CONCEPT OF CULRUE, CULTURAL AREA AND CULTURAL HEARTH
সংস্কৃতিঃ( CULTURE)
সংস্কৃতি হল শিক্ষা , পাণ্ডিত্য , অভিজ্ঞতা , ধর্ম , সভ্য রুচি , দক্ষতা
, নৈপুণ্য , সহযোগিতা , ও ন্যায়বিচারের সমষ্টি । সংস্কৃতির মধ্যে অসহযোগিতা , হানাহানি,
সংঘাত বা পশুসুলভ কাজকর্মের কোন স্থান নেই । সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যে জ্ঞান ,
বিশ্বাস, শিল্প, নীতি , আইন প্রথা এবং অন্যান্য গুন আয়ত্ত করেছে একে এক কথায় সংস্কৃতি
বলে। culture is the key to systematic understanding of differences and
similarities among men.সংস্কৃতিকে মানুষের সমগ্র কর্মজীবনের ধারা বলা যায়। এটি মানবসমাজের
সাদৃশ্য ও প্রভেদের পরিচায়ক।
জন দিউই (john dewy) সংস্কৃতির সংজ্ঞা দিয়েছেন “culture means at least
something cultivated something ripened, it is opposed to raw and crude”
সংস্কৃতিক এলাকাঃ (cultural area)
একই সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানবগোষ্ঠী বসবাসকৃত এলাকাকে সাংস্কৃতিক
এলাকা বা অঞ্চল বলে। সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য অধিকারী মানবগোষ্ঠীর বিস্তরন নির্নয় করা।
এই বিস্তরন তিন প্রকার যথা-
১. বিন্দু বিস্তরনঃ এটি সংস্কৃতিক উৎস বা কেন্দ্র নির্দেশ করে।
২. রৈখিক বিস্তরনঃ এর মাধ্যমে সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের প্রসারণ পথ নির্দেশিত
হয়।
৩. আঞ্চলিক বিস্তরনঃ যেখানে সুনির্দিস্ট সাংস্কৃতিক উপাদানে গঠিত বিছিন্ন
বা অবিচ্ছিন্ন অঞ্চল দেখানো হয়।
সংস্কৃতিক অঞ্চল দুই প্রকার
ক) formal cultural area: যেখানে
একটি বা একাধিক বৈশিষ্ট্য সমভাবে বণ্টিত থাকে।
খ) functional cultural area ঃ যেসব স্থান সংস্কৃতি ভিন্ন কিন্তু রাজনৈতিক
অর্থনৈতিক , প্রশাসনিক সীমানা দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে।
সাংস্কৃতিক ভুদৃশ্যঃ ( cultural landscape)ঃ
কোন সমরুপী সাংস্কৃতিক অঞ্চলের অন্তর্গত সব ভৌগোলিক উপাদানকে সাংস্কৃতিক
ভুদৃশ্য বলে। যেমনঃ মানুষের তৈরি বাড়ি , রাস্তা-ঘাট , শস্যক্ষেত। কার্ল ও সয়ার প্রথম
এই ধারণাটি দেন। তিনি সাংস্কৃতিক ভুদৃশ্যকে দুটিভাগে ভাগ করেছেন -
১. প্রাকৃতিক ভুদৃশ্যঃ প্রকৃতি প্রাপ্ত বিষয়সমূহ যেমন পাহাড়, পর্বত, নদী
অরণ্য হল প্রাকৃতিক ভুদৃশ্য
২. সামাজিক ভুদৃশ্যঃ মানুষের তৈরি পরিবেশ হল সামাজিক ভুদৃশ্য। যেমন রাস্তাঘাট
সাংস্কৃতিক বাস্তুতন্ত্রঃ ইকোলজি কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন ১৮৬৬ সালে জার্মান
বিজ্ঞানী আর্নেস্ট হেকেল । তাঁর মতে একটি সুনির্দিষ্ট ব্যাপ্তিস্থানে মানুষের সাথে
জীবসমূহের অভিযোজনের ধরন এবং পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক হল সাংস্কৃতিক বাস্তুতন্ত্র।
সংস্কৃতি হার্থ কি?
১৯২৭সালে মার্কিন ভৌগোলিক কার্ল ও সয়ার সর্বপ্রথম সাংস্কৃতিক হার্থ শব্দটি
ব্যবহার করেন। তাঁর মতে এক একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর গড়ে ওঠার জনক্ষেত্র।
সংস্কৃতি হার্থের ইংরাজি অর্থ হল cultural hearth যার অর্থ হল প্রাচীন সভ্যতার
কেন্দ্র,যেমন উদ্ভিদ ও প্রাণীকে গৃহপালিতকরনের
মাধ্যমে কৃষিকাজের উদ্ভব হয়েছে।সেরকমই এক একটি সংস্কৃতি প্রণালী উদ্ভূত হয়ে চারিদিকে
ছড়িয়ে পড়ে।
বৈশিষ্টঃ
১. সীমাবদ্ধ অথচ মূল্যমান জীবনধারনের ভিত্তি।
২. নানাবিধ কাঁচামাল বৈচিত্র্য যা সবই মাঝারি পরিমানে পাওয়া যায়।
৩. যা সহজেই বদলানো যায়।
৪. ভু প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য – পাহাড় ও উপত্যকা
৫. ঋতুবৈচিত্র্য
৬. সমভাবাপন্ন জলবায়ু
সাংস্কৃতিক উৎসস্থল দুই ধরনের হয়
১. প্রাচীন বিশ্ব
২. নতুন বিশ্ব .
পরিবেশ ও সংস্কৃতির মধ্যে সম্পর্কঃ পরিবেশ ও সংস্কৃতি একে অন্যের সাথে জড়িত
। পরিবেশ থেকে সংস্কৃতিকে বাদ দেওয়া যাবে না।
0 Comments