Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

IGNEOUS ROCKS// আগ্নেয়শিলা// WBSLST//

 IGNEOUS ROCKS// আগ্নেয়শিলা// WBSLST//


সৃষ্টির আদিতে পৃথিবী ছিল জলন্ত আগ্নেয়পিণ্ড। ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণের ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠে যে কঠিন আবরণ সৃষ্টি হয়।তাপ বিকিরণের ফলে পৃথিবীর ওপরে যে কঠিন স্তর সৃষ্টি হয় তাকে ভূত্বক বলে। ৯৮% শতাংশ বিভিন্ন খনিজ দ্বারা  গঠিত এই স্তর।

 

শিলার সংজ্ঞাঃ শিলা হল বিভিন্ন খনিজের সম্বনবয়ে গঠিত কঠিন যৌগিক পদার্থ

শিলার শ্রেনিবিভাগ

উৎপত্তি অনুসারে শিলা ৩ প্রকার

১. আগ্নেয় শিলা

২. রুপান্তরিত শিলা

৩. পাললিক শিলা

 

আগ্নেয় শিলা




সংজ্ঞা পৃথিবী সৃষ্টির আদি অবস্থায় উত্তপ্ত তরল পদার্থ ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণের ফলে শীতল ও কঠিন হয়ে  অথবা ভূ অভ্যন্তরের ম্যাগমা অগ্ন্যতপাতের গলে বাইরে বেরিয়ে কঠিন ও শীতল হয়ে ও জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়শিলা বলে।

ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ঃ igneous শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ignis যার অর্থ অগ্নি।

সৃষ্টিঃ  পৃথিবী সৃষ্টির আদি অবস্থায় উত্তপ্ত তরল পদার্থ ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণের ফলে শীতল ও কঠিন হয়ে  অথবা ভূ অভ্যন্তরের ম্যাগমা অগ্ন্যতপাতের গলে বাইরে বেরিয়ে কঠিন ও শীতল হয়ে ও জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি করে। আগ্নেয় শিলা থেকেই অন্যনয় শিলার সৃষ্টি হয়েছে। তাই একে প্রাথমিক শিলা বলা হয়।

বৈশিষ্ট্যঃ

১. কঠিন ও সংঘবদ্ধ

২.স্ফটিকাকার হয়

৩. খনিজগুলী ঘনভাবে বিন্যস্ত তাই ভারী হয়।

৪.কঠিন হওয়ার জন্য কম ক্ষয় হয়

৫.সছিদ্রতা কম হওয়ার জন্য  জল সহজে ভুগর্ভে প্রবেশ করতে পারে না।

৬. জীবাশ্ম থাকার সম্ভবনা কম

৭. ৯৮% খনিজ এই স্তরেই পাওয়া যায়।

শ্রেণীবিভাগ

আগ্নেয় শিলাকে প্রধানত দুই প্রকার

১.নিঃসারী শিলা (EXTRUSIVE ROCK )

১.১ লাভা শিলা- ব্যাসল্ট শিলা  

১.২ পাইরোক্লাস্টিক শিলা – টাফ

 


২.উদবেদী শিলা (INTRUSIVE ROCK)

২.১ পাতলিক শিলা – গ্রানাইট

২.২ উপ-পাতলিক – পরফাইরি

 

১. নিঃসারী শিলা

ভূ অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে রূপে বাইরে বেরিয়ে এসে জমাট বেঁধে শিলার পরিণত হলে তাকে নিঃসারী শিলা ।

উদাহরণঃ ব্যাসল্ট , রায়োলাইট , অ্যাণ্ডেসাইট  ট্র্যাচাইট

বৈশিষ্ট্যঃ

১. ম্যাগমা ভূ-অভ্যন্তরে থেকে বাইরে বেরিয়ে লাভা বায়ুর সংস্পর্শে এসে দ্রুত শীতল হয়ে জমাট বাঁধে সৃষ্টি হয়।

২.এই শিলায় খনিজের কেলাসগুলি সূক্ষ্ম হয়।

৩. শিলার রঙ গাঢ় এবং খনিজের আপেক্ষিক ঘনত্ব বেশী।

 ১.১ লাভা শিলাঃ অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে রূপে বাইরে বেরিয়ে এসে  লাভা রূপে জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি করে। তাকে লাভা শিলা বলে। যেমন ব্যাসল্ট

১.২ পাইরোক্লাস্টিক শিলাঃ  আগ্নেয়গিরির মুখে , ছিদ্রপথে জমে থাকা পুর্বেকার কঠিন লাভা, সিন্ডার ভস্ম প্রভৃতি বিস্ফোরণের মাধ্যমে টুকরো জমে থাকা পুর্বেকার কঠিন লাভা, সিন্ডার ভস্ম প্রভৃতি বিস্ফোরণের মাধ্যমে টুকরো টুকরো খণ্ডে পরিণত হয়ে বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে পাইরোক্লাস্টিক শিলা বলে। যেমনঃ তুফ বা টাফ , আগ্নেয় ব্রেকসিয়া ইত্যাদি

 

২.উদবেদী আগ্নেয়শিলাঃ ভূ- অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে না বাইরে বেরিয়ে এসে  লাভা অভ্যন্তরে সঞ্চিত হয়ে  যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে উদবেদী শিলা বলে।

২.১ পাতলিক শিলাঃ গ্রীক শব্দ “PLUTO”  থেকে। ভুগর্ভের অনেক নীচে সঞ্চিত ম্যাগমা অতি ধীরে ধীরে শীতল হয়ে ও জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে পাতলিক শিলা বলে।

উদাহরণঃ গ্রানাইট , গ্যাব্রো , ডায়োরাইট , পেগমাইট , সায়েনাইট এর উদাহরণ



বৈশিষ্ট্য

১. অতি ধীরে ধীরে ম্যাগমা জমাট বেঁধে শিলাউ পরিণত হয়

২. খনিজের স্ফটিক গুলি কত বড় হয়

৩. আপেক্ষিক ঘনত্ব কম

৪. রঙ হালকা হয়ে থাকে

 

২.২ উপ পাতলিক শিলাঃ

ভুগর্ভের সামান্য নীচে ম্যাগমা জমাট বেঁধে শিলায় পরিণত হলে, তাকে উপপাতলিক শিলা বলে।

যেমন- ডলেরাইট , পরফাইরি


Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code