Ad Code

Ticker

7/recent/ticker-posts

মহীখাত তত্ত্ব ও ভঙ্গিল পর্বত // geosyncline theory // WBSLST//NET//SET

মহীখাত তত্ত্ব ও ভঙ্গিল পর্বত // geosyncline theory // WBSLST//NET//SET 


গিরিজনি আলোড়নের পভাবে বা পাশাপাশি চাপের ফলে ভপষ্ঠর পাললিক শিলাস্তর ভাঁজ খেয়ে ওপরে উঠে যে পর্বতের সৃষ্টি করে তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। ভারতের উত্তরে হিমালয়, ইউরােপের আল্পস, দাক্ষিণ ও উত্তর  আমেরিকার আন্দিজ ও রকি প্রভূতি ভঙ্গিল পর্বতের উল্লেখযােগ্য উদাহরণ।

খোলা ভাঁজ যুক্ত সরল ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ হল - প্রতিসম ভাঁজ এবং অপ্রতিসম ভাঁজ 

জটিল ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয় ন্যাপ ও শায়িত ভাঁজের কারণে। 

পরিণত ভঙ্গিল পর্বত হলঃ যেসব ভঙ্গিল পর্বতের একনত গঠন শৈলশিরা এবং উপত্যকা গঠন লক্ষ্য করা যায় তাকে পরিণত ভঙ্গিল পর্বত বলে। যেমনঃ আরাবল্লি এবং বিন্ধ্য পর্বত 

নবীন ভঙ্গিল পর্বতঃ যে সব ভঙ্গিল পর্বতে পর্বতগঠনের কাজ চলছে তাকে নবীন ভঙ্গিল পর্বত বলে। যেমনঃ হিমালয়। 

সংনমন ও সম্প্রসারণ : অভিসারী পাতসীমান্ত বরাবর একরকম পার্শ্বচাপ হল সংনমন।শিলাস্তরে চাপ বিপরীত দিকে হলে টান সৃষ্টি হয়    এরফলে ফাটল বা চ্যুতি দেখা যায় একে সম্প্রসারণ বল বলে।   অর্থাৎ প্রতিসারী পাতসীমান্ত বরাবর সৃষ্টি হয় প্রসারন  বল, 

ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি সম্মন্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব হল  - (1) মহীখাত তত্ত্ব (Geosyncline theory ) এবং (2) পাত-সংস্থান তত্ত্ব (Plate-Tectonic theory )।



মহীখাত তত্ত্ব (Geosyncline theory )

মহিখাত কথাটির অর্থ হল অগভীর 

মহিখাত বলতে দির্ঘায়িত অবনমিত সমুদ্রতলে বহুযুগ ধরে পলি সঞ্চয়ের কারণে ক্রমশ অবনমিত হয়ে পড়ে তাকে মহিখাত বলে। এই অংশে ক্রমাগত পলি সঞ্চয়কে বলে SEDIMENTATION SUBSIDENCE এই মহীখাত কে MOBILE ZONE OF WATER বলে। . according to dana , geosynclines are long , narrow, shallow and sinking beds of seas. তিনি প্রথম মহিখাত কথাটির ধারণা দেন , ভঙ্গিল পর্বত গঠন নিয়ে আলোচনা করেন Hall. মহীখাতের দুপাশে শক্ত ভূত্বককে অন্তরীপ বা FORELAND বলে। HALL, DANA , এবং সুয়েসের মহিখাতের তত্ত্বের উপর নির্ভর করে বিখ্যাত জার্মান ভূ-তত্ত্ববিদ কোবার (Kober) ১৯২৫ সালে তাঁর বিখ্যাত জার্মান পুস্তক "DER BAU DER GRADE" এই বইতে তিনি মহিখাতের ধারণা দেন। 

কোবারের মতে প্রাচীন কালে মহাদেশের অভ্যন্তরে ও সংযােগস্থলে কঠিন ভূ-ভাগ (Rigid mass) বেষ্টিত যে অবনমিত দুর্বল অগভীর জলাভূমি অবস্থান করে তাকেই মহীখাত বলে।   OROGENY  কথাটির প্রবক্তা হলেন কোবার, মহিখাত দুটি দিকে শক্ত ভুমিকে তিনি KRATOGEN বলেন। তাঁর মতানুসারে প্রধানত পর্বত গঠনের ক্ষেত্রে প্রাচীন শিল্ডগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এই শিল্ডগুলি হল 

( ১) কানাডিয়ান শিল্ড (২) বাল্টিক শিল্ড (৩) আস্ট্রেলিয় (৪)ব্রাজিল (৫) চীন (৬) ভারতীয় (৭) আণ্টার্কটীকা ষীল্ড 



কবার তাঁর তত্ত্বে ৬টি পর্যায়ের কথা বলেন

(১) PRE CAMBRIAN =  ৩টি     

(২) SILURIAN- ১ টি 

(৩) CARBONIFEROUS = ১ টি 

(৪) TERTIARY = ১ টি পর্ব , 


পর্যায়ঃ তিনটি পর্যায়ের কথা তিনি উল্লেখ করেন




লিথোজেনেসিসঃ Litho শব্দের অর্থ হল শিলা। এই পর্যায়ে   ক্রাটোজেন ও মহিখাতের   চারপাশের অঞ্চল থেকে  ক্ষয়ীভূত শিলা  সাগরের তলদেশে ধীরে ধীরে জমা হয় একাধিক পাললিক শিলাস্তরে। প্রাথমিক পর্যায়ে পর্বত গঠনের কাজ করে। টেথিস সাগরের চারপাশে ক্ষয়ীভূত শিলা টেথিস সাগরের তলদেশে ধীরে ধীরে জমা হয় একাধিক পাললিক শিলাস্তরে। আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবনের ফলেই বোঝা বাহিত হয়ে টেথিসের তলদেশে জমা হয়। 



ওরোজেনেসিসঃ    Oros শব্দের অর্থ হল পর্বত। মহীখাতের  সঞ্চিত  পলিরাশি ভাঁজ সংনমন বলের প্রভাবে অনুভূমিক আলোড়নের দ্বারা  ধীরে ধীরে ওপরে উঠে ভঙ্গিল  পর্বতের সৃষ্টি করে। এই অবস্থাকে গিরিজনি পর্যায় (Stage of Orogenesis) বলে। এই পর্যায়ে আঙ্গারাল্যান্ড  ও গন্ডোয়ানা ল্যাণ্ড এগিয়ে আসায় প্রবল চাপ পরে টেথিসের শিলাস্তরে ভাজ খেয়ে হিমালয় পর্বত সৃষ্টি হতে থাকে।



 গ্লিপ্টোজেনেসিসঃ তৃতীয় পর্যায়ে পর্বতের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে পর্বতগুলির উচ্চতাও ক্ৰমশ কমতে থাকে একে গ্লিপ্টোজেনেসিস বলে। এই পর্যায়ে  তৈরি হয় ইনভারশন অফ রিলিফ। অর্থাৎ ভূমির পরিবর্তন। অধোভঙ্গ গুলিতে চাপ বাড়ার ফলে ভাঁজের  গঠন পরিবর্তিত হয়। উর্দ্ধ ভঙ্গের জায়গায় অধোভঙ্গ আর অধোভঙ্গের জায়গায় উর্দ্ধভঙ্গের  ঘটতে থাকে। অর্থাৎ চাপের তারতম্যের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন হল ইনভারশন অফ রিলিফ।

মধ্যস্তুপ (median mass)  

দুই ভঙ্গিল পর্বতের মধ্যভাগে কুঞ্চিত হয় না , সমভূমি বা মালভূমি রূপে অবস্থান করে তাকে বলে মধ্যস্তুপ 

যেমনঃ তিব্বত মালভূমি ইরান মালভূমি , জাগ্রোস মালভূমি , আলব্রুজ মালভূমি 

কিছু সমভূমি মধ্যস্তুপের উদাহরণ হল= উত্তরে কাপোথিয়ান  এবং দক্ষিণ পশ্চিমে ডিনারিকের মধ্যে হাঙ্গেরিয় সমভূমি অবস্থান করছে। 

সামুদ্রিক মধ্যস্তুপ হলঃ মধ্য আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ভুমধ্যসাগর 



 


MORE ABOUT GEOSYNCLINE THEORY 


জিওক্লাইন(geocline) :  কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন সেলবি 

শিলাস্তরে ভাঁজের দুদিকে চাপের পরিবর্তে যদি একদিকে বেশী চাপ পড়ে তাকে জিওক্লাইন বলে, সমুদ্রের দিকে ভাঁজের পরিমাণ কম থাকে। 

মায়জিওক্লাইন ঃ মহিসোপান অঞ্চলে প্রধানত দেখা যায়। মহাদেশের প্রান্তভাগে অগভীর অংশে পাললিক শিলা  ও বিভিন্ন ক্ষয়জাত পদার্থ এসে সঞ্চিত হলে তাকে মায়োজিওক্লাইন বলে। 

ইওজিওক্লাইনঃ মহীঢালে যখন ক্ষয়িত পদার্থ সঞ্চিত হয় তাকে ইওজিওক্লাইন বলে

জেনটিক্লাইনঃ বিভিন্ন উচ্চভূমি থেকে পলি যখন সমুদ্র খাতে সঞ্চিত হয় তাকে বলে জেনটিক্লাইন 


ক্রমাগত উত্থানকারী পর্বতশ্রেণী থেকে প্রাপ্ত ক্ষয়িত পদার্থ হল মোলেস, 

হ্যাক মেসোজয়িক যুগে ৫টী মহীখাতে ভাগ করেছেন

১. রকি মহিখাত 

২. উরাল মহিখাত 

৩. টেথিস মহিখাত 

৪. প্রশান্ত মহিখাত 


SCHUCHART 

 মোহীখাটকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন

১. MONOGEOSYNCLINEঃ সংকীর্ণ , অগভীর জলে পর্যায়ক্রমিকভাবে একটি যুগে পলি সঞ্চিত হয়ে গঠিত হলে তাকে MONOGEOSYNCLINE  বলে। যেমনঃ আমেরিকার অ্যাপেলেশিয়ান যা ৪৮০ মিলিয়ন  বছর আগে প্যালিওজোয়িক যুগে সৃষ্টি হয় ।

MESOGEOSYNCLINEঃ মধ্য মহিখাতের ক্ষেত্রে মহিখাতের চারপাশের বিভিন্ন যুগের পর্বত সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যেমনঃ হিমালয় 


POLYGEOSYNCLINE ঃ কয়েক যুগ ধরে পলি সঞ্চয়ের কারণে যখন ভাঁজ প্রাপ্ত হয় তখন একটি ভাঁজ অন্য ভাঁজের থেকে আলাদা হয়ে থাকে । যেমন রকি পর্বত , ৩০০ মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয় 




Reactions

Post a Comment

0 Comments

Ad Code