বিচারবিবেচনা করে ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জনসংখ্যা বিশারদগন কোন দেশ বা অঞ্চল সম্পকে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও মোট জনসংখ্যা সম্পকে পুর্বাভাস দেন তাকে জন অভিক্ষেপ বলে।

উদাহরণঃ রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের মতে , বিশ্ব জনসংখ্যা ১৬৫০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ১১.৬৮ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাপেক্ষে ২০৫০ সালের জনসংখ্যা হবে ৮৯০ কোটি।

 

১৩. ধনাত্মক , ঋণাত্মক এবং শুন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির পার্থক্য লেখ?

বিষয়

ধনাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি

ঋণাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি

শুন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি

ধারণা

পৃথিবীর কোন অঞ্চলে কোন নিদিষ্ট সময়ে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার কম হলে তাকে  ধনাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলে।

পৃথিবীর কোন অঞ্চলে কোন নিদিষ্ট সময়ে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার বেশী  হলে তাকে  ঋণাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলে।

পৃথিবীর কোন অঞ্চলে কোন নিদিষ্ট সময়ে জন্মহারের ও মৃত্যুহার অনেকদিন ধরে একই থাকলে তাকে  শুন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলে।

প্রভাব

ধনাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি- অনিয়ন্ত্রিত জন্মহার

পরিব্রাজনের মাত্রা বেশী

জন্মনিয়ন্ত্রণ শিথিল প্রকৃতি

বহনক্ষম ভূমিভাগ অপ্রতুল থাকে।

ঋণাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি হারে-

নিয়ন্ত্রিত জন্মহার

পরিব্রাজনের বহির্মুখি প্রভাব

 

 

উদাহরণ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি

সুইডেন

নরওয়ে

 

SAYANTANI SINGH G. 


Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code