Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

কুইপরের মতবাদ// KUIPER THEORY REGARDING ORIGIN OF THE EARTH

 কুইপরের মতবাদ// KUIPER THEORY REGARDING ORIGIN OF THE EARTH



প্রবক্তা ও সময় :-মার্কিন বিজ্ঞানী kuiper 1955 খৃষ্টাব্দে এই মতবাদের প্রবর্তন করেন l 

মূল প্রতিপাদ্য বিষয় :- kuiper এঁর মতে  সুর্যের চেয়ে 10 গুণ বড় এক চাকতি আকৃতির বাষ্পীয় নীহারিকা একটি ঘোলাটে মধ্য বস্তু কে বেষ্টন করে অবস্থান করত l পরবর্তী সময়ে ঐ মধ্যস্থ বস্তু থেকে সূর্য এবং বলয় টি থেকে একেকটি গ্রহের সৃষ্টি হয় l 

ব্যাখা :- kuiper এঁর মতে সৃষ্টির আদি লগ্নে বর্তমান সূর্যের 10 গুণ ভারী চাকতির ন্যায় বাষ্পীয় নীহারিকা একটি ঘোলাটে বস্তুকে ঘিরে অবস্থান করত l পরবর্তী সময়ে ঐ মধ্যস্থ বস্তু থেকে সূর্য সৃষ্টি হয় l কালক্রমে সংলগ্ন গ্যাসীয় আবরণ টি সংকুচিত হতে থাকলে ভেঙ্গে পড়ে এবং বাষ্পীয় পদার্থের মধ্যস্থ কঠিন পদার্থ গুলি সংবদ্ধ হয়ে একেকটি গ্রহের সৃষ্টি করে এবং একই বিবর্তনের মধ্য দিয়ে উপগ্রহগুলোর সৃষ্টি হয় l গ্রহগুলি সৃষ্টির সময় বর্তমান আকারের তুলনায় 10 গুণ বড় ছিল l আবার নীহারিকা ও সূর্য একই উপাদানে গঠিত ছিল যার প্রধান ভাগ ছিল হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন,এবং শতকরা এক-দু ভাগ ছিল অন্য পদার্থ l মধ্য বস্তুটি সংকুচিত হয়ে নক্ষত্রে পরিণত হওয়ার পর দ্রুত তাপ বিকিরণ করে এবং চতুষ্পার্শ্বের গ্যাসীয় আবরণ কে আয়নীত করে l ফলে সুর্যের ঘূর্ণন বেগ কমতে থাকে এবং গ্রহগুলোর বৃদ্ধি পেতে থাকে ; এই অবস্থায় সুর্যের কৌণিক ভর বেগ গ্রহগুলিতে সঞ্চারিত হয় l আবার ঘূর্ণন বেগের বৃদ্ধির ফলে গ্রহগুলোর মধ্যাকর্ষণ শক্তি কমায় উপগ্রহগুলো দূর থেকে গ্রহগুলি কে পরিক্রমণ করতে থাকে l এইভাবে বর্তমান সৌরজগৎ সৃষ্টি হয়,যার একটি অন্যতম গ্রহ পৃথিবী l 

সার্থকতা :- 1960 সাল পর্যন্ত প্রদত্ত মতবাদ গুলির মধ্যে কুইপারের মতবাদ অধিক গ্রহণযোগ্য ও তথ্য নির্ভর,কারণ –

(i) গ্রহ -উপগ্রহ ও সুর্যের মধ্যে বন্টিত কৌণিক ভরবেগের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় l 

(ii) গ্রহগুলোর আকৃতি অনুযায়ী সুর্যের নিকট ছোট, মাঝখানে বড় এবং বহির্দিকে ছোট হওয়ার কারণ নির্ণয় করা সম্ভব l 

(iii) এই মতবাদে উপগ্রহগুলো সৃষ্টির নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা, গ্রহ-উপগ্রহ গুলিতে কেনো হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন অধিক থাকে না তার ব্যাখ্যা মেলে 

Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code