Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

আরোহী ও অবরোহীর পদ্ধতি//পার্থক্য CTET//WBTET// Inductive Method+Deductive Method

 আরোহী ও অবরোহীর পদ্ধতি//পার্থক্য  CTET//WBTET// Inductive Method+Deductive Method





আরোহী পদ্ধতি( Inductive Method):


সংজ্ঞাঃ  যে পদ্ধতিতে উদাহরণ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সূত্র বা সংজ্ঞা গঠন করা হয় তা হলো আরোহী পদ্ধতি। আরোহী পদ্ধতি ইংরেজি হলো Inductive ‘Method’।

আরোহী পদ্ধতির সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা করেন : ফ্রান্সিস বেকন ও পেস্তালাৎসি।

বৈশিষ্ট্যঃ 

১। কতকগুলি বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত থেকে একটি সাধারণ সূত্র বা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পদ্ধতিকে আরোহী পদ্ধতি বলা হয়।
২। এই শিখন পদ্ধতিতে আমরা একটি উদাহরণ থেকে সাধারণীকরণের দিকে অগ্রসর হয়ে থাকি।

৩। আরোহী পদ্ধতি সর্বদাই অগ্রসর হয়-  বিশেষ ক্ষেত্র থেকে সাধারণ সূত্র প্রতিষ্ঠার দিকে

৪। মুর্ত দৃষ্টান্ত থেকে বিমূর্ত সিদ্ধান্তের দিকে।

৫।  জানা থেকে অজানার দিকে

৬।  সহজ থেকে জটিল এর দিকে

৭। শিশু শিক্ষার্থীদের পক্ষে উপযোগী।

 ৮। পাঠ্যপুস্তকের সাহায্যে ব্যাকরণ পড়ানো হয়।

৯।এই পদ্ধতি ব্যাকরণ পাঠকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

১০। অধিক সময় সাপেক্ষ।

১১। নতুন নতুন তথ্য ও সূত্র আবিষ্কারের উপযোগী।

১২।এক্ষেত্রে ব্যাকরণ ভাষাকে অনুসরণ করে।

.১৩। গুণগত পদ্ধতি।( Qualitative)

১৪।বিশেষ থেকে সাধারণ সত্যে উপনীত হওয়া

১৫। একটা নতুন তত্ত্ব ও তথ্য উদঘাটনের আনন্দ লাভ করে।





আরোহী পদ্ধতির ধাপসমূহ :

ক) উদাহরণ উপস্থাপন ( Presentation of Example)

খ) পর্যবেক্ষণ ( Observation)

গ) সাধারণীকরণ( Generalisation)

ঘ) পরীক্ষা এবং যাচাই( Testing and Verification)
 

আরোহী পদ্ধতির সুবিধা:


* এটি মনোবিজ্ঞানসম্মত শিক্ষণ পদ্ধতি।

* শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

* গাণিতিক সত্য আবিষ্কার করতে সাহায্য করে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তি, পর্যবেক্ষণ ও চিন্তনের বিকাশ ঘটে।

* প্রাথমিক শিক্ষায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী।

* ব্যাকরণ শিক্ষার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী

আরোহী পদ্ধতির অসুবিধা: 


১. এই পদ্ধতিতে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হলেই তাকে সব সময় সত্য বলা যায় না- সম্ভবনার প্রশ্ন রয়ে যায়। 
২. পদ্ধতিটি দীর্ঘ এবং ক্লান্তিকর। 
৩. অনুশীলনের জন্য প্রদ্ধতিটি যথোপযুক্ত নয়। সময়ের অপচয় ঘটে। 


অবরোহী পদ্ধতি (Deductive Method):

 সংজ্ঞাঃ 
অবরোহী পদ্ধতি আরোহী পদ্ধতির সম্পূর্ণ বিপরীত। কোনো সূত্রের প্রয়োগ করে যে সত্য পাওয়া যায় তা নির্ধারণ করাই যে পদ্ধতিতে কোনো একটি সাধারণ তথ্যকে স্বীকার করে বা প্রতিষ্ঠিত কোনো সত্য কিংবা সূত্রকে ভিত্তি করে নতুন কোনো সত্যতা প্রমাণ করা হয় তাকে অবরোহী পদ্ধতি বলে। অবরোহী পদ্ধতি ইংরেজি হলো ‘Deductive Method’। 

অবরোহী পদ্ধতি (Deductive Method)

এই পদ্ধতির প্রবক্তা হলেন: অ্যারিস্টোটল (Aristotle)

বৈশিষ্ট্যঃ 

১। একটি সাধারণ সূত্র বা সিদ্ধান্ত থেকে কতগুলি শিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্তে উপনীত হওয়ার পদ্ধতিকে অবরোহী পদ্ধতি বলা হয়।.

২।এই পদ্ধতিকে প্রধানত বীজগণিত, জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় কারণ বিভিন্ন রকম সম্পর্ক ও সূত্র গণিতের এই শাথায় ব্যবহার করা হয়।
৩। বিমূর্ত সিদ্ধান্ত থেকে মূর্ত তথ্যে উপনীত হওয়ার 

৪।সাধারণ সূত্র থেকে বিশেষ ক্ষেত্রের দিকে

.৫।বিমূর্ত সিদ্ধান্ত থেকে মূর্ত সিদ্ধান্তের দিকে

.৬। অজানা থেকে জানার দিকে

.৭। জটিল থেকে সহজে দিকে।

৮ । গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতি। 

৯।এক্ষেত্রে ব্যাকরণ পাঠ আনন্দহীন হয়ে পড়ে।

১০ । অপেক্ষাকৃত কম সময় সাপেক্ষ।

১১। অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানো যায়।

১২ । এক্ষেত্রে ভাষা ব্যাকরণকে অনুসরণ করে।

১৩। পরিমাণগত পদ্ধতি।

অবরোহী পদ্ধতির ধাপসমূহ :

ক) সমস্যার স্পষ্ট সনাক্তকরণ

খ) অনুমিত সিদ্ধান্তের জন্য অনুসন্ধান

গ) অনুমিত সিদ্ধান্ত প্রণয়ন।

ঘ) যাচাই..


অবরোহী পদ্ধতির সুবিধা:

• এটি যুক্তিসম্মত শিক্ষণ পদ্ধতি।

* এ পদ্ধতিতে সময় খুব কম লাগে

* সব ধরনের বিষয়ের জন্য উপযুক্ত

 * উচ্চ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকরী।

* এই পদ্ধতিতে জটিল সূত্রগুলোকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।









Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code